ব্রেকিংঃ

ভেলুমিয়ায় পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে দু’গ্রুপের সংর্ঘষে মহিলাসহ আহত -৫

 
ইয়ামিন হোসেন :
ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে দু’গ্রুপের সংর্ঘষে উভয় পক্ষের মহিলাসহ ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কুঞ্জপট্টি গ্রামের মান্নান হাওলাদারর ছেলে লিটন গংদের সাথে তার আত্নীয়স্বজন হানিফ হাওলাদার গংদের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে আর সঠিক সমাধানের জন্য লিটন হাওলাদার ভেলুমিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দাখিল করেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ফাঁড়ির ইনর্চাজ গোলাম মাওলা দু’পক্ষ কে ডেকে গত সোমবার বিকালে ফাঁড়িতে একটি শালিশ বৈঠক বসানো হয় সেখানে ভেলুমিয়ার গন্যমান্য ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
শালিশ বৈঠক এর এক পর্যায়ে কথা-কাটাকাটি করে পুলিশ ও শালিশদারের সামনেই দু’পক্ষের মারামারি হয় এতে উভয় পক্ষের মহিলাসহ ৫জন আহত হয়েছেন, পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীসহ ৪ জন কে আটক করে পরে ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে আহতরা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কমল বেগম জানান, গোলাম মাওলা স্যারের সামনেই ওরা আমাদের পিটিয়ে আহত করেছেন। স্থানীয়রা জানান,পুলিশ মানুষের নিরাপত্তা দিবে আর যদি পুলিশের থানার মধ্যে মানুষ মারধর করে এবং ৫জন লোক আহত হয় তাহলে তারা কি করেছে? ভোলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন যেখানে পুরো জেলার আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ করেছেন যার সফল নেতৃত্বে শান্তির দ্বীপে পরিনতো হয়েছে ভোলা আর ভেলুমিয়া ফাঁড়িতে সেই পুলিশের সামনে মারামারিতে মহিলাসহ ৫জন আহত হয়। এই বিষয়ে ভেলুমিয়া ফাঁড়ির ইনর্চাজ গোলাম মাওলার বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফাঁড়িতে গিয়ে ও তাকে পাওয়া যায়নি, মোবাইলে কল দিলে তিনি মারামারির কথা স্বীকার করেন তবে ফাঁড়িতে হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।