ব্রেকিংঃ

পুলিশ সোর্সের অত্যাচারে থানা ঘেরাও এলাকাবাসির

জনতার বানী ডেক্স :
টাঙ্গাইল সদর থানায় শনিবার রাতে পুলিশ ও সোর্সের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে সদর থানা ঘেরাও করেছে এলাকাবাসী। রক্ষিত বেলতা গ্রামের লোকজন প্রথমে টাঙ্গাইল মডেল থানার প্রধান ফটকের সামনে এসআইস জেসমিন আক্তার ও তার সোর্স বক্কর হোসেনের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলের পর থানায় প্রবেশ করে অভিযোগ দেয়। পরে সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দিলে তারা বাড়ি ফিরে যায়। গত ২৮ মার্চ রক্ষিত বেলতা এলাকায় ছেলের সামনে রেজিয়া বেগম নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা করে ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। ওই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি থাকায় পুলিশ বিভিন্নজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারই ধারাবাহিকতায় এসআই জেসমিন আক্তার ও তার সোর্স বক্কর হোসেন কয়েকজনকে আটক করে মোটা অংকের টাকা নেয়ার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। শনিবার পুলিশের সোর্স বক্কর হোসেন রক্ষিত বেলতা এলাকায় হাজী আয়নাল হকের বাসায় গিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে কয়েকজনে মিলে বক্কর হোসেনকে আটক করে। খবর পেয়ে টাঙ্গাইল থানার এসআই জেসমিন আক্তার গিয়ে বক্কর হোসেনকে উদ্ধার করে। রক্ষিত বেলতা গ্রামের বাসিন্দা হারেজ আলী বলেন, আমি সাধারণ মানুষ। গত সপ্তাহে আমাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে আমাকে ছেড়ে দেয়। একই গ্রামের সুফিয়া বেগম বলেন, আমার স্বামীকে এসআই জেসমিন আক্তার আটক করে। পরে আমরা ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়েছি। হাজী আয়নাল হক বলেন,শনিবার আছরের নামাজ পড়ে বের হয়ে সড়ক দিয়ে হাঁটার সময় এসআই জেসমিনের সঙ্গে দেখা হয়। তিনি গাড়ি থামিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করেন আমার নাম কি হাজী আয়নাল? আমি হ্যা বলায় আমার নাম ঠিকানা তিনি খাতায় লিখে চলে যায়। অপর দিকে আমার বাড়িতে পুলিশের সোর্স বক্কর হোসেন গিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করলে কয়েকজন মিলে বক্করকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি। আয়নাল হকের স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, আমাদের এলাকায় কে বা কারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সেটি আমার জানা নেই। তবে পুলিশ অপরাধীদের না ধরে সাধারণ মানুষকে আটক করে টাকা লেনদেনের বিনিময়ে তাদের ছেড়েও দেয়। এ ছাড়াও বক্কর হোসেন আমার বাড়িতে এসে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের টাকা দাবি করে। না দিলে বিভিন্ন হুমকি ধামকিও দেয়। এর আগেও আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছে। আমরা এসব হয়রানি থেকে মুক্তি চাই। এসআই জেসমিন আক্তার বলেন, আমি দায়িত্ব পালন করেছি। আমার নামে উত্থাপিত সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। সদর সার্কেলের অ্যাডিশনাল এসপি রেজাউর রহমান বলেন, রক্ষিত বেলতা ও পাইনা পানতা গ্রামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া চলে আসছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় রক্ষিত বেলতা এলাকায় গত ২৮ মার্চ একজন মহিলাকে হত্যা করা হয়। সে হত্যার কোনো ক্লু না পাওয়ায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আগে বেল্লাল মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। পুলিশের সোর্স বক্করকে ওই গ্রামের লোকজন আটক করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এর পর সন্ধ্যায় রক্ষিত বেলতা গ্রামের ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করতে আসলে তাদের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। তদন্ত সাপেক্ষে এসআই জেসমিন আক্তার ও সোর্স বক্কর হোসেনের শাস্তি প্রদান করা হয়। কেউ থানা ঘেরাও করেনি। সবাই মিলে অভিযোগ দিতে এসেছিলো।
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।