ব্রেকিংঃ

আবারও পল্টি মারলেন মাহবুব তালুকদার

জনতার বানী ডেক্স।।

সদ্য শেষ হওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে শুধু ভূয়সী প্রশংসাই নয়, নির্বাচন কমিশনে কাজ করার সুযোগকে তিনি জীবনের গৌরব গাঁথা হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন। নিজেকে মনে করেন ভাগ্যবান। তিনি হলেন- নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন কারণেই তিনি সংবাদের শিরোনামে চলে এসেছেন।

গত ৩ জানুয়ারি ‘সফল সংসদ নির্বাচন’ উপলক্ষে আয়োজিত ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘সিইসি কে এম নুরুল হুদা একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং যোদ্ধার মতই তিনি এ বিশাল কর্মযজ্ঞে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’ গণমাধ্যমের কাছে সেই বক্তব্যের রেকর্ডও রয়েছে।

ওই বক্তব্যের পর আবারও আলোচনায় আসেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। নির্বাচনকালীন বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেও নির্বাচন পরবর্তী তার এমন বক্তব্যে সমালোচনা শুরু হয়। আজ মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমি যে বক্তব্য রেখেছি তাতে কিছু বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।’ তবে তিনি সেই দিনের বক্তব্যের সরাসরি কেনো প্রতিবাদ করেননি। সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার সুযোগও দেননি। সেদিন নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক বললেও আজ (মঙ্গলবার) বলেন, ‘নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য না হলে অংশগ্রহণমূলক হলেও লাভ নেই।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। গত ৩ জানুয়ারিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে আমি যে বক্তব্য রাখি তাতে কিছু বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। অনেক সাংবাদিক আমাকে প্রশ্ন করেছেন, আমি আমার অবস্থান পরিবর্তন করেছি কি না? -এ সম্পর্কে বিভ্রান্তির অবসান ঘটাতে বিষয়টি স্পষ্ট করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আমি বক্তব্যে বলেছি ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিয়েছি’। ইতোপূর্বে ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখের বক্তব্যে আমি বলেছিলাম, ‘সব দল অংশগ্রহণ করলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলা হয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়া একটি প্রাথমিক প্রাপ্তি। আসল কথা হচ্ছে, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হচ্ছে কি না এবং বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে কি না? নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য না হলে অংশগ্রহণমূলক হলেও কোনো লাভ নেই।’

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে আমি কোনো কথা বলিনি। কেমন নির্বাচন হয়েছে, সাংবাদিকদের এহেন প্রশ্নের জবাবে আমি পূর্বে বলেছি, ‘নিজেদের বিবেককে জিজ্ঞাসা করুন, তাহলে এ প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন।’ এখনও আমি সেই কথাই বলি। আমার অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

মাহবুব তালুকদার বলেন, ৩ জানুয়ারির অনুষ্ঠানটি ছিল ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠান। কাউকে প্রশংসাসূচক কথা বলে ধন্যবাদ জানাতে হয় এবং সেটাই সৌজন্যের প্রকাশ। আমার ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্যকে রাজনৈতিকভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করা ঠিক হবে না।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার না করা, প্রশাসনকে ইসির অধীনে নিয়ে আসাসহ বেশ কিছু দাবিতে কমিশন বৈঠকে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে সভা বর্জন করেছিলেন মাহবুব তালুকদার। কমিশন বৈঠকে দুইবার নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে বৈঠক বর্জন করেন তিনি। এছাড়া ভোটের কয়েকদিন পূর্বে গণমাধ্যমে বলেন, নির্বাচনে লেভেলে প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কিছু নেই।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।