ব্রেকিংঃ

নতুন মন্ত্রীসভার পুরো তালিকা

বাংলাদেশে নতুন মন্ত্রিপরিষদ শপথ নেবে আগামীকাল সোমবার। এরই মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভায় যারা জায়গা পেতে যাচ্ছেন তাদের শপথগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রোববার বিকাল সাড়ে ৪টায় নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

৪৬ সদস্যের মন্ত্রিসভায় থাকছেন-

পূর্ণমন্ত্রী: ওবায়দুল কাদের (সড়ক পরিবহন ও সেতু), আ হ ম মোস্তফা কামাল (অর্থ), ড. আব্দুর রাজ্জাক (কৃষি), ডা. দীপু মনি (শিক্ষা), আনিসুল হক (আইন ও সংসদ), আ ক ম মোজাম্মেল হক (মুক্তিযোদ্ধা), আসাদুজ্জামান খান (স্বরাষ্ট্র), ড. হাছান মাহমুদ (তথ্য), এম এ মান্নান (পরিকল্পনা), নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (শিল্প), টিপু মুনশি (বাণিজ্য),

বীর বাহাদুর উশৈ সিং (পার্বত্য), ডক্টর আবুল মোমেন (পররাষ্ট্র), সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ (ভূমি), তাজুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার), সাহাবউদ্দিন (পরিবেশ ও বন), গোলাম দস্তগীর গাজী (বস্ত্র ও পাট), জাহিদ মালেক (স্বাস্থ্য), সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্য), নুরুজ্জামান আহমেদ (সমাজকল্যাণ), শ ম রেজাউল করিম (গৃহায়ন ও গণপূর্ত), নুরুল ইসলাম সুজন (রেল), ইয়াফেস ওসমান (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি), মোস্তফা জব্বার (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি)

প্রতিমন্ত্রী: শাহরিয়ার আলম (পররাষ্ট্র), ইমরান আহমদ (প্রবাসী কল্যাণ), নসরুল হামিদ (বিদ্যুৎ ও জ্বালানী), জুনাইদ আহমেদ পলক (আইসিটি), কামাল আহমেদ মজুমদার (শিল্প), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌ-পরিবহন),

জাহিদ আহসান রাসেল (যুব ও ক্রীড়া), ডা. এনামুর রহমান (দুর্যোগ ও ত্রাণ), শ ম রেজাউল করিম, আশরাফ আলী খসরু (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ), মন্নুজান সুফিয়ান (শ্রম ও কর্মসংস্থান), জাকির হোসেন (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা), স্বপন ভট্টাচার্য (এলজিআরডি), মাহবুব আলী (বিমান), ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন), শরীফ আহমেদ (সমাজকল্যাণ), কে এম খালিদ (সংস্কৃতি), মুরাদ হাসান (স্বাস্থ্য ও পরিবার), জাহিদ ফারুক (পানিসম্পদ), শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (ধর্ম)।

উপমন্ত্রী: বেগম হাবিবুন নাহার (পরিবেশ ও বন), এনামুল হক শামীম (পানিসম্পদ), মহিবুল হাসান চৌধুরী (শিক্ষা)।

ভারত ও চীনকে যেভাবে সামাল দিচ্ছেন শেখ হাসিনা
বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন ভারত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এর পর চীন সরকার খুব দ্রুত শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানায়।

এর আগে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারত ও চীনের সঙ্গে ‘ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক’ বজায় রেখেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চীন ও ভারত একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। এক দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে অন্য দেশ বিড়াগভাজন হতে পারে। তবুও দেশ দু’টির সঙ্গে সমান তালে কীভাবে সম্পর্ক রাখছে শেখ হাসিনা সরকার এটা অনেকের কাছেই অজানা প্রশ্ন।

ভারত ও চীনের বাংলাদেশের প্রতি চাহিদা দুরকম। অনেকেই মনে করছেন ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা হওয়ায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

রাজনীতি ও কূটনীতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের সঙ্গে শেখ হাসিনার সরকারের সম্পর্ক রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা ইস্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত। অন্যদিকে চীনের সঙ্গে সম্পর্কটি পুরোপুরি অর্থনৈতিক।

তাদের মতে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সরকার ভারতকে অভূতপূর্ব সহায়তা করেছে। তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে ইসলামি জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটে সেটি যাতে ভারতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে সেজন্যও পদক্ষেপ নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার।

অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে চীন পুরোপুরি ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করছে বলে মনে করা হয়।

সেজন্য যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে, চীন তাদের সঙ্গেই কাজ করবে। এছাড়া যেহেতু আওয়ামী লীগ সরকার নানা ধরণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে সেজন্য চীনও চাইছে শেখ হাসিনার সরকারই ক্ষমতায় থাকুক। কারণ তাতে প্রকল্পগুলো চলমান থাকবে এবং তাতে চীনের লাভ হবে।

২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং বাংলাদেশ সফর করে। ওই সফরের সময় চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যে ২৬টি নানা ধরণের চুক্তি এবং সমঝোতা হয়েছে।

দুদেশের কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী চীন বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশকে ২৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ দেবে। এর বেশিরভাগই অবকাঠামো খাতে।
বর্তমানে চীন বাংলাদেশে পদ্মা সেতুসহ নানা অবকাঠামো প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এছাড়া চীনের কাছ থেকে সাবমেরিনও ক্রয় করেছে বাংলাদেশ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের চীনের সাথে সম্পর্কটা এখনও পর্যন্ত সামরিক দিকের পাশাপাশি মূল বিষয়টা হচ্ছে অর্থনৈতিক। এ জায়গাটাকে দিল্লী উদ্বেগের সঙ্গে দেখলেও শেষ পর্যন্ত কূটনীতিক আলাপ-আলোচনায় প্রিভেইল করাটা খুব ডিফিকাল্ট দিল্লীর জন্য।

উভয় দেশের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কূটনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন অধ্যাপক হোসেন।

সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমদ বলেন, চীন যদিও আমাদের ব্যবসায়িক সবচেয়ে বড় অংশীদার, কিন্তু ভারতের সঙ্গেও আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক কম নয়। তবে চীনের সঙ্গে ব্যবসার টোটাল সাইজটা ১৪-১৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা চীনের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ বলে উল্লেখ করেন তিনি। সূত্র:বিবিসি

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।