ব্রেকিংঃ

এরদোগানের সঙ্গে ইমরানের বৈঠক

তুরস্কে দু’দিনের সরকারি সফরে দ্বিতীয় দিনে (শুক্রবার) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

দু’দেশের নেতাদের আলোচনায় ছিল পাকিস্তান ও তুরস্কের পরস্পর এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা।

এ সময় পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন, পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কোরেশি, অর্থমন্ত্রী আসাদ উমর, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও সংস্কারমন্ত্রী মাকদুম খুশরো বখতিয়ার, প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য, শিল্প ও উৎপাদন উপদেষ্টা রাজ্জাক দাউদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী জুলফিকার আব্বাস বুখারী।

এর আগে এদিন (তুরস্ক-পাকিস্তান অর্থনৈতিক পরিষদ) বৈঠক করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

বৈঠকে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ এর দশকে পাকিস্তান ‘ভুল পথে হেঁটেছে কারণ আমাদের সমাজতান্ত্রিক মানসিকতা ছিল যা সম্পদ গঠনের প্রতিবন্ধক হয়ে উঠেছিল।’ পরবর্তী দশকগুলোতে সমাজতান্ত্রিক শাসন ধীরে ধীরে আমলাতন্ত্রের মধ্যে মানসিকতা অর্জন করেছিল।

তিনি আরও বলেন, পিটিআই নেতৃত্বাধীন সরকার বিনিয়োগকে সমর্থন করে এবং অর্থ উপার্জন করার সুযোগ তৈরির ব্যবস্থা করে।

ইমরান খান তুরস্কের ব্যবসায়ী নেতাদের বিনিয়োগের ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, পিটিআই সরকার বিনিয়োগবান্ধব সরকার। আমরা একমাত্র সরকার বিনিয়োগের ব্যাপারে সবরকম সহায়তা করে থাকি আর সব বাধামুক্ত করি।

তিনি বলেন, এই বিনিয়োগ ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য আলাদা একটি সেল গঠন করা হবে, যা প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানে তুরস্কের বিনিয়োগের ব্যাপারে আমার ইতিমধ্যেই এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিনিয়োগ খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।

পাক প্রধানমন্ত্রী চীনের উদাহরণ দিয়ে বলেন, চীনের ৭০ লাখ মানুষ শেষ ৩০ বছরে দারিদ্র্যতা থেকে মুক্তি পেয়েছে, আমার প্রধান চিন্তা সব মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করা।

পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার অর্থনৈতিক দলটি নিয়ে দুই দিনের সফরে তুরস্কে এসেছেন। শুক্রবার তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার করা রয়েছে।

সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ে ইরাকের পাশে থাকবে তুরস্ক

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ে প্রতিবেশী ইরাকের সঙ্গে তার দেশ সহযোগিতা গভীর করবে। বৃহস্পতিবার তুরস্কের রাজধানী আংকারায় ইরাকি প্রেসিডেন্ট বারহাম সালেহর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।

ইরাকের উত্তরাঞ্চলে কুর্দি গেরিলাদের ওপর তুর্কি বিমান হামলা নিয়ে যখন আংকারা ও বাগদাদের মধ্যে টানাপড়েন চলছে তখন তিনি এই বক্তব্য দিলেন। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সফল হওয়ার জন্য একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা জানি।

এ ক্ষেত্রে আমরা ভবিষ্যতে সহযোগিতা গভীর করব ইনশাল্লাহ।” এরদোগান বলেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় ইরাক দুই পায়ে দাঁড়িয়েছিল এবং এ সহযোগিতা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরাক ও তুরস্ক -দু দেশের জন্যই দায়েশ এবং কুর্দি গেরিলাদের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো হুমকি। দায়েশ-বিরোধী লড়াইয়ে ইরাকের সফলতার প্রশংসা করে এরদোগান বলেন, দেশটি পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে প্রস্তুত রয়েছে তুরস্ক।

সংবাদ সম্মেলনে ইরাকের প্রেসিডেন্ট বলেন, তার দেশ তুরস্কের কাছ থেকে সত্যিকারের সহযোগিতা ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব চায়। এই সহযোগিতা শুধু দু দেশের জন্য নয় বরং পুরো অঞ্চলের জন্য কাজে লাগবে। প্রেসিডেন্ট বারহাম সালেহ জানান, সবক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্য নিয়ে তিনি ভ্রাতৃপ্রতীম তুরস্ক সফর করছেন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।