ব্রেকিংঃ

রাজাপুরে ওবায়েদুল হক বাবুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রেজিষ্ট্রেশনের নামে চলছে অতিরিক্ত ফি আদায় অভিযোগ।।

এম,আর রুবেল/ জামিল হোসেন :  বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিনত হয়েছে।
প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নিপুনতায় সারা দেশে যখন প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বিশ্ব বিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষামূখী কার্যক্রম আজ বিস্তৃতিলাভ করে চলছে গোটা বাংলায়।
এমনি মুহুর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত প্রচলিত শিক্ষা নীতিকে বৃদ্বাঙ্গুলি দেখিয়ে পরিচালিত হচ্ছে সদর উপজেলার ১নং রাজাপুর ইউনিয়নের জনতাবাজারস্থ ওবায়েদুল হক বাবুল মাধ্যমিক বিদ্যালয় রেজিস্ট্রেশনের নামে চলছে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ। ভোলার ২০ লাখ মানুষের অভিভাবক, সাবেক সফল শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রী ৬৯ এন মহানায়ক তোফায়েল আহমেদ তার অত্যন্ত স্নেহভাজন মরহুম ওবায়েদুল হক বাবুল মোল্লার এর নীতি আদর্শের স্মৃতিতে ধরে রাখতে তার নামে আদর্শিক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন অজোপারা রাজাপুরের এই গ্রামে। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় সেই অাদর্শিক বিদ্যাপিঠের সুনাম নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন প্রতিষ্ঠানটির কিছু অর্থলোভি শিক্ষক। ২০১৯ জানুয়ারিতে বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটকে বৃদ্বাঙ্গুলি দেখিয়ে বিদ্যালয় কক্ষেই বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে কোচিং বানিজ্য।
যেখানে মানা হচ্ছে না প্রকাশিত গেজেটের কোন নিয়ম নীতি।
সেখানে গিয়ে আরো জানাযায় ২০১৯ সনের শিক্ষাবর্ষের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরিক্ষার্থীদের নিবন্ধন ফি চাপ প্রয়োগ করে নেয়া হচ্ছে। শিক্ষাবোর্ড নির্ধারিত ফি ৭০ টাকা থাকলে ও পরিমানে তার চেয়ে বেশি অর্থ নিচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
নাম প্রকাশ না করার সত্বে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া অনেক ছাত্র ছাত্রী বলেন আমাদের নিবন্ধন ফির টাকা ৩৫০-৫০০ করে করে নেয়া হয়েছে আমাদের কাছ থেকে যেখানে সরকার নাকি ফ্রি ছাত্র/ছাত্রীদের পড়া লেখা করার সুযোগ করে দিয়েছেন।
আর সেখানে আজ আমাদের উপর জুলুম করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
অনেক শিক্ষার্থীরাই বলেন আমরা অতিশয় গরীব ঘরের সন্তান আমাদের বাবা জেলে পেশায় নিয়োজিত, কিন্তু নদীতে বতর্মানে অভিযান চলছে রোজগার নেই বাবার এমনি দুর সময়ের মুহুর্তে ৫০০টাকা আমাদের স্কুলে নিবন্ধনে দেওয়া বাবার জন্য অতিরিক্ত বোজা জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
আমাদের অস্টম শ্রেনীর জন্য নাকি সরকার ততৃক বোট থেকে ৩৫০- ৫০০ টাকা করে নেওয়ার নির্শেদ দিয়েছে শিক্ষাবোট। এটা নাকি বর্তমান শিক্ষাবোর্ড নতুন নিয়ম কানুন করেছে।
আমরা জানতে চাইলে আমাদের কে বিদ্যালয়ের শিক্ষকেররা বলেন, তোমাদের জানার কোন দরকার নেই।
কিন্তু ভাবতে তখ কষ্ট হয় যখন শুনি সরকার আমাদের বিনামূল্যে পড়াচ্ছেন তাহলে এই টাকা যায় কোথায়? এমন প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা এই বিষয়ে ভোলার গণমানুষের নেতা সাবেক সফল শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এমপি ও ভোলা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন সহ উদ্ধোতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সরোয়ার হোসেন এর সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি সংবাদ প্রতিবেদক কে জানান আপনাদের বিষয় আমি আমার এক আত্নীর সিনিয়র সাংবাদিকের সাথে কথা বলেছি আপনিরা নিউজ প্রকাশ কইরেন না।
আমি আপনাদের সাথে সন্ধ্যায় নতুন বাজারে এসে কথা বলবো ভাই।
তিনি আরো বলেন, বিকালে এসে আপনাদের সাথে কথা বলবো এবং চা খাব।

এই বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিহাদ হাসান এর সাথে উপজেলায় তার নিজ অফিস কক্ষে কথা বলতে গেলে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জানান, এমন অভিযোগ আমি ও অনেক পেয়েছি তবে শুধু এই স্কুলটি নয় আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের নামে অভিযোগ আছে।
আমি এই বিষয়টা তদন্ত সাপেক্ষে ঐ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।