ব্রেকিংঃ

ভোলার দৌলতখানে স্বামি ও শ্বাশুরি যৌতুকের জন্য পাশবিক নির্যাতন করলেন লিমাকে

তানবীর আহমেদ
দৌলতখান থেকে

দৌলতখানে যৌতুকের জন্য (চার) দিন ঘরে বন্দি রেখে গৃহবধুকে নির্মম নির্যাতন চালায় পাষণ্ড স্বামী ও শাশুড়ী। এতোটাই নিষ্ঠুর প্রকৃতির লোক তারা যে রুমে তালাবদ্ধ অবস্তায় খাবার দেওয়া হতো তাকে ২ বেলা পরে একবেলা খাবার দিতেন তাও সীমিত, সরকার যখন এই যৌতুক ও ভাল্য বিবাহ নিয়ে কঠোর অবস্থানে সেখানে জেনো ব্যাপরোয়া এই মানুষ রুপি অমানুষ গুলো, এতোটাই মা’র ধর করছে তাকে যে ব্যাথায় ছটপট করলেও দেওয়া হয় নি কোন ঔষধ।

চরপাতা ইউনিয়নের নলগোড়া ৩ নং ওয়ার্ডের বশির মিঝির ছোট মেয়ে লিমা(২২) প্রায় ৪ বছর পূর্বে বিয়ে দেওয়া হয় উওর জয়নগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ( মুন্সিরহাট) তাজল মাওলানা বাড়ির হারুনের ছেলে লিটন এর কাছে।৩ ভোন ১ ভাই এর মধ্যে সবার ছোট লিমা। বিয়ের কিছু দিন পর দুবাই চলে জান লিটন বিদেশ যাওয়ার আগে লিমাকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকার চাপ দেন লিটন পরে লিমা বাড়ি থেকে মানুষের কাছে থেকে তার বাবা ধার করে (২,০০,০০০) ২ লক্ষ টাকা এনে দেন তার জামাতার হাতে। লিটন পারি জমান দুবাই।
স্বপ্ন বড় হতে থাকে লিমার স্বামি স্বাভলম্ভি হবে।
বিদেশ যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে লিমার কোল জুড়ে পুঁটে আসে একমাএ মেয়ে রিয়া মনি বর্তমানে তার বয়স (৩) আর স্বামিকে গিড়ে কত আশা লিমার।কিন্তু বিদেশ থেকে ফিরেই পাল্টে যায় লিটনের চরিত্র যৌতুকের জন্য শুরু হয় নির্যাতন। সত নির্যাতন সহ করেও সংসার টিকানোর চেষ্টা লিমার, ১-১২-১৯ সকালে স্বামি প্রচন্ড মার ধর করে, আবার এর জের ধরে বিকালে শাশুড়ী লাকরি দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়ন লিমার প্রচুর রক্ত ক্ষরন হয় তার মাথা থেকে। ওর স্বামী একটি ফার্মিসিতে নিয়ে সেলাই করে তার মাথা ৮ টি সেলাই লাগে, পরে জোর পূর্বক তাকে বাড়ি নিয়ে রুমে তালা বদ্ধ করে আটকিয়ে রাখা হয়।তিন দিন পড় খবর পেয়ে মা দেখা করতে গেলে তাকেও তারিয়ে দেওয়া হয়। মেয়েকে বাচাতে চট্রগ্রাম থেকে দিনমুজুর পিতা ছুটে আসে। পরে তার বাবা দৌলতখান থানায় অভিযোগ দাখিল করে ৫-১২-১৯ বিকাল ৫ টায়। তাৎক্ষনিক থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ নির্যাতিতাকে উদ্ধারে জন্য এস,আই মেহেদী, এ,এস,আই সফিক সহ ফোর্স পাঠানো হয়।পরে তাদের রাত ৭ টা ৩০ মিনিটে উদ্ধার করে দৌলতখান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।