ব্রেকিংঃ

ভোলায় জমি আত্নসাতকে কেন্দ্র করে মা সন্তানকে হত্যা করে ঘটনা ভিন্ন খাতের দিকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ চলছে।।

ভোলা প্রতিনিধি!
ভোলায় জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর অফজাল ১ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনাটি ঘটে।
আঃ মন্নান ও তার স্ত্রী মোরশেদা বেগম জানায়, আঃ মান্ননের সাথে তার স্ত্রীর সৎ ভাই মিলন নপ্তির সাথে জমিজমা নিয়ে তুখোর বিরোধ চলছিলো। আঃ মন্নান মিয়ার বাড়ি থেকে মিলন নপ্তির বাড়ি ব্যবধান প্রায় আধা কিলোমিটার। কিন্তু সেই বিরোধিয় সম্পতিটি ছিলো মিলন নপ্তির বসত ঘরের কাছে। সেই বিরোধিয় সম্পতিতে আঃ মন্নানের কিছুটা মানুষিক প্রতিবন্ধি ছেলে মাহবুব আলম ঘর তুলে স্ত্রী জাহানারা বেগম এবং তার ৬ বছরের বাচ্ছাকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলো। বিভিন্ন সময় মিলন নাপ্তি লোকজন সহকারে মাহবুব ও তার স্ত্রী জাহানারাকে মারধর করতো। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবেও অনেক বার শালিশ বিচার হয়েছে। কোন প্রকারে মিলন নাপ্তিরা ক্ষান্ত না হয়ে পূর্ন্যরায় পুত্র বধু জাহানারাকে হত্যার উদ্দ্যেশ মারপিট করলে স্থানীয়রা তাদেরকে রক্ষ করেছে এমনটা উল্ল্যেখ করে জাহানারা বেগম বাদি হয়ে বিষয়টি নিয়ে মামলা মোয়াক্কাদমাও করেছিলো
বলেও তারা জানায়। মামলা মোয়াক্কদমা করেও শেষ রক্ষা হলোনা পুত্র বধু জাহানারা বেগমের, এমনটাই দাবি করে আঃ মন্নান ও তার স্ত্রী মোরশেদা বেগম আরো জানায়, ২০১৮ সালের মার্চ মাসের ৩ তারিখে আঃ মন্নান ও তার স্ত্রী নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো, রাত প্রায় ১ টার সময় হঠাৎ স্থানীয় একজন এসে তাদেরকে জানায়যে তাদের কিছুটা মানুষিক ভারসাম্যহীন ছেলে মাহবুব আলমকে বেধে রেখে মাহবুবের স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। এমন খবর শুনে তারা ঘটনা স্থলে ছুটে গিয়ে দেখেন যে ঐ বসত ঘরের ভিতর পুত্র বধু জাহানারার জবাইকৃত লাশ পরে আছে ও ৬ বছরের নাতিকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেন এবং ছেলেকে স্থানীয়রা বাঁধ খুলে দিয়েছে। কিছুক্ষন পরে তরিগরি করে লাশ ঘর থেকে বের করে নিয়ে পুলিশ নিহতের স্বামী মাহবুব, শশুর আঃ মন্নান, শাশুরি মোরশেদা বেগম ও দেবর ইব্রাহীমকে থানায় গিয়ে কথা আছে বলে নিয়ে যায়। এর পর থানায় নিয়ে শাশুরি মোরশেদাকে পুরুষ পুলিশ কর্তৃক নির্মম ভাবে পিটিয়ে পুরো শরীর রক্ত জখম করা হয়, শশুর আঃ মন্নানকে পা উপর দিকে দিয়ে টানিয়ে পিটিয়ে রক্ত জখম করা অজ্ঞান করা হয়। যদিও নিহতের স্বামী কিছুটা মানুষিক ভারসাম্যহীন মাহবুবকে খাইয়ে পরিয়ে বিভিন্ন আনন্দ দিয়ে আদর যত্ন করেছিলো। অন্যদিকে ঘটনার খবর শুনে শশুর বাড়ি থেকে দেখতে আসা ননদ মোসাঃ খাদিজাকে আটক করে একদিন থানায় রেখে পরের দিন ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এর পর খাদিজাকে ছেড়ে দিয়ে আটককৃত অন্যান্যদেরকে আসামী করে নিহত জাহানারার মাকে বাদি বানিয়ে কোর্টে চালান দেওয়া হয়।
দুদিন পরে ঐ ঘরের পিছনে শিশু সন্তানের ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়।
আঃ মন্নানের মেয়ে মোসাম্মদ আয়েশা বেগম জানায়, পরিবারের প্রায় সবাইকে জেলে পাঠানোর কারনে ঘর প্রায় খালি হয়ে যায়। তাই মেয়ে আয়েশা বেগম ছোট ভাইকে নিয়ে ঘরে একা থাকতে বাধ্য হয়, এসুযোগে স্থানীয় চৌকিদার ইব্রাহীম ও স্থানীয় মেম্বার আঃ রহমান বিভিন্ন সময় গভির রাতে তাদের বাড়ি গিয়ে তাকে কু প্রস্তাব দিতো। কু প্রস্তাবে রাজি নাহলে তাকেও থানায় নিয়ে নির্মম ভাবে নির্যাতন করা হবে বলেও হুমকি ধমকি দিত। বিভিন্ন সময় তাকে শারিরিক নির্যাতনও করতো। দীর্ঘ কয়েকমাস মানুষিক শারিক নির্যাতন করার পর তার বাবা মা জেল থেকে বের হবার পর অনেকটা ক্ষান্ত হয়। বর্তমানে এখনো অনেকেই আরো হুমকি ধমকি দিয়ে চলছে। আক্ষেপ করে তারা আরো জানায়, যাদের সাথে তার পুত্র এবং পুত্র বধুর মামলা চলছিলো পুলিশ তাদেরকে না জরিয়ে উল্টো আঃ মন্নান ও তার পরিবারকে মামলা মোয়াক্কদমা দিয়ে জেল খাটিয়ে হয়রানি করছে। তিনি বিষয়টির বিচার দাবি করেছেন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।