ব্রেকিংঃ

ভোলায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে মেনেজ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে সরকারি টাকা আত্নসাৎ করার অভিযোগ।

এম রহমান রুবেলঃ
ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে অবস্থিত নাজিউর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে মেনেজ করে উক্ত স্কুলের উন্নয়নমুলোক কাজ না করে স্কুলের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি জসিমউদ্দিনের সই জাল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে প্রধান শিক্ষকের দিকে।
২৯/০৮/১৯ ইং সকাল ১২ টার সময় স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে প্রধান শিক্ষককে স্কুল গিয়ে পাওয়া যায় নাই।
পরে প্রধান শিক্ষককে মুঠোফোনে ফোন দিলে প্রধান শিক্ষক বলেন বাবুরে আমি অসুস্থ্য আমার হার্টে সমস্যা আমি কথা বলতে পাড়ি না। আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসে আছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসে গিয়ে ফোন করলে প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান এর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং সেখানে গিয়ে ও তাকে পাওয় নাই। পরে বিকাল ৫ টার সময় তার বক্তব্য নিতে তার বাসায় গেলে প্রধান শিক্ষক আবুল হাসানের বড় ছেলে আনোয়ার বলেন, আপনিরা কে? কেন আইছেন আমার বাবার কাছে। আনোয়ারের বাবাকে বাসায় না পেয়ে আনোয়ারকে তার বাবা আবুল হাসান এর সমন্ধে অভিযোগের এর কথা বলতে গেলে তিনি রাগ হয়ে বলেন আমার বাবা সরকারি টাকা আত্নসাৎ করছে আরো করবে তাতে আপনাদের কি? আপনিরা এখন যান পারলে বাল ফালাইলেন দেখি কি করতে পারেন।
এদিকে সরেজমিনে গিয়ে স্কুল এর ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন এর কাছে তার অভিযোগ সমন্ধে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই নাজিরউর রহমান সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্টাকাল থেকে অদ্য পর্যান্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক সরকারি কোন অনুষ্টান এবং জাতীয় কর্মকান্ডের কোন দিবস পালন করেন নাই। এমনকি ১৫ – ২১ আগস্ট জাতীয় কোন শোক দিবস পালন করেন নাই।
সভাপতি আরো বলেন, প্রতিবছর শিশু শ্রেনীর জন্য বরাদ্ধকৃত টাকা এবং খেলা ধুলা বাবদ যে টাকা সরকার থেকে দেওয়া হয় তা কোন কাজে খরচ না করে তার নিজ বাড়িতে বাড়ি উত্তলনের কাজে খরচ করেন বলে দাবি করেন সভাপতি জসিমউদ্দিন।
তিনি আরো বলেন, এই তো কিছু দিন আগে ভোলা সদর উপজেলা এলজিডি অফিস থেকে এই স্কুলের জন্য ২ লাখ টাকা ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য বরাদ্ধ দেওয়া হলে ও সেই টাকা দিয়ে কোন ক্ষুদ্র মেরামত না করে তিনি স্কুলের সভাপতি জসিম উদ্দিনের স্কাক্ষর জাল করে স্থানীয় প্রভাবশালি মেম্বার খালেক কে তার মনগড়া সভাপতি মানিয়ে ভোলা সদর মহাজন পট্রি রুপালি ব্যাংক শাখার যৌথ একান্টেন মাধ্যমে সেই টাকা উত্তলন করে দুই জনে মিলে ভাগাভাগি করে নেন।
নাজিউর রহমান সসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্ধা পাওয়া সত্বে ও কোন কাজ না করে উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে ভোলা সদর উপজেলা এসো আমিনুলকে ফোন দিলে তিনি বিষয়টি এরিয়ে যান।
এই বিষয় উপজেলা এলজিডি ইজ্ঞিনিয়ার শুভ্ররায় কে ফোন করলে তিনি বলেন আমি আপনার কথা শুনে হতভাগ হয়ে গেলাম যে কাজ না করে বিল উত্তলন করছে,
তবে উপজেলা এসো আমিনুল এর বিরুদ্ধে অভিযোগ আরো অনেকে দিছে আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
প্রধান শিক্ষক কাজ না করে বিল উত্তলনে উপজেলা ইজ্ঞিনিয়ার শুভ্রতোরায় এর স্বাক্ষর দেখে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এরিয়ে যান।
বিল উত্তলন সম্পর্কে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ১ নং ওয়াডের ইউপি সদস্য খালেক মেম্বার এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদক বলেন, আমাকে সভাপতি করছে কেমনে আমি ভাই খোদার কসম কিছুই জানি না। আমাকে স্বাক্ষর করতে বলছে তাই আমি তার ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর করে দিছি আমি টাকা খাই ও না আর টাকা কেমনে উত্তলন করছে জানি ও না।
তবে যেতুটুকু জেনেছি স্কুলে কোন কাজ হয় নাই।
তিনি আরো বলেন, এলফি স্লিপ নামে ভোলা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস প্রতিবছর টাকা বরাদ্ধ পায় সেই টাকা কি ভাবে খরছ করে বা করছে স্কুল কমিটির কেউই জানেন না আমি তো সদস্য মাত্র।
এদিকে ভোলা পশ্চিম ইলিশা নাজিউর রহমান সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুলের ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ না করে বিল উত্তলন সম্পর্কে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সাইফুজ্জামান কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ আছে তবে সেটি তদন্তাধীন আছে। তার কাছে কাজ না করে বিল উত্তলেন এমন স্বাক্ষর দেখে শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুজ্জামান সম্পূর্ন এড়িয়ে যান। পরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান এর কাছ থেকে তদন্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগটি সত্য। রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে না জানিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য খালেককে সভাপতি করে যে টাকা উত্তলন করেছেন সেটি অন্যায় তবে অভিযোগটি তদন্তাধীন আছে বলে জানান শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামন। তিনি আরো বলেন, এই বিষয় বরিশাল ডিডি তদন্ত করে গেছে তবে প্রধান শিক্ষক ম্যানিজিং কমিটির সভাপতির সই জাল করে টাকা উত্তলনের ঘটনা সত্য এতুটুকু বলতে পারি আর বাকি অংশ ততন্ত শেষে আপনাকে জানাতে পারবো ইনশাল্লাহ।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।