চিরনিদ্রায় শায়িত মোফাজ্জল হোসেন শাহিন॥ তিনি ছিলেন একজন র্নিলোভ মানুষ:- তোফায়েল আহমেদ
এম মইনুল এহসান ॥
মোফাজ্জল হোসেন শাহিন ছিলেন একজন র্নিলোভ মানুষ।বেক্তি জীবনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সৎ মানুষ। আওয়ামী লীগের জন্য ছিলেন নিবেদিত প্রান । তিনি ১৯৮০ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সুনামের সাথে একাধারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভোলা জেলার সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাদামাটা মানুষটিকে
ভোলার মানুষ একজন সৎ ও দক্ষ রাজনীতিবীদ হিসেবে জানেন। তার মৃত্যুতে ভোলার মানুষ একজন সৎ, দক্ষ ও ত্যাগী রাজনীতিবীদকে হারালো। মোফাজ্জল হোসেন শাহীন ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীগের প্রবীণ ও ত্যাগী নেতা। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাকে একজন প্রবীন ও ত্যাগী রাজনীতিবীদ হিসেবে জানেন। মহান আল্লাহর কাছে এই দোয়া মোনাজাত করি, আল্লাহ যেন এই সৎ, র্নিলোভ মানুষটিকে জান্নাতের নসিব করেন। ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোফাজ্জেল হোসেন শাহীনের জানাজায় বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ এ কথা বলেন ।
সোমবার যোহর বাদ ভোলা সরকারী স্কুল মাঠে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য প্রবীন রাজনীতিবীদ ও ওবায়দুল হক মহাবিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন শাহীন এর জানাজার নামায অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পুর্বে মরহুম মোফাজ্জল হোসেন শাহীনকে মরনোত্তর গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় । জানাজা শেষে পরানগঞ্জে তালুকদার বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জানাজায় বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ ছাড়াও ভোলা-২ আসনের এমপি আলী আজম মকুল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু পুলিশ সুপার মো:মোকতার হোসেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম খান, পৌর মেয়র আলহাজ্জ মনিরুজ্জহামান মনির , সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন , জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকীব ,এনামুল হক আরজু , সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো:ইউনুস , সাবেক সিভিল সার্জন ডা: আবদুল মালেক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবিন্দ সহ সর্বস্থরের লোকজন জানাজার নামাযে অংশ নেয়। পরে মরহুমের পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
রোববার (১৪ অক্টোবর) বিকাল ৪.৩০ মিনিটে বার্ধক্যজনিত কারনে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি ২ ছেলে রেখে গেছেন।