ব্রেকিংঃ

ভোলার পশ্চিম ইলিশায় দলীয় প্রতিক পেয়ে বেসামাল চেয়ারম্যান প্রার্থী জহির! বোমা হামলা! অস্ত্রের মহড়া! জখম

ভোলা প্রতিনিধি!

আসন্ন ইউপি নির্বাচনে ভোলার পশ্চিম ইলিশায় ইয়াবা ব্যাবসায়ী হিসাবে খ্যাত জহিরুল ইসলাম জহির দলীয় প্রতিক পাওয়ায় বেসামাল হয়ে পরেছে। গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক বোমা বিষ্ফরণ, অস্ত্রের মহড়া ও সন্ত্রসী হামলা করে যাচ্ছেন। তার হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা বৃদ্ধ জোয়ান এমনকি কিশোররাও। এসব ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সেখানকার ইউপি নির্বাচন। ভোটের দিন তা তার পূর্বে পরিবেশ শান্ত থাকবে কিনা তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ ভোটাররা।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি জাতীয় পার্টি-বিজেপি ভোলা সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন মানিক বাঘার বাড়িতে রোববার রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক সন্দেহ নৌকা প্রতীকের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে তাহিম এবং ফাহিম নামের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা মুহুর্মুহু বোমাবাজির ঘটনা ঘটায়। শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের বাবাকেও আহত করে।
বিজেপি নেতা মানিক বাঘা জানান, তার ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির গত কয়েকদিন ধরেই তাকে নৌকার পক্ষে কাজ করার অনুরোধ করে আসছেন এতে তিনি রাজি না হওয়ায় গতকাল রবিবার রাত আনুমানিক নয়টার দিকে নৌকার দুই থেকে তিনশত মানুষের একটি সংঘবদ্ধ দল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে নারী এবং শিশুরা ঘরের ভেতরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তিনি এবং তার ছেলে বিষয়টি জানতে চাইলে সন্ত্রাসীরা তার ছেলে হিরন বাঘার উপর হামলা চালায়। এরপর তারা হিরন বাঘার দুই ছেলে কলেজ ছাত্র তাহিম ও ফাহিমের উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এ বিষয়ে তিনি পুলিশ প্রশাসনকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আওয়ামীলীগ দলীয় একাধিক নেতা আক্ষেপ করে জানিয়েছেন, জনগনের জান মালের নিরাপত্তা ও গ্রামীন উন্নয়নের জন্য দলনেত্রীর নির্দেশে জহিরুল ইসলাম জহিরকে চেয়ারম্যান নির্বাচনে অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা দল থেকে নৌকা প্রতিকে মনোনয়ন দেয়েছে। দেওয়ার পূর্বে তার নোংরামিটা ফুটে উঠেনাই। তবে এখন জহির যে কর্মকান্ড করে যাচ্ছে তাতে নৌকা তথা দলের বদনাম হচ্ছে। তাকে নৌকা প্রতিকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্তটা ভূল ছিলো বলেও তারা মন্তব্য করে বলেন এসব বিষয় গুলো তারা তাদের প্রিয় নেতাকে জানিয়েছেন।
ভোলা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, নির্বাচনী সহিংসতার ব্যাপারে এসপি সাহেবের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে, তাই নির্বাচনী মূহুর্তে পুলিশ সজাগ রয়েছে, আজকের বিষয়টি তিনি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা নিবেন বলেও জানিয়েছেন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।