ব্রেকিংঃ

গ্রীনলাইন -এডভান্সারে মহিলা যাত্রীরা নীরুপায় ও বিপাকে

গ্রিনলাইন-এডভান্সারের মহিলা যাত্রীরা নীরুপায়/ বিপাকে

এম রহমান রুবেল
ভোলায় বহু আঙ্গাকিত দীর্ঘদিনের ভোলার মানুষের স্বপ্ন পূরনে দ্রুত সময় ভোলা থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে নতুন দুই অত্যাধুনিক হাই স্প্রিড বোড এডভান্সার-গ্রিনলাইন নামে পরিচিত এই দুইটি জাহাজ দেওয়াতে খুব উপকৃত হয়েছেন ভোলার জনগন কিন্তু জাহাজ দুইটি পেয়ে উপকৃত হয়েছেন ঠিকই কিন্তু জাহাজের ভিতর উঠে নীরুপায় লঞ্চের মহিলা যাত্রীরা বিপাকে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার সময় হাই স্ট্রিপবোর্ড এডভান্সার নামে পরিচিত এই জাহাজটি এক ভদ্র মহিলা সুমনা শুরমা তিনি একা ঢাকার উদ্দেশ্য রহনা হলেন, কিন্তু ভিতরে উঠে মহিলাদের সাথে মহিলা সিট না পেয়ে পুরুষের পাশে বসে নীরুপায় বিপাকে পরতে হয়েছে সুমনা শুরমা বেগম।
তিনি জানিয়েছেন, এডান্সারে উঠে ভালো লাগলো কিন্তু যখন বসলাম তখন খারাপ লাগছে যখন দেখি পুরুষের পাশে মহিলার সিট তখন।
তিনি বলেন, এমনভাবে ভিতরে সিটগুলো তৈরি করা হয়েছে যাতে করে পুরুষের গায়ের সাথে এবং হাতের সাথে হাত ও পায়ের সাথে পা সংঘর্ষন লেগে যায় তখন ঐ সময় একটি মহিলা পুরুষের মাঝখানে সিট পেয়ে নিরাপদ ভাবে না বসে নীরুপায় ও বিপাকে পরতে হয়।
অনেক সময় পুরুষ যাত্রীর পাশে বসলে তিনি মহিলাদের একা পেয়ে কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যেই নানান রকমের প্রশ্ন করতে দেখা যায় তখন একজন নারীর কাছে বিষটি অসহায় ও নীরিপায় হয়ে দাড়ায়। কারন তখন তার পাশে বসে কথা না বলে ও পাড়া যায় না।
এমতোস্থায় সুমনা শুরমার লঞ্চ কতৃপক্ষের কাছে দাবি জানান দ্রুত সময়ের মধ্য যদি মহিলা যাত্রীর জন্য গাড়ির সিটের মত ভিন্ন কয়টা সিট করা যেত তাহলে মহিলা যাত্রীরা পুরুষ যাত্রীর মত স্বাচ্ছনে গন্তব্য স্থানে আনন্দের সাথে নিরাপথে নীরুপায় না হয়ে এবং বিপাকে না পড়ে তারা সুন্দর ভাবে গন্তব্য স্থানে পৌছতে পারতেন বলে, জানান শুরমা বেগম।

ভোলা জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, মহিলারা আসলেই অসহায় ও নীরুপায় যখন লঞ্চ উঠে দেখে চার জন পুরুষের পাশে একজন মহিলার সিট তখন তার কাছে অসহায় এতিম ছাড়া আর কি হতে পারে। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ প্রতিটি গাড়িতে মহিলাদের জন্য ভিন্ন আলাদা সিট করা সেখানে পুরুষের সিটের মধ্যখানে মহিলা বসানো এটা খুব দুঃখজন ছাড়া আর কি হতে পারে আমার এই সভ্য সমাজে আমি চিন্তা ও করতে পারিনী
তিনি বলেন, আমি লঞ্চ কতৃপক্ষের কাছে জোর অনুরোধ জানাচ্ছি যেহেতু মহিলাদের এই ভিন্ন সিটের ব্যাবস্থা করা হয়।
এদিকে ভোলা জেলা কৃষকলীগের সভাপতি আল মামুনুর রশিদ জানান, বিষটি আসলেই খুব দুঃখজনক কারন ১০ জন পুরুষের মাঝে একজন মহিলা যাত্রী আসলেই সে অসহায় বোধ করে তখন সে নীরুপায় ও বিপাকে পরা ছাড়া তার আর কোন পথ থাকেনা।

জনতার বাণী ডট কমের রিপোটার এইচ এম হারুন শাহ জানান, এডভান্সার ও গ্রিনলাইনে যে নাস্তা দেওয়া হয় লঞ্চ যাত্রীরা মনে করেন এসম্ত নাস্তা শুধু বাচ্ছাদের জন্য উপযোগী।
এটা নাস্তার ভিতরে পরে না।

দৈনিক আজকের পরিবর্তন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সিনিয়র রিপোটার মেজবাউদ্দিন টুটুল জানান ইকোনো মিক্স টিকেটের জন্য ৬০০ আর বিজনেস ৮০০ টাকা নেওয়া হয় এটা যাত্রীদের জন্য অনেক বেশি হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন, ইকোনো ৫০০ আর বিজনেস ৬০০ করলে যাত্রীদের জন্য অনেক ভালো হতো নিরাপথে এবং দ্রুত সময় আমরা গন্তব্যপথে পৌছতে কষ্ট হতো না।
বাংলাবাজের সুমন অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার সকালে আমি আমার পরিবারকে এডভান্সারে উঠাইতে গিয়ে আমি নামতে পাড়ি নাই তখন এডভান্সারটি ঘাটের কাছেই ছিল কিন্তু আমাকে নামিয়ে দেননী সুপার ভাইজার আমাকে ঢাকা নিয়ে গেছেন এবং পূনরায় আমি একই লঞ্চে আবার টিকেট কেটে বাড়ি ফিরি আমার সাথে তারা খুব দুর ব্যাবহার করেছে আমার ছোট বাচ্ছাটা কে নিয়ে না খেয়ে অনেক কস্ট করেছি আমি তাদের এই দুর ব্যাবহারের কথা কখনো ভুলবো লঞ্জ কতৃপক্ষের দুই মিনিটের জন্য আমার ১২০০ শত টাকা লাগলো।
আমি লঞ্চ কতৃপক্ষের কাছে এটার দৃষ্ট্রান্তমুলোক শাস্তি কামনা করছি।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।