ব্রেকিংঃ

ভোলার পশ্চিম ইলিশায় এক ইউপি সদস্যর ত্রাশ আতঙ্কে এলাকাবাসি

আকতারুল ইসলাম আকাশঃ
ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেহেদী হাসান (১৯) নামে এক যুবক কে মাছের চৌকাঠ দিয়ে মেরে মাথা পাঠানোর অভিয়োগ পাওয়া গেছে।অভিযোগের বাস্তব তীর পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ০৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও সাধারণ সম্পাদক মাকসুদের দিকে।
ঘটনাটি ঘটে জাংগালিয়া বাজারে।

গত ১৪ মে মেহেদী হাসানের ভাই মনিরের দোকানে। মেহেদীর ভাই মনির অভিযোগ করে বলেন, গ্যান্ডিং মেশিন নিয়ে দু’জনের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়। আমার ভাইও তখন সেখানে ছিলো। মাকসুদ মেম্বার গ্যান্ডিং মেশিন দিয়ে কাজ করে তা ভেঙে পেলে। তখন আমার ভাই বলেছিলো খারাপ ব্যবহার কেনো করছেন। আপনি মেশিন নিয়ে যখন ভেঙ্গে ফেলেছেন এখন মেশিনটা কিনে দিলেই হয়।

ভাঙা মেশিন দিয়ে কি আর কাজ করা যায়। এই কথা বলার সাথে সাথে মাকসুদ মেম্বার ছবির সুটিং এর মত ফাঠা কেস্টোর এ্যাকশনে রেগে এসে অনেক জোরে আমার ভাইয়ের মুখে থাপ্পড় দিতে থাকে। তখন মেম্বারের ছোট ভাই লিটন এই জামেলা মিমাংসা করে দিবো বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেছিল।
তখন আমরা আর কিছু বলিনি। আমরা তার সিধান্ধা মেনে নেই। কিন্তু হঠাৎ কিছুক্ষণ পর মেম্বার মাকসুদ ধর ধর বলে ডাক চিৎকার করে আমার দোকানে এসে হামলা চালায় এবং সামনে থাকা মাছের চৌকাঠ দিয়ে আমার ভাইয়ের মাথায় আঘাত করে তাঁর মাথা পাটিয়ে দিলে আমার ভাই মাঠির সাথে লুটিয়ে পরলে তাৎক্ষণিক তাকে স্থানীয় সহ আমরা ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।

তিন দিন চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হলে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি। এলাকার গুরুজন শমসের আলী, শাহে আলম মাষ্টার, মোহাম্মদ আলী মেম্বার, মজিবর পলপান ন্যায্য বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন বলে আমরা এখনো কোন মামলা করিনি। মাকসুদ মেম্বারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ আমরা ও অসহায় লোকজন।
ঐদিন বাজারের লোকজন আমার ভাইকে বাঁচিয়েছেন। নইলে মাকসুদ মেম্বার আমার ভাইকে মেরেই পেলতো।

কে এই মাকসুদ মেম্বার তার ক্ষমতার উৎস কোথায়.? কেনো তিনি এমন অত্যাচার করছেন গরীব অসহায়দের উপর এমন প্রশ্ন এলাকাবাসির।
এই নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলেছেন ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মান্নান মিয়া তিনি বলেন, মাকসুদ মেম্বার নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার করে দিন দিন সে গ্রামে অনেক অপকর্ম করে বেরাচ্ছে। আমরা ১৯৬৯ থেকে আ’লীগ করে আসছি। আমার বাবা হযরত আলী ই সর্বপ্রথম এই পশ্চিম ইলিশা থেকে এমপি তোফায়েল আহমেদের হাতে নৌকা তুলে দিয়েছেন। যেকোন নির্বাচনের সময় আমার বাবা আমাদের একটা দোকান ঘর ছেড়ে দিতো নির্বাচনের অফিসের জন্য। আমার বাবা কেমন ত্যাগী নেতা ছিলো তা আমাদের নেতা তোফায়েল আহমেদ ভালোই করেই জানে।

মাকসুদ মেম্বার দিন দিন যা করছে তা খুবই ভয়াবহ কাজ করে যাচ্ছে। এবারের জাতীয় নির্বাচনে আমার একটা ছাগল বিএনপির নেতাদের নিয়ে খেয়ে ফেলেছে। আমি তার বিচার চেয়েও বিচার পাইনি। ৩০ তারিখ আমি নির্বাচনের কেন্দ্র ছিলাম। আমার কাছে খবর আসে মাকসুদ মেম্বারের নেতৃত্বে ভাসানী ডাক্তারের ছেলে বাবু, জাতীয় পার্টির জুয়েল, তানজিল ও রাজু সহ আরো অনেক বিএনপির নেতাকর্মী নিয়ে মাকসুদ আমার শখের পালা ছাগল খেয়ে ফেলে। আমি এই বিষয়টা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব মো. ইউনুস মিয়া ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ মিয়াকে জানিয়েছি। মোশারফ মিয়া বলেছে, তোমার ছাগল খেয়ে ফেলেছে মাকসুদ.? আমরা তাঁর ব্যবস্থা নিবো।

আমি আ’লীগ করি ২০০১ সালে আমিও আমার পরিবার অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এখন দল ক্ষমতায় থেকে ভালো নেই আমরা। মাকসুদ মেম্বার তোফায়েল আহমেদের স্ত্রীরের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে অনেক ক্ষমতা দেখায়।
আমাদের দলীয় লোকদের এমন অবস্থা হলে সাধারণ মানুষদের অবস্থা কেমন হয় সেটা বোঝার আর বাকি নেই।

ঘটনা স্থুলে সাংবাদিক আসার খবর পেয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দলীয় নেতা বলেন, আমাদের নেতা তোফায়েল আহমেদের স্ত্রীরের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে একটা সরকারি পুকুরও দখল করে খায় মেম্বার মাকসুদ। সে নেতার স্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেয় বলে কেউ কিছু বলার সাহস পায়না। আমরা আমাদের নেতা তোফায়েল আহমেদ ও আমাদের তরুনদের আইকন মাঈনুল হোসেন বিপ্লব ভাইর কাছে এই অত্যাচারী মেম্বার মাকসুদের উচিৎ বিচার চাই।

এই ঘটনার ব্যাপারে মেম্বার মাকসুদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আপনাকে কে অভিযোগ দিয়েছে আমি যে মেহেদীকে মেরেছি.? তাঁর পরিবার অভিযোগ দিয়েছে সাংবাদিকদের এমন উত্তরে তিনি বলেন, অভিযোগ দিলে আপনি আমাকে ফোন দিয়েছেন কেনো.? আপনি সরাসরি কথা বলুন। আপনার কাছে অভিযোগ আসলে আপনি লেখালেখি করুন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।