ব্রেকিংঃ

ভোলার ভেদুরিয়ায় ইউপি মেম্বারকে কুপিয় হত্যা।। আটক ১

এম রহমান রুবেল :

ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়ের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাকিম মিঝির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

৫ জুন (বুধবার) সকালে ভেদুরিয়া ইউনিয়নের হেতনার হাট সংলগ্ন খালে লাশ ভাসতে দেখে এলকাবাসী।

পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন। তার শরীরে অসংখ্য ক্ষতের দাগ রয়েছে যা দেখে এলাকাবাসী ও তার পরিবার মনে করছে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে খালের পাড়ে ফেলে গেছে কেউ।

ভোলা সদর থানা ওসি ছগির মিঞা বলেন, মঙ্গলবার রাতে দুবৃত্তরা খুন করে তাকে। তার মাথা,গলায়,সরিলে আঘাতে করা হয়েছে ধারালো অস্ত্রের দ্বারা। খুনের পরে খালের পাড়ে তার লাশ ফেলে গেছে দৃবৃত্তরা। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছি।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায় ইদের আগের দিন সন্ধার সময় ইউপি সদস্য হাকিম মিজির বাসার সামনের দোকানদার  আমানউল্লাহ ও ক্রেতা কালাম এর মাঝে টাকা দেনা পাওয়ানা নিয়ে এক পর্যায়ে  ঝগড়া হয়। পরে দোকান মালিক আমানউল্লাহ কে ফাসাতে  কালাম দোকানের ভিতর মাদক রেখে পুলিশ কে ফোন করলে পুলিশ এসে তাদের দুইজনকে আটক করে ভোলা ডিবি অফিসে নিয়ে আসে। দোকানদার আমানুল্লাহ ও ক্রেতা কালামের আত্নীয়দের অনুরোধে আমানউল্লাহ  ও কালামকে  ছাড়ানোর উদ্দেশ্য ৪ নং ওয়াডের ইউপি সদস্য ও ওয়াড আঃলীগ সহ সভাপতি হাকিম মিজি ভোলা ডিবি অফিসে রাত ১০.৩০ মিনিটের সময় এসে রাত ১ টার সময় তাদেরকে নিজ জামিনে ছাড়িয়ে নেন হাকিম। তাদের দুই জনকে ছাড়ানোর পর থেকে ক্রেতা কালাম কে আরো খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ক্রেতা কালাম কে খুজে পাওয়া না গেলে তাকে ফোন করার পর তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে  রাত আনুমানিক ২.৩০ মিনিট দিকে হাকিম মিজি  হাকিম মিঝি হেতনার হাট বাজারে এসে এক দোকানদার এর কাছে ৫০০ টাকার একটি নোট ভাঙ্গতি করে রিক্সা ভাড়া দেন। পরের দিন সকালে স্থানিয়রা হাকিম মিজির লাশ খালে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় ।
 নৃশংস ঘটনার  পর স্থানিয়দের মাঝে নানা গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে ।
পরিবার বর্গ ও স্থানীয় কয়েকজন 

  তারা জানান, আমরা তিন দিকের লোক জনকেই সন্দেহ করছি । ২০১৬ সালে  স্কুল ছাত্রি নাবিলা হত্যা মামলার আসামি ছিল  হাকিম মিজি । নাবিলা হত্যায় ঘটনায় নাবিলার পরিবােরের সাথে ঝামেলা চলছিল । এদিকে এই ইউপি সদস্যর বেশি জনপ্রিয়তা থাকায় তার শত্রু হিসেবে আগামি মেম্বার পদপ্রার্থী হিসেবে নাজিম এবং ফরিদ হাওলাদর এই হত্যার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে জানান ইউপি সদস্য হাকিম এর ফুফাতো ভাই শরিফ। তিনি জানান ঈদের আগের দিন হাকিম মিজি ও ফরিদ হাওলাদার, ইয়াবা ব্যবসায়ী কালাম এর সাথে মিটিং হয় তিনি বলেন সেই মিটিং কি কথা হয়েছিল সেটা বলেন হাকিম মিজি। মিটিং থেকে বাসায় আসার পর তার চোখু ছিল রক্ত মাখা লাল ছিল বলেন ইউপি সদস্যর এই স্বজন।  অপরদিকে অনেকে ৪নং ওয়ার্ডের জামাই বাবু ওরপে ইয়াবা কালাম বাবুর দিকেই। জানা যায়, এই কালাম বাবুর বাড়ি ভোলার পশ্চিম ইলিশা পাঙ্গাসিয়া বাজারের কাছে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভেদুরিয়া ইয়াবা ব্যবসা করে আসছিল। কালাম এর নামে ঢাকায় ৩ টি মাদক মামলা সহ ভোলা থানায় ও মাদক মামলা আছে বলে জানান স্থানীয় ও ইউপি সদস্যর স্বজনেরা। স্থানীয়রা নাম প্রকাশে অনিচ্ছিক জানান, কালাম দীর্ঘদিন ইয়াবা গাজা সহ অনেক খারাপ কাজের সাথে জড়িত তাই বর্তমান ইউপি সদস্য তাকে বাধা দিত, সে কোন বাধায় মানতো না তাই তার সাথে দীর্ঘদিন রেষারেষি ছিল, তার এই রেষারেষি জের ধরে গত মঙ্গলবার ইউপি সদস্যর বাসার সামনে দোকান মালিক আমানউল্লাহ ইয়াবা ব্যবসায়ী ক্রেতা কালাম এর কাছে পাওনা টাকা খুজলে টাকা দিতে অপরাগতা স্বীকার করে উল্টো দোকানের ভিতরে মাদক রেখে পুলিশ কে ফোন করে পুলিশে ধরিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী কালাম দোকান মালিক আমান উল্লাহকে। সেই দিন রাতে দোকান মালিক আমান উল্লাহ কে ছাড়াতে ডিবি অফিসে ইউপি সদস্য হাকিম গেলে সেখান থেকে বাড়ির ফিরার পথে অর্থাৎ হেতনার হাট ব্রিজ মেম্বার এর বাসার সামনে ওৎ পেতে থাকা মাদক ব্যবসায়ী কালাম সহ তার সহযোগীদের হাতে বলি হোন জনপ্রিয় মেম্বার হাকিম মিঝি। এই ব্যাপারে ভোলার ডিবি ওসি সহিদুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমরা একজন কে আটক করেছি বাকিদের ধরতে আমাদের ফোর্স মাঠে কাজ করছে অচিরেই তাদেরকে ধরে এনে আইনের কাছে সোর্পদ করা হবে ইনশাল্লাহ। তিনি আরো বলেন, আইনের কাছে সবাই সমান। অপরাধি যত বড় শক্তিশালীই হোক না কেন তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ভেদুরিয়ার ইউপি সদস্য হাকিম মিঝি হত্যার বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে ভোলা সদর থানার ওসি ছগির মিয়া জানান মামলা হয়েছে আমরা একজন কে আটক করতে সক্ষম হয়েছি বাকিদের ধরার জন্য আমাদের ফোর্স কাজ করছে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।