ব্রেকিংঃ

ভোলায় উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে প্রচারণাকালে তোফায়েল আহমেদ জনগনের ভোটের রায় নিয়ে এমপি হতে চাই

এম রহমান রুবেল / এম মইনুল এহসান ॥
প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই দ্বীপজেলা ভোলায় উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েছেন ভোলা ৪টি আসনের বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে ভোলা সদর উপজেলা আলীনগর ইউনিয়নের সাহেবের কাচারী এলাকায় এক পথসভা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
প্রচারণাকালে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার আহবান জানান। এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখনই এদেশে উন্নয়ন হয়। তাই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয় হলে বাংলাদেশ হবে উন্নয়নে বিশ্বের রোল মডেল।
তিনি বলেন, আমি জনগনের রায় নিয়ে নির্বাচিত হতে চাই। মানুষ আমাকে ভালোবাসুক এটাই আমি কামনা করি। পথসভায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, ভোলা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো: মোশারেফ হোসেন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: ইউনুস , জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সাফিয়া খাতুন , জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. জান্নাতুল ফেরদৌস জুবলি, জেলা আওয়ীমীলীগের নির্বাহি সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউসুফ, মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম , জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি মনসুর আলম নাগর , সৈনিক লীগের সভাপতি মহসিন পাটোয়ারী, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্পাদক নুরুল ইসলাম সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আফসার উদ্দিন বাবুল সহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। পরে তৃনমূলের নেতৃবৃন্দরের সাথে গণসংযোগ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

সন্ধ্যায় ধনিয়া ইউনিয়নের গোডাউন এলাকার ইলিয়াস মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পথ সভা করেন বানিজ্য মন্ত্রী। এসময় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুনুর রশিদ হাওলাদারের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক এনামুল হক আরজু, ভোলা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো: মোশারেফ হোসেন,পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান মনির,জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব,সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার,ধনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন কবির,সাবেক সভাপতি আবদুল জলিল মাস্টার প্রমুখ।
পথসভায় বিএনপি,বিজেপি,ছাত্রদল যুবদলের প্রায় ৩ শতাধিক নেতাকর্মী তোফায়েল আহমেদের হাতে ফুলদিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। তারা বলেন, বর্তমানে সারাদেশে উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা চলছে তা অব্যাহত রাখতে হলে আওয়ামীলীগকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে। আমরা উন্নয়নের স্বার্থে,দেশের স্বার্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জিবিত হয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেছি।
অপরদিকে সোমবার সকালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ শেষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাংবদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে বিএনপির আমলের অত্যাচার নির্যাতনের জবাব দিবে ভোটাররা। এসময় তিনি আরো বলেন, বিএনপির সময় সব বড় প্রকল্পগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। আর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সব বড় বড় প্রকল্প চালু করেছে। দেশীয় খরচে পদ্মা সেতুর কাজ করছে সে। পায়রা বন্দর করেছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ভোলায় নদী ভাঙনরোধে ২২ শত কোটি টাকার প্রকল্পর কাজ চলমান রয়েছে।
এসময় তিনি নির্বাচনী ইশতিহার নিয়ে বলেন ২০০৮ সালে আমরা দিন বদলের অঙ্গিকার করেছিলাম। ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী। ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হবে। এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে এবার যে নির্বাচনী ইশতিহার দিবে তা হবে ঐতিহাসিক। একটি সরকার বারবার ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন তরান্বিত হয়। ইতিমধ্যে গ্রাম শহরে রুপান্তর হয়েছে। মানুষের গড়ে গড়ে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি আমরা।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।