ব্রেকিংঃ

ভোলায় চটপটি বিক্রিতে বাধা দেওযায় শিক্ষককে মারধর

এম রহমান রুবেলঃ
ভোলা সদর উপজেলায় বিদ্যালয়ের সামনে চটপটি বিক্রিতে বাঁধা দেয়ায় মাও.মো. মহিউদ্দিন নামের এক শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আহত শিক্ষক ধনিয়া ইউনিয়নের এ্যাডভোকেট ইউনুছ মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় বিষয়ের শিক্ষক।

বুধবার( ৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ধনিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ছোট আলগী গ্রামে বিদ্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষক মাওলানা মো. মহিউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ভোলা পৌর সভার পৌর আলগী এলাকার বাসিন্দা মৃত আবুল হোসেনের ছেলে চঞ্চল প্রতিদিন তার বিদ্যালয়ের সামনে চটপটি বিক্রি করে। ফলে সেখানে  বখাটে ছেলেদের আড্ডার স্থান হয়ে যায় । এতে করে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের  উৎতক্ত করে । এতে করে শীক্ষার্থীরা ক্লাস করতে অসুবিদা হয়। তাই তাকে স্কুলের ক্লাস চলাকালীন সময়ে সেখানে চটপটি বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু চঞ্চল কোনো ভাবেই সেখানে চটপটি বিক্রি  বন্ধ না করে শিক্ষকদের কথা উপেক্ষা করে  আবার চটপটি বিক্রি করা শুরু করলে সর্বশেষ গত কয়েকদিন আগে তাকে বিদ্যালয়ের সামনে চটপটি বিক্রি করতে সম্পূর্ন বাধা প্রদান করা হয়।

ঐ ঘটনার জের ধরে বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের আসার পথে  বৈদ্য বাড়ীর মসজিদের সামনে আসলে চঞ্চল ও স্ত্রীসহ ৪-৫ জন মিলে তাকে লাঠিসোটা দিয়ে বেধরক মারধর করে।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এব্যাপারে মাওলানা মো. মহিউদ্দিন বাদি হয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় চঞ্চলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। এব্যাপারে অভিযুক্ত চঞ্চলকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছগির মিঞা জানান, আহত শিক্ষক আমাদের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছে। অভিযুক্ত চঞ্চলকে আটক করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।