ব্রেকিংঃ

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পাশে কাচিয়ার বিচ্ছিন্ন মাঝের চরে ত্রাণ নিয়ে গরিবের বন্ধু জহুরুল ইসলাম নকিব

এম জামিল হোসেন
ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদীর মাঝে অবস্থিত মাঝের চর এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্নিঝড় বুলবুলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ ২০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার কাচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলাম নকীব ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল, শুকনো খাবার বিতরণ করেন।

কার্যক্রম পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামাল হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়া উদ্দিন সহ জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষকবৃন্দ।

কাচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম নকীব বলেন, কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝের চর এলাকাটি মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ঝড় জলোচ্ছ্বাসে এখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এখানের বাসিন্দারা জীবিকা নির্বাহের জন্য এই চরে ধান, ক্যাপসিক্যাম, শসা, রেখা, মরিচ চাষাবাদ করে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে এখানে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হয়েছে। ভোলা সদর উপজেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মাঝের চরে। চরের যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের একটি তালিকা করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০০ পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, চিনি, তেল সহ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই চরে যেসব কৃষক চাষাবাদ করছে তারা বেশিরভাগই এনজিও সহ বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে দারদেনা করে ফসল উৎপাদন করে। কিন্তু ঝড়ে ফসল নষ্ট হওয়ায় তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যদি সরকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদেরকে বিনা সূদে ঋণের ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে তারা পুনরায় ফসল উৎপাদন করতে পারবে। এই জন্য তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এ ব্যাপারে সু-দৃষ্টি দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন।

সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ কামাল হোসেন বলেন, ভোলা সদরের কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝের চর এলাকাটি মেঘনার মাঝখানে হওয়ায় এখানে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।