ব্রেকিংঃ

কিশোর গ্যাং কালচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবেঃ ভোলায় পুলিশ সুপার।।

স্টাফ রিপোটার।।

ভোলায় কিশোরগ্যাং প্রতিরোধে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের সাথে নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) ভোলার স্থানীয় দৈনিক ভোলার বাণী পত্রিকার পক্ষ থেকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ ও সুরক্ষা এবং নারী ও শিশু বান্ধব সংবাদ পরিবেশনে সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সদস্যদের করণীয় ও ভূমিকা নিয়ে সংলাপ করা হয়।কিশোর গ্যাং এর ফলে কি ঘটে, প্রতিরোধে সুফল, কুফল ও প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুরুত্বারোপ করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক ভোলার বাণী পত্রিকার সম্পাদক এম মাকসুদুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত  ছিলেন ভোলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম।

এসময় পুলিশ সুপারকে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রবীন সাংবাদিক এম এ তাহের ও ভোলার বাণীর সম্পাদক এম মাকসুদুর রহমান সহ পরিবার বর্গ।

আয়োজক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ভোলার প্রথম সাংবাদিক জনাব এম এ তাহের, বাসস এর সাবেক জেলা প্রতিনিধি বীর মুক্তি যোদ্ধা মোঃ নিরব, আর টিভি জেলা প্রতিনিধি ভোলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ রায় অপু,মানব জমিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান, দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার জেলাপ্রতিনিধি এইচ এম নাহিদ,মোজাম্মেল হক মিলন, আনন্দ টেলিভিশন এর ভোলা প্রতিনিধি এম রহমান রুবেল, জনতার বাণী নির্বাহি সম্পাদক জামিল হোসেন সহ ভিবিন্ন প্রিন্ট ইলেকট্রনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। এসময় সাংবাদিকবৃন্দ কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ে পৃথক পৃথক মন্তব্য মাননীয় পুলিশ সুপার মহদয়কে জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম বলেন কিশোর গ্যাং কালচার প্রতিরোধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়া দরকার।

এজন্য অধিকারবঞ্চিত কিশোরদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা ও বাঁচার অধিকার দিতে হবে তাদের। কিশোররা উপযুক্ত শিক্ষা নিয়ে যোগ্যতা অনুসারে কাজ করার সুযোগ পেলে কখনও অপরাধে জড়াবে না। এ জন্য সর্বস্তরের শিশুর জন্য সুশিক্ষা দানের ব্যবস্থা নিতে হবে। নিবৃত্ত শিশুদের জন্য স্বল্পমেয়াদি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিতে হবে। কিশোরদের খেলাধুলা ও বিনোদন সুবিধা দিতে হবে। ছিন্নমূল কিশোরদের করতে হবে পুনর্বাসন। অপরাধ চক্রে জড়িয়ে যাওয়া কিশোরদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার পাশাপাশি ওদের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে উন্নত চিন্তা-চেতনা নিয়ে বেড়ে ওঠার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণসহ সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করাও জরুরি। কিশোর গ্যাং কালচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।