ব্রেকিংঃ

ব্রুনাইয়ে সমকামীকে পাথর নিক্ষেপ, ডাকাতের হাত কর্তন আইন

জনতার বানী ডেক্স:

সমকামীতা, ডাকাতি ও ব্যাভিচার বা অনুরুপ অপরাধ বন্ধে দক্ষিণ এশিয়ার রাজতান্ত্রিক মুসলিম দেশ ব্রুনাইয়ে মৃত্যুদণ্ড, পাথর নিক্ষেপ ও হাত কর্তনের মতো কঠিন শাস্তির বিধান করা হয়েছে।

দেশটির বর্তমান পেনালকোডে পরিবর্তন এনে বুধবার এ সংক্রান্ত বিধিমালা জারি করেছে ব্রুনাই কর্তৃপক্ষ।

নতুন এ আইন নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।

নতুন আইন অনুযায়ী, ধর্ষণ, ব্যাভিচার, পুরুষের সমকামীতা, ডাকাতি ও মোহাম্মদ (সো.)কে অবমাননা করলে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আর নারী সমকামীদের জন্য ৪০টি বেত্রাঘাত বা ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান করা হয়েছে।

ধর্ষণ, ব্যাভিচার ও পুরুষের সমকামীতার অপরাধের জন্য পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা এবং ডাকাতির জন্য হাত বা পা কর্তনের বিধান করা হয়েছে।

দেশটির এ সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরপরই এর সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট। তারা ব্রুনাইকে জাতিসংঘের কনভেনশন অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে ব্রুনাইয়ের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় হয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে হলিউড তারকারাও রয়েছেন।

হলিউড তারকা জর্জ ক্লনি ব্রুনাই সুলতানের হোটেল বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি টুইটারে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইটালিতে ব্রুনাই সুলতানের হোটেলের তালিকা প্রকাশ করে সেগুলো বর্জনের ডাক দেন।

উল্লেখ্য, ব্রুনাইয়ে ২০১৪ সালে প্রথম ইসলামিক ক্রিমিনাল ল’ চালু হয়। মোট চার ধানে দেশটি শরিয়াহ আইন বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়া হয়। বুধবার তার তৃতীয় ধাপ কার্যকর করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সূত্র: বিবিসি ও ডেইলি মেইল।

এবার রেসিং কারের স্টিয়ারিং হাতে সৌদি নারী
গত বছর থেকেই গাড়ি চালানোর অনুমতি পেয়েছেন সৌদির নারীরা। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত দেশটিতে মেয়েদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর থেকেই গাড়ি চালানোয় নারীদের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে সম্প্রতি সৌদির এক নারী রেসিং কার চালিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সৌদির বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ ঘোষণা করেন, মেয়েদের গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। এর পরই রাস্তায় গাড়ির স্টিয়ারিং ধরেন নারীরা।

২০১৮ সালের ২৪ জুন মধ্যরাতে রিয়াদের রাস্তায় ইতিহাস সৃষ্টি হয়। কয়েক দশকের নিষেধের বাধা অতিক্রম করে ছুটে চলে গাড়ি, যার স্টিয়ারিং ছিল নারীদের হাতে। এবার রেসিং কারের স্টিয়ারিং হাতে নিলেন রীমা আল জুফালি নামের এক নারী।

জুনে লাইসেন্স পাওয়ার পরই অক্টোবরেই প্রথম রেসে অংশ নেন রীমা। কলেজে পড়তে পড়তেই ফর্মুলা ওয়ানের প্রতি ঝোঁক বাড়ে রীমার। তারপর রেসিং কার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন তিনি। ফর্মুলা কার রেসিং স্কুলে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি।

২৬ বছরের রীমার বাড়ি জেদ্দাতে। দেশের বাইরে তিনি স্নাতক পড়ছেন। ফিরে এসে রেসিং শুরুর ইচ্ছা তার। শুধুমাত্র গাড়ি চালানোই নয়, কার রেসিংয়েও যে সে দেশের মেয়েরা কারও চেয়ে কম নয়, সেটা প্রমাণ করতেই তার এই পদক্ষেপ।

রেসিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য পরিবারকে চার বছর ধরে বুঝিয়ে রাজি করিয়েছেন রীমা। তিনি বলেন, যতজন তার কাজের বিরোধিতা করেছেন, তার দশ গুণ মানুষ তার সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। জিটি ৮৬ কার দিয়ে প্রথম রেসিং শুরু করেছেন তিনি। ডিসেম্বরে একটি রেসও জিতেছেন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।