ব্রেকিংঃ

ইলিশাঘাটে বেপড়ুয়া গাড়ি চালনায় ইউনিয়ন আঃলীগ অফিস ভেঙে দৌমরেমুরছে গাড়ির মালিক ধরাছোয়ার বাহিরে

এম জামিল হোসেনঃ
ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে গাড়ির চালকদের বেপড়ুয়া গাড়ি চালনায় এবং ফেরিঘাট ম্যানেজার ইমরান সহকারি ম্যাননেজার কামরুল আগের গাড়ি পরে আর পরের গাড়ি আগে দেওয়ার নামে গাড়ি থেকে যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে গাড়ি আগে পরে দেওয়ার কারনে গত ০৩/০৯/১৯ ই তারিখে একটি গাছ বোজাই ট্রাক গাছ নিয়ে ফেরিতে উঠার সময় ইলিশা ফেরিঘাটে অবস্থিত পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন আঃলীগ অফিস কার্যালয় গাছ বোজাই ট্রাকটি বেপড়ুয়া ভাবে চালনায় ট্রাকটি আঃলীগ অফিসের উপরে পরলে আঃলীগ অফিসটি দৌমরে মুচরে পরে মাঠির সাথে মিশে যায়। এসময় ইলিশা ইউনিয়ন শাখা কার্যালয়ের সামনে থাকা তিনটি মোটর সাইকেল ও সাথে থাকা একজন মোটর সাইকেল আরোহী গাছের নিছে পড়ে যায়। গাড়ি তিনটি দৌমরে মুচরে যায় এবং ট্রাকের গাছের নিছে পড়া মোটর সাইকেল আরোহী শাকিব কে গাছের নিচ থেকে উদ্বার করে এলাকাসি সহ ইলিশা ফাড়ির ইনসার্জ রতন তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। আহত শাকিব এর অবস্থা গুরতর। আহত শাকিব এর বাসা ভোলার পশ্চিম ইলিশা ১ নং ওয়াডের মাঝির বাড়ির ইয়ামিনের ছেলে বলে জানা যায়।
এদিকে সরেজমিনে গিয়ে খবর পাওয়া যায় গাড়িটি দুর্ঘটনার পর থেকে অদ্য পর্যান্ত গাড়ির ড্রাইভার সহ মালিক মালিক পক্ষের কাউকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এমনকি হাসপাতালে বেডে পরে থাকা মৃত্যুমুখী সাকিব এর খবর নিচ্ছেন মালিক পক্ষ।
আহত শাকিবের বাবা ইয়ামিন বলেন, আমার ছেলের যে ক্ষতি হয়েছে তা কিভাবে সুধরাবো জানি না আমার ছেলের এই বিপদের সময় এলাকাবাসি ছাড়া আমি গাড়ির মালিক পক্ষের কাউকে দেখছি না। আমার একার পক্ষের আমার ছেলেকে সুস্থ্য করা সম্ভব না।
সাকিবের বাবা বলেন, এদিকে আমার ছেলের ক্ষতি পূরন না দিয়ে উল্ট শুনা যাচ্ছে উপর মহল দিয়ে ভোলা থানার ওসিকে মেনেজ করে নাকি গাড়ি ছাড়ি নিবেন তবে আপনিরা সাংবাদিক জেনে রাখেন আমার গায়ে একফুটা রক্ত থাকা পর্যান্ত আমার ছেলে ক্ষতি পূরন না দিয়ে এখান থেকে গাড়ি নিতে দিবো না।
এদিকে ইলিশা ইউনিয়ন আঃলীগ কার্যালয় দৌমরে মুচরে পড়া কার্যালয়ের ক্ষতিপূরন সম্পর্কে ইলিশা ইউনিয়ন আঃলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও ইলিশা বাচাও নদী বাচাও কমিটির আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, এই অফিসটি একটি গুরুত্বপূর্ন অফিস এখানে সন্ধায় আমরা নেতা কর্মিরা সময় দলকে চাঙ্গা রাখার জন্য প্রতিনিয়ত আমরা সময় দেই আজ চারদিন অভার হয়ে গেল আমরা বসতে পারছি না। তিনি বলেন, আমাদের অফিস ভাংচুরের আনুমানিক প্রায় ৩ লাখ টাকার মত খরচ হইছে এবং অফিসের সামনে থাকা তিনটি ডিসকভার মোটর বাইক চুরমার হয়ে গেছে এবং একজন মোটর বাইক আরোহরী গাড়ির গাছের নিছে পড়ে আহত হয়েছেন। কিন্তু এত ক্ষতি হওয়ার পর ও আমরা গাড়ির মালিক সহ কাউকে ই খুজে পাচ্ছি না। উল্ট শুনছি তারা নাকি এখনে না এসে প্রশাসনকে মেনেজ করে গাড়ি ছাড়িয়ে নিয়ে যাবে আমরা ইলিশা বাসি তা হতে দিবো না ইনশাল্লাহ।
আনোর আরো বলেন, এ দূর্ঘটনা হতো না শুধু এই দূর্ঘটনার মুল নায়ক হলো ইলিশা ফেরিঘাট ম্যানেজার ইমরান ও কামরুল তারা পিছনের গাড়িতে থেকে মোটা অংকের চাঁদা নিয়ে পিছনের গাড়ি সামনে আনার কারনেই এই দূর্ঘটনা হয়।
তাদের চাঁদাবাজির অত্যাচারে অতিষ্ট গাড়ির চালকসহ স্থানীয় জনতারা। তাদেরকে দেখার কেউই নেই।
প্রশাসন নীরব।
ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রতন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান গাড়ির মালিককে এখনো পাওয়া যাচ্ছে না তবে আশা করি খুব শিগগিরই পাব আমরা গাড়ি মালিককে কাছে পেলে বিষয়টি ব্যবস্থা নিতে আমাদের পক্ষে খুব সহজ হবে । আপাতত গাড়ির মালিককে না পাওয়া পর্যন্ত গাড়িটি ছাড়ছি না।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।