ব্রেকিংঃ

বোরহানউদ্দিন উপজেলায় চলছে জাটকা নিধন : কোনো বিধি-নিষেধই কাজে আসছে না

বাহার চৌধরী বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীর পাড় থেকে হাকিমউদ্দিন- মির্জাকালু বাজার পর্যান্ত চলছে অবাধে জাটকা ইলিশ ধরার মহোৎসবউৎসব।
মৎস্য সংরক্ষণ আইনদি প্রটেকশন এন্ড কনজারভেশন অব ফিস এ্যাক্ট-১৯৫০ এর আওতায় সাধারণভাবে ১ নভেম্বর থেকে শুরু করে ৩০ জুন পর্যন্ত আট মাস আঁকারে ৯ ইঞ্চির কম ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

মূলত জাটকাকে পরিণত ইলিশে পরিণত করার লক্ষে মৎস্য অধিদপ্তর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তৎসঙ্গে আদেশ অমান্যকারীকে এক থেকে দুই বছর কারাদন্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দন্ডে দন্ড দেওয়ার বিধান করেছে। ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। বর্তমানে ইলিশ মাছ দেশের মানুষের চাহিদা সম্পন্ন করে বিদেশেও রপ্তানী করা হচ্ছে যার মাধ্যমে অামাদের দেশ অর্জন করছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা । আমরা সকলে অবগত আছি বিগত ২০১৬ সাল ছিল ইলিশের সোনালী বছর। সঠিকভাবে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ এবং মা ইলিশ ধরা বন্ধের সময়গুলো মেনে চলায় ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশি ইলিশ ধরা পড়েছে। কিন্ত এর বিরুপ প্রভাব পড়ছে ২০১৮ সালের জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে। আইন অমান্য করে আইন শৃংখলা বাহিনীর নাকের ডগায় জাটকা নিধন চলছে। আইন শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতার মাঝেও ব্যাহত হচ্ছে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০১৮।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় জেলেদের মাঝে কোন সচেতনতা নেই। তারা অবাধে জাটকা ধরছে আর বিক্রয় করছে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে মৃজাকালু ঘাট। নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক মেঘনা নদীর পাড়ে বসবাসকারী কয়েক জন জানান, প্রত্যেক দিন প্রায় ৩-৪ মন জাটকা ধরা পরে আর সে গুলো স্থানীয় বাজারে এনে দরকষাকষির মাধ্যমে বিক্রয় করা হয়। তাঁরা আরো বলেন এ ব্যাপারে স্থানীয় কোন ব্যক্তি বা প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন প্রকার ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন নাই।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।