ব্রেকিংঃ

সরগরম হয়ে উঠেছে ভোলা-১ আসন তোফায়েল পার্থর লড়াইর অপেক্ষা!

এম মইনুল এহসান ॥

আওয়ামীলীগ ও বিএনপির দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষনার পর থেকেই। সরগরম হয়ে উঠেছে ভোলা-১ আসনের নির্বাচনী মাঠ। ইতিমধ্যে মনোনয়ন যাচাই বাছাই শেষ। দলীয়নেতা কর্মীদের মাঝে প্রান চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। ভোলা-১ সদর আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে লড়ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। প্রতিপক্ষে রয়েছেন বিএনপির পক্ষ থেকে বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ।
জানায়ায় এ আসনে আওয়ামীলীগ এর প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ ৬ বার নির্বাচিত হন। অন্যদিকে বিএনপি জোটের প্রার্থী বিজেপি চেয়ারম্যান পার্থ ২০০৮ সালে একবার নির্বাচিত হন। এলাকার উন্নয়ন জনপ্রিয়তা এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার দিক থেকে অনেক এগিয়ে রেয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ।

তোফায়েল আহমেদ ১৯৪৩ সালের ২২ অক্টোবর ভোলার কোড়ালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তিনি ১৯৬০ সালে মেট্রিক এবং ১৯৬২ সালে আইএসসি পাশ করেন। পরবর্তী সময়ে বিএসসি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিত্তিকা বিজ্ঞান বিষয়ে এমএসসি পাশ করেন। কলেজ জীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সাথে সম্পর্কিত। ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ঢাকসুর ভিপি থাকা কালে ৬৯ এর মহান গনঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে লালিত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানান, বঙ্গবন্ধু তাকে কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে মাত্র ২৬ বছর বয়সে ১৯৭০ সালে প্রথম মনোনয়ন দেন। ওই থেকেই বিজয়ের ধারা শুরু। এর পর প্রার্থী হন ১৯৭৩, ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে। এর মধ্যে ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে ভোলা-১ থেকে ও ১৯৮৬ সালে ভোলা-২ থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ভোলা-২ আসন (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন)থেকেও নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে তিনি আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং মুজিব বাহিনীর অঞ্চলিক দায়িত্ব প্রাপ্ত ৪ প্রাধানের একজন তিনি। ১৯৭২ এ বাংলাদেশে গন পরিষদ কৃর্তৃক গ্রহীত সংবিধান প্রনয়ন প্রক্রিয়ায় তিনি সংক্রিয় অংশগ্রহন করেন। ১৯৭৩ এ তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ এ এদশে রাষ্ট্রপতি স্বাশিত সরকার ঘোষনার পর তিনি প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপতির বিশেষ সহকারী নিযুক্ত হন। ১৯৭৫ এ ১৫ আগষ্ট জাতির জনককে নির্মমভাবে স্বপরিবারে হত্যার পর তোফায়েল আহমেদ দীর্ঘ তিন বছর কারাগারে ছিলেন। ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে ভোলা-১ ও ভোলা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ভোলা-২ আসন থেকে ও সর্বশেষ ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সরকারের বানিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
অন্যদিকে আন্দালিভ রহমান পার্থ ১৯৭৪ সালের ২০ এপ্রিল ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে জন্মগ্রহন করেন। শেম জোশেফ এবং ল্যাবরটরী স্কুলে লেখাপড়া করেছেন পার্থ। ১৯৯১ সালে চলে যান ইংলেন্ডে। ইংলেন্ড এলেভেল করেন। ১৯৯৫ সালে এলএলবি করেন। ১৯৯৭ সালে বার এট ল্য (ব্যারিস্টারী) করে দেশে ফিরে আসনে। ২০০০ সাল থেকে তিনি বাবার সাথে রাজনৈতিক ভাবে জড়িয়ে পড়েন। ২০০১ সালে সাধারন নির্বাচনে তিনি ভোলা-১ আসনে ৪ দলীয় জোটের প্রার্থীকে নির্বাচনে বিজয়ী করেন। তার পিতার মৃত্যুর পর বিজেপির হাল ধরেন পার্থ। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিতার নির্বাচনী আসন ভোলা-১ থেকে ৪দলীয় জোটের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা-১ ও ঢাকা-১৭ আসন থেকে বিজেপির হয়ে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে পার্থ। যা যাচাই বাছাই এর পর তার প্রার্থীতা বৈধ হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।