ব্রেকিংঃ

ভোলার আলীনগরে ৭ম শ্রেনীর ছাত্রীকে শ্লীতাহানী প্রতিবাদ করায় ছাত্রীর হাত ভেঙ্গে দিলেন শিক্ষক হুসাইন

এম রহমান রুবেলঃ
ভোলা সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়ের ৭ নং ওয়াডের দক্ষিণ আলিনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর পড়ুরা স্কুল ছাত্রী মোসাম্মদ আফরিন( ১২) কে শ্লীতাহানী করায় শিক্ষকের কু প্রস্তাবে ছাত্রী রাজি না হওয়ায় স্কুল শিক্ষক মাওলা মোঃ হুসাইন আহমেদ তাকে এলোপাথরি লাঠি দিয়ে পিটায় এক পর্যায় শিক্ষকের লাঠির বাড়ি থেকে রেই পেতে ছাত্রী নিজেই হাত দিয়ে ঠেকানোর চেস্টা করলে শিক্ষকের লাঠির আঘাতে ছাত্রীর হাত ভেঙ্গে যায়।

৭ম শ্রেনীর আফরিন জানান আমাকে প্রায় সময়ই আমাদের ধর্মীও শিক্ষক মাওঃ হুসাইন স্যার আমাকে কু প্রস্তাব দিত আমি তার কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি প্রায় সময় আমার উপর ক্ষিপ্ত ও রাগ চোখে তাকিয়ে থাকতেন। অবশেষে তিনি আজকে আমাকে লেজার পিরিয়ডে সময় ক্লাসে একা পেয়ে তিনি আমার পাশে এসে বসেন, পরে ভালো ভালো কথা বলা আরাম্ভ করলেন মাথায় পিঠে হাত ভুলালেন আস্তে আস্তে তিনি আমাকে বুকের সাথে জরিয়ে ধরলেন তখন আমি কোন দিশা না পেয়ে ডাক চিৎকার দিলে তিনি আমাকে তার হাতে থাকা মোঠা লাঠি এলোপাথরি পিটানো শুরু করলো যখন আমি আমার হাত ঠেকানোর চেস্টা করি তখন তার লাঠির আঘাতে আমার হাত ভেঙ্গে যায়। আমার ডাক চিৎকার শুনে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে উদ্ধার করে আমার মাকে ফোন করে আমাকে ভোলা সদর হাতপাতালে আনে এবং আমার হাত এক্স রে করলে তিনি দেখেন আমার হাত ভাঙ্গা।

এই ব্যাপরে মেয়ের মার সাথে আলাপ করলে তিনি জানান আমার মেয়ের পড়াশুনা নস্ট করার জন্য এই স্কুলে একটি দুস্ট চক্র কাজ করছে তারা হলো এই হুসাইন স্যারের উপদেস্টা তারা হলো আবুল বাশার, মোঃ আশ্রাফ আলি, মাইনদ্দিন তাদের প্রভাবে এই হুসাইন শিক্ষক আমার মেয়ের সর্বনাশ করার চেস্টা করছে।

এই মাওঃ হুসাইন স্যার জামাতের একজন সদস্য তিনি আগে ছাত্র শিবির করতেন এখন তিনি তার প্রভাবশালি উপদেস্টাদের প্রভাবে স্কুলে এইগুলো অপকর্ম করে বেরাচ্ছেন।
আমি এই ছাত্র শিবিরের শিক্ষক হুসাইনের দ্রিস্টান্তামুলোক শাস্তি কামনা করছি।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মেজবাহউদ্দিন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান আজকে যেটা হয়েছে সেটা অনাকাঙ্গিত।
যেটা হয়েছে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। তবে আমি আমার ছাত্রীকে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে এনে ডাক্তার দেখাইছি।
তিনি বলেন আমার শিক্ষক যেটা করেছে সেটা ভুল করেছে তার ভুলের মাশুল আমরা কেন নিব তার মাশুল সে ই নিজে দিবে।
অভিযুক্ত শিক্ষক মাওঃ হুসাইনের সাথে কথা বললে তিনি জানান সাংবাদিক অনেক দেখছি টাকা দিয়ে কিনা যায় আমি কিছু করিনাই যদি আপনারা যা পারেন করেন আমার কিছুই হবে না।
তিনি বলেন আমি পারিনি আমি শুধু আমার ছাত্রীর গায়ে একটু হাত দিয়েছি আর কিছু না এতে কি আমার অপরাধ হয়েছে। এতে যদি আমার অপরাধ হয় তাহলে অপনার জা করার তা করেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি জানান ভাই আমি ঢাকা আছি বিষয়টি শুনেছি চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছে তবে যা ঘটেছে তা সত্য এটার দ্রিস্টান্তমুলোক শাস্তি হবে আপনারা নিশ্চিত থাকেন।
আলিনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ আলিনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিংক কমিটির সভাপতি মোঃ বশির আহমেদ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে তবে শিক্ষক মেয়ের গায়ে হাত দেওয়া তাকে মারা এটা তার অপরাধ আমি ঢাকা আছি ঢাকা থেকে এসে এর যতাযত ব্যাবস্তা গ্রহন করবো যাতে এমন ঘৃনিত কাজ কোন শিক্ষক ছাত্রীর সাথে করতে না পারে।

ভিকটিমের বাবা রাহাত হোসেন এর সাথে কথা তিনি জানান এই জামাত শিবির শিক্ষকের দ্রিস্টান্তমুলোক শাস্তি কামনা করছি। এবং নরপিসাস এই শিক্ষকের নামে শ্লীতাহানী মামলা দায়ের করেছি।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।