ব্রেকিংঃ

পশ্চিম ইলিশায় সরকারি ঘরের নামে মেম্বার ফরিদের কুকর্ম ফাঁস

 জামিল হোসেন/ইয়ামিন হোসেন :
ভোলা সদর উপজেলার ০৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ০৬নং ওয়ার্ডের হতদরিদ্র পরিবার গুলোকে সরকারি ঘর দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে হাজারো টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে ওয়ার্ড মেম্বার ফরিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন পরিবারগুলো। ভুক্তভোগী পরিবার গুলো অভিযোগ করে বলেন, সরকারি ঘর দিবে বলে শাহিদা বেগম সহ একাদিক হতদরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে ৩ বছর আগে টাকা নেন মেম্বার। যার কাছ থেকে যেমন নিতে পেরেছেন, তাঁর কাছ থেকে তেমন টাকা নিয়েছেন। কিন্তু বছর যায় তবুও সরকারি ঘর থেকে বঞ্চিত পরিবার গুলো। টাকা দিয়ে ঘর কেনো পাচ্ছিনা? ভুক্তভোগীদের এমন প্রশ্নের উত্তর হয় ঘর এখনো আসেনি আসলে দিবো। দিন যায়, যায় বছরও, তবুও পথ চেয়ে বসে আছেন সরকারি একটি ঘরের জন্য। ঘটনা স্থানে সাংবাদিক আসার খবর পেয়ে দিক-দিগন্ত থেকে ছুটে আসে আরো অনেক ভুক্তভোগী। তাদের মধ্যে কেউ কেউ কার্ড থাকলেও জেলে কার্ডের চাল থেকে বঞ্চিত, কেউ বা আবার বয়স্ক ভাতা থেকে বঞ্চিত। ভুক্তভোগী শাহাবুদ্দীন, শানু মাঝি সহ আরো অনেকে মুখোশ খুলে দিলেন মেম্বার ফরিদের। তাঁরা বলছেন, ফরিদ মেম্বার, মেম্বার হওয়ার পর থেকে ওয়ার্ডের হতদরিদ্র পরিবার গুলো থেকে সরকারি ঘর সহ নানান জিনিস দিবে বলে টাকা হাতিয়ে নেন। পরিবার গুলো ভয়ে মুখ খুলে এতোদিন কিছু বলতে পারছেন না প্রতারক মেম্বারের কুকর্মের কথা। স্থানীয় একাদিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মেম্বার যে পরিমানে প্রতারণা করছেন তা কখনোই দমিয়ে রাখার মতো নয়। সূত্রটি বলছে এবারের জাতীয় নির্বাচনের আগে ইউনিয়ন ভিত্তিক যে উঠান বৈঠক হয়েছে। সেই উঠান বৈঠকে ভোলার সফল সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্জ্ব তোফায়েল আহমেদ ও জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ গরীবদের পাশে সহায়তা দিয়ে যেভাবে দাঁড়াবে বলছে। ঠিক তাঁর বিপরীত চিত্র গড়ে তোলেন মেম্বার ফরিদ। এ ব্যাপারে মেম্বার ফরিদ বলেন, আরে ভাই আমি এখন ঢাকায় মন্ত্রীর বাসায় আছি। ভোলার সব সাংবাদিককে আমি চিনি। আমি কালকেই ভোলায় এসে আপনার সাথে দেখা করবো। তবে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, টাকা নিয়েছে তা শুনেছি। তবে কিছুদিন আগে শুনলাম সেই টাকা নাকি কিছু কিছু পরিবারকে ফিরিয়ে দিয়েছে।
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।