ব্রেকিংঃ

মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নেয়ায় সরকারের ওপর ক্ষুদ্ধ পাকিস্তানের আলেমরা

জনতার বানী ডেক্স :

বিদেশি শক্তির চাপে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সরকার নিয়ন্ত্রণারোপ করছে বলে অভিযোগ করেছে পাকিস্তানের মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাক।

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার অভিযোগ, ব্যক্তিগত অপরাধকে জাতীয় ইস্যু বানিয়ে পাকিস্তান সরকার বিভিন্নভাবে মাদ্রাসাগুলোর ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করছে।

শীর্ষ আলেমদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তানের সহ সাধারন সম্পাদক মাওলানা কাজি আবদুর রশিদ এসব অভিযোগ বলেন।

তিনি বলেন, বেফাকুল মাদারিস পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। এ বোর্ডের অধীনে ২০ হাজার মাদ্রাসা ও ২৫ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। পাকিস্তানের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় এ বিশাল জনগোষ্ঠী ব্যাপক অবদান রাখছে।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সরকার অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে অভিযোগ করে বেফাকের এ মুখপাত্র বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সব সময় সহযোগিতা করে।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, সরকার আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। জঙ্গিবাদের সঙ্গে মাদ্রাসাগুলোকে সম্পৃক্ত করার অপচেষ্টা চলছে। এভাবে টার্গেট করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে অভিযুক্ত করা অপরিণামদর্শী কাজ।

আমরা মনে করি, কোনো ব্যক্তির ভুলের জন্য পুরো গোষ্ঠীকে দায়ী করা ঠিক নয়

প্রসঙ্গত, পুলওয়ামা হামলার পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পাকিস্তান কঠোরভাবে জঙ্গি দমন অভিযান নেমেছে। এর অংশ হিসেবে মার্চের শুরুর দিকে দেশটিতে ১৮২টি সন্দেহভাজন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এসব মাদ্রাসার কার্যক্রম। পাশাপাশি পাকিস্তান এ বছর ইসলামী সাহায্য সংস্থাগুলোর কার্যক্রমও বন্ধ করছে।

সূত্র: এক্সপ্রেস নিউজ উর্দু

 

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।