ব্রেকিংঃ

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ভোলা থেকে বরিশালে পাঠানো হচ্ছে ইলিশ

এম রহমান রুবেল
ইলিশ শিকার ও, বাজারজাতকরণসহ রয়েছে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা।
তার পরেও থেমে নেই ইলিশ শিকার। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ভোলা থেকে বরিশালে প্রতিদিন পাঠানো হচ্ছে লাখ লাখ টাকার ইলিশ। ইলিশের দাম ভালো থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের এই অবৈধ রমরমা ইলিশ পাচারের ব্যবসা।

ইলিশা ঘাটসহ আশপাশের এলাকা দিয়ে প্রতিনিয়তই বরিশালে পাঠানো হচ্ছে ইলিশ। ঘাটের পাশে কোস্টগার্ডের পল্টন থাকা সত্ত্বেও এখান দিয়ে চলছে রমরমা ইলিশের ব্যবসা। অন্যদিকে অভিযান চলাকালীন সময়ে ও স্থানীয় প্রশাসনের নেই কোন তৎপরতা। যার কারণে এসকল অসাধু ব্যবসায়ীরা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ইলিশ পাচারের বাণিজ্যক ব্যাবসা।

ইলিশ শিকারে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মৎস্য বিভাগের নেই কোন ভূমিকা।

ইলিশা ঘাটের একজন বলেন, রাত আর দিন নাই প্রতিদিনই এখান দিয়ে অসংখ্য মাছ বরিশাল এবং লক্ষিপুর পাঠানো হচ্ছে। প্রশাসনের ভূমিকা না থাকায় উন্মুক্ত ভাবেই ব্যবসায়ীরা বরিশালে পাঠাচ্ছেন ইলিশ মাছ।

বিগত বছরের মতো চোখে পড়ে না প্রশাসনের চোখে পড়ার মত অভিযান।
ঘাটের পাশে কোস্টগার্ডের পল্টন তার পরেও এখানেই উন্মুক্তভাবে পাঠানো হচ্ছে ইলিশ।

উল্লেখ, (১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২০) টানা ২ মাসের জন্য ভোলার মেঘনাও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় সবধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার।
এ সময় ইলিশ ধরা, পরিবহন ও বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রশাসন নাম মাত্র অভিযান চালালেও সরেজমিন ঘুরে দেখা জেলেরা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করছে।
জনমনে প্রশ্ন হয়েই দাঁড়িয়েছে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও ইলিশ শিকার এবং ভোলায় ক্রয় বিক্রয় চলছে ধুম। প্রশাসনের নাকের ডোকা দিয়ে ইলিশ মাছ শিকারে সচেতন মহলে ক্ষোভ সৃস্টি হয়েছে।
তারা জানান এবারের অভিযান মনে হয় অভিযান না। প্রশান দেখেও না দেখার ভান করছে। তার কারন এবারের ইলিশ অভিযানে প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি ভোলায়।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।