ব্রেকিংঃ

মির্জা ফখরুল বললেন ইসির যোগসাজশে এটা সরকারের চক্রান্ত

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনাকে ‘নির্বাচনকে বানচাল  করার চক্রান্ত’ বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নয়াপল্টনে যখন নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ মিছিল আসছিল তখন সেখানে পুলিশ ঢুকে গিয়ে বিনা উসকানিতে হঠাৎ করে বাধা দিতে শুরু করে এবং এর পরই টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালানো হয়েছে। এতে বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

গতকাল রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা ঘটানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে—নির্বাচনকে বানচাল করা। এই আক্রমণ শুধু বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ নয়, এটা গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ। যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে, বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে, যখন উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে তখনই এই আক্রমণ। সেই আক্রমণটা সরাসরি সরকারের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশনের যোগসাজশে এলো।’

ফখরুল বলেন, ঘটনার পর সরকারের একটি নির্দিষ্ট মহল অভিযোগ করল যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। এ অভিযোগ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা অত্যন্ত সাজানো একটা পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা হচ্ছে, সাজানো হামলা করে বিএনপিকে দায়ী করে আবার বিএনপির ওপর হামলা নির্যাতন শুরু করা। আজকে সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এই প্লট তৈরি করা হয়েছে। পুলিশ আক্রমণ করেছে এবং তাদের ছত্রচ্ছায়ায় যারা গাড়িতে আগুন লাগিয়েছে তারা হেলমেট বাহিনী।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগাল কারা? এই ছবিগুলো দেখুন। হেলমেট পরা কিছু মানুষ এসে ওই গাড়ির ওপর আক্রমণ শুরু করল। অসমর্থিত খবরে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি এই হেলমেট পরা লোকজন ছাত্রলীগের।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নয়াপল্টনের ঘটনার পর সন্ধ্যায় অফিস থেকে যাঁরা বেরিয়েছেন তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের বগুড়ার সাবেক সংসদ সদস্য চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হেলালুজ্জামান লালু, গ্রাম সরকার সম্পাদক আনিস উজ্জামান খান বাবু এবং খুলনা জেলার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমির রেজা খানসহ কমপক্ষে ৬০-৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ গতকাল দুপুরে সংঘর্ষ চলাকালে ফোনে কয়েকজন সাংবাদিককে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে নমিনেশন নেওয়ার জন্য তাদের লোকজন ভিড় করেছে, তখন কিছু করেনি। কালকে (মঙ্গলবার) নির্বাচন কমিশন হঠাৎ করে চিঠি দিল। এই চিঠি দিয়ে আজকে পুলিশের অ্যাকশন। প্রভোকেশন (উসকানি) করে নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে।’

সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজকে গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থী প্রায় সাড়ে চার হাজার ব্যক্তির সঙ্গে মিটিং করেছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠান গণভবন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর পদকে অপব্যবহার করে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন।’

গতকাল সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন ও কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন করতে গিয়ে হেলমেটধারীদের ব্যবহার করা হয়েছে। আজকেও তাদের এখানে তৎপর দেখা গেছে।’ তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এই হেলমেটধারীরা কারা? এরাই হচ্ছে এজেন্ট প্রভোগেটিয়ার।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।