ব্রেকিংঃ

হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস ফোরামের ভোলা সদর হাসপাতাল পরির্দশন

এম মইনুল এহসান ॥
ভোলা সদর হাসপাতাল পরির্দশন করেছে হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস ফোরাম (এইচ.আর.ডি.এফ) । মঙ্গলবার সকালে হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস ফোরামের সভাপতি মোবাশ্বের উল্লাহ চৌধুরির নেতৃত্বে ১টি প্রতিনিধি দল সকাল ১১টা থেকে ১টা প্রর্যন্ত ভোলা সদর হাসপাতালের বিভিন্ন দপ্তর ,ওয়ার্ডের কার্যক্রম এবং ডাক্তাদের চেম্বার পরির্দশন করেন।
এসময় প্রতিনিধি দল ভোলা সদর হাসপাতালের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সিভিল সার্জনের সাথে আলোচনা করেন। পরির্দশন শেষে ভোলা সদর হাসপাতালের বিভিন্ন কার্যক্রম সর্ম্পকে সাংবাদিকদের জানান এইচ.আর.ডি.এফ নেতৃবিন্দ ।
এসময় ভোলা সদর হাসপাতালে মহিলা বিভাগে ডাক্তারের দায়িত্ব পালন করতে একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স দেখা যায় । চিকিৎসদের রুমের সামনে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত শত শত রুগি লাইন ধরে দাড়িয়ে আছে , কিন্তু ডাক্তার নেই । ডাক্তার কখন আসবে তা জানে না কেউ। আর ওয়ার্ডে রোগির উপচে পরা ভিড় । বেডে সংকুলান না হওয়ার কারেনে অতিরিক্ত বেড বসানের পরে কাজ না হওয়ায় মেজেতে এবং হাসপাতালের বারিন্দায় থেকেই অনেক রোগী শুয়ে আছে । অবশ্য এই সময় ওয়ার্ডে কয়েকজন ডাক্তার কে ওয়ার্ডে রাউন্ড দিতে দেখা গেছে। এসময় কয়েকজন রোগী বিভিন্ন অনিয়ম সর্ম্পকে অভিযোগ করেন ।

এই ব্যাপারে হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডাক্তার রথিন্দনাথ মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি চিকিৎসক সল্পতার কথা জানান । তিনি বলেন , ২২ জন ডাক্তারের যায়গায় আছে মাত্র ৮ জন ডাক্তার। এর মধ্যে একজন ইউনানি এবং একজন ডেন্টাল সার্জন । আবার রাতে দায়িত্ব পালন করা ডাক্তার পরের দিন সকালে ডিউটি করতে পারেন না ।এই কারনে অন্য উপজেলা থেকে আরো ৩ জন ডাক্তার কে এনে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করানো হচ্ছে । ভোলা সদর হাসপাতালে নাক কান গলা, চক্ষু, জেনারেল সার্জারি, এবং কার্ডিওলজি বিভাগের কোন ডাক্তার নেই । সাস্থ অধিদপ্তরে এই বিষয়ে অনেক বার অবহিত করা হয়েছে। সারা দেশে ডাক্তার সংকটের কারনে এই শুন্য কোটা পুরন করা সম্ভব হচ্ছে না।এই কারনে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা হাসপাতালের সিনিয়র নার্সদের বিভিন্ন ভাবে প্রশিক্ষিত করে জরুরি অবস্থায় তাদের কে ব্যবহার করা হচ্ছে। সরকার যদি ভোলাতে পর্যাপ্ত পরিমান ডাক্তার পোস্টিং করে তাহলে এই সংকট কেটে যাবে ।
অনিয়মের অভিযোগ সর্ম্পকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান , প্রতি বৃহস্পতিবার হাসপাতালে গনশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় রোগীদের অভিযোগ করার সুযোগ আছে। কারো বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে আর তা প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। এর পরেও যদি কোন গুরুতর বিষয় থাকে তাহলে আমাকে যেকোন সময় অবহিত করলে আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিব ।
হাসপাতাল পরিদর্শন কালে হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস ফোরামের সভাপতি মোবাশ্বের উল্লাহ চৌধুরি ছারাও , সম্পাদক মো: হোসেন , দুপ্রকের সভাপতি হোসেনে আরা বেগম চিনু , ভোলা বারের সিনিয়র আইনজীবি এ্যাড. শাজাহান , নারীনেতৃ বিলকিস জাহান মুনমুন , সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম সহ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস ফোরামের সদস্যবৃন্দ এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস ফোরামে নেতৃবিন্দ ভোলা সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতাল এবং বিভিন্ন দপ্তরে অসহায় জনগনের সহায়তায় তাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন ।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।