ব্রেকিংঃ

ভোলার পশ্চিম ইলিশায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারনা মুখামুখি সংঘর্ষ ইউপি সদস্যকে হত্যার চেস্টা জনমনে আতঙ্ক।।

স্টাফ রিপোটার।।

ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দুই ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারনার মুখামুখি সংঘর্ষে জনমনে আতঙ্ক এলাকা ঘিরে থমেথমে বিরাজমান। ঘটনাস্থলে পুলিশী টহল জোরদার।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন ও নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জহিরুল ইসলাম বাঘার হাওলা বাজারে প্রচারনায় নামলে সেখানে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী মুখামুখি হলে উভয়ের সমর্থকবৃন্দের মধ্যে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতি ইট পাটকেল নিক্ষেপ এবং পোটকা পুটানো হয়।

ক্ষনিকই পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে উভয়কে শান্ত করে যার যার অবস্থানে ফিরে যেতে বলেন।

সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমানে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন জানান,আজ সন্ধ্যায় আমি বাঘার হাওলা বাজার সংলগ্ন একটি বাড়িতে উঠান বৈঠকে প্রচারনা সমাপ্তি শেষ করে বাঘার হাওলা বাজারে এসে পৌছলে সেখানে নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর জহিরের সাথে আমার মুখামুখি হলে সে আমাকে দেখে রেগে গিয়ে দৌড়ে কাছে এসে বলে একদম খেয়ে ফেলবো সাথে সাথে তার সমর্থকরা উত্তেজনা সৃষ্টি করে ইট পাটকেল পোটকা মেরে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেস্টা করে এবং আমাকে আটকে রেখে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে।
পরে আমি থানায় ফোন করলে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌছে দেয়।

ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি শাহে আলম ও যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ফারুক গাঁজি জানান,দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারনা শেষে বাঘার হাওলায় এসে মুখামুখি হয় সেখানে একে অন্যর সাথে তর্কাতর্কি ও সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং জনমনে আতংক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে বিরাজমান রয়েছেন।

নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জহিরুল ইসলাম এর কাছে সংঘর্ষের ঘটনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে চলে যান।

শনিবার ১৮ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ১ টার সময় ৫ নং ওয়াড ইউপি সদস্য সেলিম সেলিম হাঃ পুত্র শামিম অর্তকির্ত ভাবে বিশ্বরোড হাওলাদার বাজারে সারের ডিলার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী রফিউদ্দিন কে ছুড়ি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য জবাই করে চেস্টা করার সময় তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।

আহত রফিউদ্দিন জানান, আমাকে হত্যা করে সেলিম হাঃ একক ভাবে ইউপি সদস্য হবেন তাই তাই তার ছেলে শামিম আজ আমার দোকানে ডুকে আমাকে ছুরি দিয়ে আমার গলায় পোছ দিয়ে মাঠিতে ফেলে দেয় এবং আমার ক্যাশে থাকা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিযে যায়। আমি শামিম সহ অভিযুক্তদের বিচার চাই।

অভিযুক্ত সেলিম হাঃ এর পুত্র শামিম জানান নৌকা কে ডুবিয়ে দিবে বলে হাওলাদর বাজারে বলতেছে তাই আমি তার কথা শুনে সেখানে গেছিলাম কিন্তু হত্যার উদ্দেশ্য যাইনি আর ছুরি দিয়ে ও আঘাত করি নাই।

এব্যাপারে ভোলা সদর থানার তদন্ত ওসি আরমান হোসেন ঘটনাস্থল থেকে জানান,আমরা সংঘর্ষের খবর শুনে এসেছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে এখানে কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে নাই।
আমরা সবাইকে যার যার অবস্থানে চলে যেতে বলি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। যে কোন দুর্ঘনা এড়াতে আমরা সর্বদা সজাক আছি মানুষের জানমাল নিরাপত্তা দিতে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।