ব্রেকিংঃ

সাংবাদিকতা পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ও সন্মানজনক পেশা

জনতার বাণী
সাংবাদিকতা সহজ নয়, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ও সন্মানজনক পেশা! তবে এটা সবার জন্য না। আমরা মানুষ শুধু চাওয়া পাওয়া নিয়ে হিসাব করি, সকল শ্রেণি পেশার মানুষেরই রয়েছে না পাওয়ার বেদনা। সাংবাদিকসহ সকল জনসাধারণের সচেতনতার অভাবে বাড়ছে বিভিন্ন জটিলতা। মানুষের অভিযোগের শেষ নেই, সকল পেশার মানুষেরই সমস্যা রয়েছে। সচেতন মহলের দাবি-জনসচেতনতার অভাবে অপরাধমুলক কর্মকান্ডও বাড়ছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে অনেক মা বোনের ইজ্জত দিতে হয়েছে, লাখ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন। শহীদের রক্ষের বিনিময়ে লাল সবুজের পতাকা ও স্বাধীনতা পেয়েছি আমরা, কিন্তু বেঈমান ও কিছু দুষ্টুলোকের কারণে মানবতার কল্যাণে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে অনেকেরই অভিমত।
দেশে কয়েক হাজার সংবাদ মাধ্যমের মধ্যে টেলিভিশন, জাতীয় পত্রিকা, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক ও অনলাইন পোর্টালসহ বিভিন্ন সংবাদপত্র রয়েছে, সেখানে লক্ষাধিক সংবাদ কর্মী এবং স্টাফ কাজ করেন। আইনজীবী, পুলিশ, সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিসহ সকল পেশায় কিছু বেঈমান ও দুষ্টু প্রকৃতির লোক থাকে, তারা মানুষের সাথে প্রতারণা করার কারণে প্রকৃত ভালো মানুষের বদনাম হচ্ছে। এসব প্রকৃতির মানুষ কিছু অপরাধীকে আটক কার হলেও আইনের ফাঁকফুকোর দিয়ে বেঁচে যাচ্ছে তারা, যারা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করছেন, একটু চিন্তা করে দেখেন যে, তারাই বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। ( সর্ব স্থানে বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতারণা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড)।
সারা দেশের তুলনায় ঢাকার প্রধান শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ায় জনসংখ্যা অনেক বেশি-প্রায় কোটি মানুষের বসবাস, ৭৫% জনসাধারণ এখানে বহিরাগত। এখানে সরকারি বেসরকারি অফিস রয়েছে অনেক। উক্ত এলাকায় কয়েক হাজার পোশাক কারখানা রয়েছে। এ এলাকায় তুলনামূলক সাংবাদিকের সংখ্যা অনেক কম। সাংবাদিকদের মধ্যে অনেকেই টিভি চ্যানেলে কর্মরত,অনেকেই জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইনে কর্মরত, সাংবাদিক সংগঠন ও ক্লাবে সদস্য হতে আগ্রহী থাকলেও বিভিন্ন কারণে তারা সদস্য হতে পারেন না, অনেকেই আবার নতুর করে আলাদা ভাবে সাংবাদিকদের নিয়ে সাংবাদিক সংগঠন করেছেন, কিন্তু তাদের মধ্যে বেশিরভাগ সাংবাদিকের ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারণে পিছিয়ে পড়েছেন তারা। উক্ত সাভার ও আশুলিয়ার সাংবাদিকদের মধ্যে আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের ২টি ভাগ হয়ে আলাদা ক্লাব করেছেন। ১, স্থানীয় হান্নান চৌধুরী, বনাম- ২, শাহাআলম। সেখানে দুইজনই সভাপতি দাবি করে আসছেন। একজন অন্যজনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একাধিক জিডি ও আদালতে মামলা করেছেন। তাদের এই বিবাদ ও শক্রতা সৃষ্টির কারণ হচ্ছে সভাপতি পদ নিয়ে। এ বিষয়ে মিমাংসার জন্য আশুলিয়া থানায় একাধিকবার বিচারের জন্য দিন দিয়ে বসা হলেও কেউ কারো ছাড় দিতে রাজি নয় বলে তারা জানান। এ ব্যাপারে রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি দাবি করে হান্নান চৌধুরী বলেন, আমি বৈধ সভাপতি। অপরজন শাহাআলম সভাপতি দাবি করে বলেন, আমিই সভাপতি! এ বিষয়ে সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম হেলাল শেখ ও আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক খোকা চৌধুরীসহ অনেকেই ওই দুই সভাপতিকে মিলমিশ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু দুই সভাপতিই কাউকেই মানছেন না, তারা তাদেরকে সভাপতি পদবি ও চেয়ার ছাড়তে রাজি নয়।অন্যদিকে সাভার উপজেলা কমিটি হয়েছে, ন্যাশনাল জার্নালিষ্ট ইউনিটিসহ একাধিক সংগঠন। বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ অবহেলিত সাংবাদিক, এক একটি সংগঠনে প্রায় ২০-৩০ জন সদস্য রয়েছেন বলে ওই সকল সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন। যে কোনো এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করার কাজে গেলে সংবাদ কর্মীদেরকে অনেকেই প্রশ্ন করেন যে, আপনারা কোন সংগঠনের সদস্য? অনেক সময় সাংবাদিকদের সাথে সাধারণ পাবলিক ও কিছু রানৈতিক নেতার হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে থাকে। অনেকেই মন্তব্য করেন যে, সাভার আশুলিয়ার সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ না হলে আগামীতে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, যেকোনো সময় হামলা, মামলার শিকার হতে পারেন তারা। কেউ কেউ নিউজ না করেও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করছে, পুলিশ এরই মধ্যে কয়েকজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বিশেষ করে সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা, সাংবাদিক শব্দ সহজ হলেও এই পেশায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি রয়েছে, আর এই পেশায় দেশ ও জাতির সম্পর্কে সকল বিষয়ে জানতে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি পড়তে হয়, সরকারি নিয়মনীতি মানতে হয়। “কলম সৈনিক অর্থাৎ সাংবাদিক দেশ ও জাতির বিবেক। ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির কল্যাণে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। একটি ভুল হলে সাংবাদিকদের উপর হামলা, মামলা করা হয়, এমনকি হত্যার শিকার হন সাংবাদিক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সবাইকে বলা হয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা করবেন, কিন্তু তার উল্টো দেখা যায়। পুলিশ কি কখনো সাংবাদিকদের বন্ধু হতে পেরেছেন ? কেউ কি খবর নিয়েছেন যে, সাংবাদিকরা কেমন আছেন? সাংবাদিকরাই আজকাল বেশি কষ্টে আছেন। জনগণের কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেও এর বিনিময় কি পাচ্ছেন সাংবাদিকরা? নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অনেক সাংবাদিক। বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলার শিকার হচ্ছেন অনেকেই।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১৮ কোটি জনগণ, সেই তুলনায় সাভার আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষ বসবাস করেন। তুলনামূলক আইনশৃঙ্খা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিকের সংখ্যায় অনেক কম এই এলাকায়। ধন্যবাদ জানাই তাদেরকে, যারা মানুষের কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। “পুলিশ, সাংবাদিক, আইনজীবি ও জনপ্রতিধিগণ, এই চারটি শব্দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ “কলম সৈনিক অর্থাৎ সাংবাদিক”। সাংবাদিক হতে চাইলে তা হওয়া অনেক কঠিন কাজ, নিউজ না করেই কার্ড গলায় ঝুঁলিয়ে অনেকেই পরিচয় দেন যে, আমি সাংবাদিক! ভুল ধরার মানুষ অনেক আছেন, কিন্তু কাজে তারা ঠনঠনাঠন। সাংবাদিকতা করতে সাংবাদিকতার আদর্শলিপিসহ বেশি বেশি বই পড়তে হয়, তারপর সংবাদ সংগ্রহ করে সেই সংবাদ পরিবেশন করা অনেক কঠিন, মুখে বড় বড় কথা, কাজের বেলায় নেই এককোনা। সবার সাংবাদিকতার আদর্শলিপি বই পড়া জরুরি, এই বইটিতে বেশিরভাগ শব্দ আছে যা সাংবাদিকদের জানা দরকার। যেমনঃ সংবাদের উৎসহের মত সংবাদের উপাদান কি?

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।