ব্রেকিংঃ

চেয়ারম্যান মিজান খানের নির্দেশে ই রাজাপুর- ইলিশায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আহত ১০

এইচ এম হারুন শাহ

: ভোলার ইলিশা রৌদ্রের হাট পাটি অফিসে সালিশি বৈঠকে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে দুই পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১০ টার সময় ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের রৌদ্রের হাট বাজারে এই ঘটনা ঘটেছে।

দুই পক্ষের হামলায় আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।

পুলিশ ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গত ১৭ নভেম্বর রাজাপুর ইউনিয়নে জুয়া খেলা নিয়ে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ০১নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোঃ মামুন ও রাজাপুর ইউনিয়নের ০৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুল খালেক এন ভাই মোঃ হারুনের সাথে তর্কবিতর্ক হয়।
জুয়া খেলাকে কেন্দ্রর সুত্র মতে রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান খাঁ রৌদ্রের হাটের পার্টি অফিসে উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিশি বৈঠকে বসেন।
বৈঠকের এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কবির্তক হয়। এক পর্যায় সংঘর্ষ বাঁধে।
আর এই সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়।

ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থুলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী
ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোঃ মামুন বেপারী জানান, গত ১৭ নভেম্বরের জুয়ার ঘটনা নিয়ে রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান খাঁ আমাকে রৌদ্রের হাট বাজারের পার্টি অফিসে আসতে বলে।
আমি পার্টি অফিসে এসে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলি কথার বলার এক পর্যায়ে বাচ্চু মাঝি ও ফারুক সহ কয়েকজন রাজাপুর এর চেয়ারম্যান মিজান কার নির্দেশে লাঠিয়াল বাহিনী পিছন থেকে আমাকে লাথি মারে।
আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আব্দুল খালেক, হারুন, রবিউদ্দিন সহ আরো ১০-২০ জন দেশীয় অস্ত্র বগি দাও ও চাইনিজ কুড়াল নিয়ে নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়।
প্রাণ বাঁচাতে আমি আমার বাবা ও ভাই বাড়িতে দৌঁড় দিলে তারা আমাদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
আমাদের বেপারী বাড়ির লোকজনের উপর তারা হামলা চালায়। হামলায় আমির হোসেন (৫০), সিরাজ (৫০) এবং, বাচ্চু (৩৫), জহির (৩৫) উপর হামলা চালিয়ে সহ ১০-২০ জনকে কুপিয়ে আহত করে। এবং মানুষের আজকে চেয়ারম্যানের নির্দেশে লাঠিয়াল বাহিনীরা অফিসের সামনে কবিতার আঙুল কেটে ফেলে দেন প্রত্যক্ষদর্শী তাকিয়েছিল তার লোকজন কুপিয়েছেন।

মামুন অশ্রু সিগ্ধ চোখে আরো জানান, মিজানুর রহমান মিজান চেয়ারম্যানের ইন্ধনে খালেক গ্রুপরা এমন অনাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে। এর আগে ও অনেকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল। খালেক গ্রুপেররাই চেয়ারম্যান মিজান এর আশ্রয়দাতা।

আব্দুল খালেক এর সাথে কথা বললে তিনি জানান হামলায় তাদের গ্রুপেরও ৩ -৪ জন আহত হয়েছে।

রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান খাঁ বলেন, দুই পক্ষের কোন পক্ষই আমার কথা শোনেননি। কেউই আমার আশ্রয়দাতা না।
তিনি বলেন, হঠাৎ সংঘর্ষের ঘটনা ঘঠে। পরিস্থিতি আমি নিয়ন্ত্রনে না আনতে পেরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ভোলা সদর মডেল থানার (ওসি) মোঃ এনায়েত হোসেন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা খবর পেলে আমি আমার ফোর্সদের ঘটনা স্থুলে পাটিয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে ওসি জানান কোন অভিযোগ না পাওয়ায় এখনো কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।