ব্রেকিংঃ

ভোলার তজুমউদ্দিনে ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমানের সমর্থকদের বাড়ীঘরে হামলা,ভাঙচুর ও লুটপাট এর অভিযোগ।।

স্টাফ রিপোর্টা।।রভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নে বর্তমান এমপি নুরুন্নবী চৌধুরীর শাওন এর সমর্থক গ্রুপ এর বিরুদ্ধে ভোলা-৩ আসনের (লালমোহন তজুমদ্দিন) মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার এর সমর্থকদের উপর হামলার ভাঙচুর লুটপাট এর অভিযোগ উঠেছে । এ হামলা ও ভাঙচুর লুটপাট এবং সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে । ১৫টি দোকান ও ৮টি বসতঘরে ভাংচুর লুটপাট করা হয়েছে। গত রবিবার (২৫শে জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় এসব ঘটনা ঘটে। চাচড়া ইউনিয়নের বর্তমান মেম্বার ফিরোজ মেম্বার বাদী হয়ে ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার এর সমর্থক রিয়াদ হোসেন হান্নান চেয়ারম্যান সহ ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫০ জনকে অজ্ঞাত রেখে একটি মামলা দায়ের করেন। তার করা মামলায় নোমান হাওলাদার এর সমর্থকদের মধ্যে থেকে ৩ নারী সহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে তজুমদ্দিন পুলিশ।এ ঘটনায় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পাঁচজন। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে।২৬শে জুন দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাচড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান বাজার ও সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নান মিয়ার বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় সব লণ্ডভণ্ড, হান্নান চেয়ারম্যানের নিজ ঘর সহ তার আত্মীয়-স্বজনদের ঘর ভাঙচুর করে সব লুটপাট করেছে হামলাকারীরা। একই চিত্র দেখা যায় হান্নান চেয়ারম্যান বাড়ী সংলগ্ম চেয়ারম্যান বাজার ও তার পাশের বাড়িতে। হামলাকারীদের নির্মমতা থেকে রক্ষা পায়নি মসজিদের মুয়াজ্জিনের ছোট একটি চায়ের দোকানও। বোরাক ড্রাইভারদের ২ টি বোরাক ও ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।স্থানীয়রা জানান, রবিবার বেলা ১১টার দিকে অন্য জায়গার একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাচড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রিয়াদ হোসেন হান্নানের বাড়িতে তল্লাশি করতে যায় পুলিশের একটি টিম। পুলিশের সঙ্গে বর্তমান চেয়ারম্যান আবু তাহের নিজে ও তার সমর্থকরা স্বশরীরে উপস্থিত থেকে বাড়িতে তল্লাশি করতে চাই বিদায় তারা বাড়ির ভিতরে তাদেরকে ঢুকতে দেয়নি। এ সময় আবু নোমান হাওলাদার এর সমর্থকদের বাধায় তারা ফিরে যায়। তার ঘন্টাখানেক পর লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় কয়েক শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নানের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এরই সাথে সাথে তার বাড়ির সামনে থাকা বাজারে ও তার পার্শ্ববর্তী বাড়িতে একই ঘটনা ঘটায়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বর্তমান চেয়ারম্যানের কয়েক শতাধিক কর্মী–সমর্থক আবারো আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়িতে ও এলাকায় হামলা চালিয়ে লুটপাট ভাংচুর করে।হান্নান চেয়ারম্যান এর চাচাতো ভাই মাকসুদ আলম বলেন, আমরা ভোলা-৩ আসনের আওয়ামীলীগ এর মনোনয়ন প্রত্যাশী আবু নোমান হাওলাদার এর সমর্থক হওয়ায় বর্তমান এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন এর সমর্থক তাহের চেয়ারম্যান এর নেতৃত্বে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আমাদের বাড়ীঘরে হামলা, ভাংচুর করেছে। নুরজাহান বেগম নামের ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, পুলিশের সামনেই তাহের চেয়ারম্যান এর লোকেরা আমাদের সব ভাংচুর করে নিয়ে গেছে। আমরা এখন জীবন নিয়ে শঙ্কিত আছি বলেও জানান ওই নারী।নিরব হোসেন নামের এক যুবলীগ কর্মী বলেন, আমরা নোমান হাওলাদার এর লোক এটাই আমাদের অপরাধ। যার জন্য আমাদের উপর হামলা করে, আমাদের বাড়ীঘর ভাঙচুর করে আবার উল্টা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।হান্নান চেয়ারম্যান এর ভাতিজা জিহাদ বলেন, ২০০১ সাল এর বিএনপি জামাত কে ও হার মানিয়েছে আমাদের বাড়ীর ঘটনা। পুলিশের সামনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাহের চেয়ারম্যান এর নেতৃত্বে আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে। আমাদের অপরাধ আমরা নোমান হাওলাদার এর সমর্থক।চেয়ারম্যান মো. রিয়াদ হোসেন হান্নান বলেন, আমি ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের সমর্থক। এ জন্য একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ও আমার লোকজনকে হয়রানি করছে। তিনি বলেন, আমার বাড়ীঘরে হামলা করলো, আমার সমর্থকদের দোকানপাট লুট করলো তার পরেও পুলিশ উল্টা আমার ছয় সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের উপস্থিতিতে বর্তমান চাচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহেরের সমর্থকেরা তাঁর বাড়িতে দুইবার হামলা করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।এ বিষয়ে আবু তাহের চেয়ারম্যান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যস্ত বলে ফোন কেটে দিয়েছে।তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, এ ঘটনায় ফিরোজ মেম্বার নামে এক ব্যক্তি হান্নান চেয়ারম্যান কে প্রধান আসামী করে ৫৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে যার নং -১০।এ মামলায় ৬ জন কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি তবে পুলিশের উপস্থিতিতে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ওসি।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।