ব্রেকিংঃ

ভোলার পশ্চিম ইলিশায় জমিজমার বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে মিথ্যা মামলায় ফাসাঁনোর চেষ্টা

এম জামিল হোসেন:

ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পাঙ্গাশিয়া বাজার এলাকায় প্রতিপক্ষ কে ঘায়েল করতে ভূয়া ডাকাতির নাটক সাজানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মোছলেউদ্দিন মহুরির পরিবারের বিরুদ্ধে।

সূত্রে জানাযায়, পশ্চিম ইলিশা ৫ নং ওয়ার্ডের সামছুল হক মাতাব্বরের ছেলে প্রবাসী বশির আহাম্মেদ এর সাথে দীর্ঘদিন জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে তারই প্রতিবেশি মোছলেদ্দিন মহুরী গংদের সাথে। প্রবাসী বশির আহাম্মেদ বাড়ীতে তার স্ত্রী জাহেদা বেগম ও ছেলে রবিউল কে নিয়ে বসবাস করেন এই সুযোগে বিভিন্ন সময় ভোলা জজ কোর্টের মহুরী মোছলেউদ্দিন, ছেলে হাছনাঈন, ভাই মোহাম্মদউল্লাহ্,ছেলে ইসমাইল, আবদুল্লাহ্, অহিদুল্লাহ্, শহিদ সহ একটি গ্রুপ প্রতিনিয়ত গালমন্দ ও হুমকি দিয়ে আসতো । এক পর্যায়ে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা ফয়সালা করে দেন এবং জমির নির্ধারিত মাপ দিয়ে সিমানা করে দেন । কিন্তু জজ কোর্টের মহুরী মোছলেউদ্দিন ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে বাড়িতে গত ৮ই ফেব্রুয়ারী তারিখে জোড় পূর্বক সিমানা বাদ রেখে বশির আহাম্মেদ এর জায়গায় এবং তার ঘরের দরজা বন্ধ করে বাউন্টারী নির্মাণ করেন। এসময় বশিরের স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তাকে এলোপাতারী পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন মোছলেউদ্দিন ও তার ভাড়াটিয়া বাহিনী পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। আহত জাহেদা বেগম চিকিৎসা নিয়ে ভোলা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নং ১৭/১০৬ ঐ মামলার আলোকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোছলেউদ্দিন ও হাছনাঈন কে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করেন। তারই প্রতিশোধ নিতে মোছলেউদ্দিনের স্ত্রী মমতাজ বেগম গত ১৩ই ফেব্রুয়ারী তারিখ ভোরে নিজের ঘরের অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র মাটিয়ে পেলে বলেন তার বাড়ীতে রাতে ডাকাতি হয়েছেন এবং তিনি অসুস্থ ভান ধরে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়।

খবর পেয়ে সাংবাদিকরা হাসপাতাল গিয়ে মমতাজ বেগম এর সাথে কথা বলে তিনি সঠিক উত্তর দিতে পারেনা এবং তার বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় ডাকাতি বা চুরি হওয়ার কোন আলামত নেই এবং স্থানীয়দের বক্তব্য জানতে চাইলে তারা বলেন এই বাড়ীতে চুরি হয়েছে আপনাদের কাছে শুনলাম, তারা জানান ভোলা কোর্টের একজন আইনজীবী ও এক পেশকার মোছলেদ্দিন মহুরীর কাছের আত্নীয় তাদের দিয়ে মামলা করাতে নাকি তার কোন টাকা লাগে না তাই যার সাথে না তার সাথেই ঝগড়া বিবাদে লেগে যান মোছলেউদ্দিন মহরী। এই বিষয়ে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গিয়াসউদ্দিন জানান,পশ্চিম ইলিশায় আজ দশ বছর কোন চুরি হয়না ডাকাতিতো দুরের কথা, মুল বিষয় হলো মহুরীর সাথে বশিরের সাথে জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে আমি শালিশ করেছি কিন্তু তা অমান্য করে মহরি জোড় পূর্বক বাউন্টারী দেওয়ায় সমস্যা বাধেঁ এখন আবার নতুন করে একটি মামলা দেওয়ার জন্য এই কৌশল করেছেন মহুরীর পরিবার।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।