ভোলার চরাঞ্চলে লাখো অতিথি পাখির মেলা
ভোলার চরফ্যাশনের কুকরি-মুকরি, ঢালচর ও মনপুরাসহ বেশ কিছু স্থানে এমন দৃশ্য দেখা যায়। একটু দূরে তাকালেই দেখা যায় দল বেঁধে সারি সারি পাখির মেলা।
শীত মৌসুম আসলেই দ্বীপ জেলা ভোলার চরাঞ্চলে লাখ লাখ অতিথি পাখি আশ্রয় নেয়। প্রতি বছরের মত এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ বছরও সুদূর সাইবেরিয়া থেকে ভোলায় অতিথি পাখি এসেছে। এখানকার অন্তত ২০টি চরে আশ্রয় নিয়েছে এসব পাখি।
অতিথি পাখিদের আগমনকে কেন্দ্র করে একদিকে বেড়েছে বনাঞ্চলের সৌন্দয্য অন্যদিকে পর্যটকরাও ছুটে আসছেন পাখি দেখতে। তবে চরাঞ্চলে বসতি নির্মাণ, চারণ ভূমি আর শিকারীদের কারণে পাখিদের আগমন কিছু কম বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, পাখি শিকার বন্ধ এবং জনগণকে আরো বেশি সচেতন করা গেলে পাখিদের আগমন আরো বেড়ে যাবে বলে মন্তব্য তাদের।
পাখি দেখতে আসা পর্যটক ইমতিয়াজ, ফয়েজ ও শাহরিয়ার জিলন বলেন, চরে সৌন্দয্য বাড়িয়ে দেয় অতিথি পাখি। দল বেঁধে পাখিদের উড়ে বেড়ানো আর খাবার সংগ্রহের দৃশ্য সত্যিই অতুলনীয়। পাখিদের কিচির-মিচির শব্দ শুনতে অনেক ভালো লাগে। পাখি দেখতে পেলেই তা ক্যামেরাবন্দী করছি। আমাদের মত অনেকে পাখি দেখতে ছুটে এসেছেন।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা ঢালচর মনপুরা, কলাতলীর চর, চর কুকরি মুকরি, চর শাহজালাল, চরশাজাহান, চর পিয়াল, আইলউদ্দিন চর, চরনিজাম, ডেগরারচরসহ মেঘনা-তেঁতুলিয়ার উপকূলবর্তী মাঝের চর, মদনপুরাসহ বিভিন্ন চরে পাখিদের আনা-গোনা। সকাল বিকেল খাবার সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় এদের। ডানা মেলে উড়েচলা ও পাখিদের কলকাকলীতে মুখর থাকে চরগুলো।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, একশ্রেণির অসাধু শিকারী বিষটোপ, ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে আবার ছোট ছোট মাছের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পাখি শিকারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। চরে আশ্রয় নেয়া পাখিরা অনেকটা অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। এছাড়াও অতিথি পাখিদের আভাসস্থল, বিচরণভূমি ও খাদ্যের সংকটেও রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভোলার বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিয়া বলেন, বিগত বছরের মত এ বছরও ভোলাতে অতিথি পাখিদের আগমন ঘটেছে, এখানকার চরগুলো অতিথি পাখিদের জন্য বিখ্যাত। পাখিদের কেউ যাতে শিকার করতে না পারে সে জন্য বন বিভাগের প্রতিটি রেঞ্জ থেকে টহন জোরদার করা হয়েছে। তারা নিয়মিত টহল দিচ্ছে।