ব্রেকিংঃ

ভোলায় আনসার কমান্ড্যান্ট অফিসারের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা’র অভিযোগ।।

স্টাফ রিপোটার।। ভোলা জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট অফিসার আহসান উল্লাহর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে বিভিন্ন যুবকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট অফিসের নৈশ‌ প্রহরী নূরনবীর মাধ্যমে পারিবারিক শাখায় চাকরি দেওয়ার নামে বেশ কয়েকজন যুবকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। চাকরি প্রার্থী বাপ্তা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের কাঞ্চনের ছেলে নূরনবী অভিযোগ করে জানায়, সার্কুলার পেয়ে আবেদন করলে অফিসের নৈশ প্রহরী নরনববী তার মোবাইলে ফোন দিয়ে তাকে জেলা কমানড্যাট অফিসার আহসান উল্লাহর কক্ষে নিয়ে যায়। ১ বছর চুক্তি ভিত্তিক চাকরি করতে হলে জেলা কমান্ড্যাট অফিসারকে ৩০ হাজার টাকা দেয়ার সিদ্ধান্তের আলোকে চাকরি করতে রাজি হয় নুরনবী।

সে অনুযায়ী নৈশ প্রহরীর কাছে ৩০ হাজার টাকা জমা দেয়। কিন্তু টাকা দিয়েও দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পরেও চাকরি পায়নি নুরনবী। একই ভাবে সফিক,সুমন ও জাকিরসহ আরও অর্ধশতাধিক যুবকের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন অফিসার আহসান উল্লাহ। দু’একজনকে চাকুরি দিয়ে অন্যদের কাছ থেকে টাকা নিয়েও চাকরি দেননি। নির্ধারিত সময়ে চাকরি না পেয়ে সাংবাদিকদের কাছে ভুক্তভোগীদের কয়েকজন অভিযোগ করেন। এ খবর জানতে পেয়ে রাতের অন্ধকারে গোপনে বাড়িতে গিয়ে একজনকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছেন ওই কর্মকর্তা।এ ব্যাপারে গত ১৪/৬/২০২৩ ইং তারিখ ১২ টার সময় সাংবাদিকরা আনসার ও ভিডিপির জেলা কার্যালয়ের নৈশ প্রহরী নূর নবীর সাথে কথা বলার সময় সেখানে জেলা কমান্ড্যান্ট অফিসার আহসান উল্লাহ এসে সাংবাদিকদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি খুবই উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণ করেন। এ সময় সাংবাদিকরা চাকরি দেওয়ার নামে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে সে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।