মসজিদে গুলি করতে গিয়ে উল্টো ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন সাবেক মার্কিন সেনা!
প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে কানেটিকাটে নিজের বাড়ির কাছের মসজিদে গুলি ছুঁড়েছিলেন সাবেক মার্কিন সেনা টেড হ্যাকি। ২০১৫ সালে এই কাজ করার পরই পাল্টে যায় তাঁর জীবন।
মুসলিম জঙ্গী গোষ্ঠীর বিভিন্ন সময়ের আক্রমণে ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদে গুলি ছুড়েছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু এই কর্মকান্ডের পরপরই পাল্টে যায় তার মন। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যম বিবিসি একটি ভিডিও প্রকাশ করে, সেখানে দেখা যায়- কানেকটিকাট মসজিদের ভেতরে তার মুসলিম প্রতিবেশীদের পাশে টেড হেকি হাঁটু পেতে প্রার্থনায় মগ্ন।
২০১৫ সালের ১৩ তারিখ শুক্রবার রাতে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার রাতে, ৪৮ বছর বয়সি হেকি স্থানীয় বারে ড্রিংক করে। সকালে তিনি বাড়িতে গিয়ে রাইফেল লোড করেন। তার বাগানে গিয়ে মসজিদের পাশে কয়েক রাইন্ড রাউন্ড গুলি ছুড়েন।
হেকি বলেন, আমি আসলে ইসলাম সম্পর্কে এতদিন ভুল ধারণার ওপর ছিলাম। ইসলাম কখনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে পারে না। পরবর্তীতে ছয় মাসের কারাদণ্ড হয় তার। জেলে থাকার সময় নিয়মিত দেখতে যেতেন মান্নান। এভাবেই তার জীবন পাল্টে যায়।
তাকে ঘৃণা করার পরিবর্তে বায়তুল আমান মসজিদের সভাপতি ডঃ মোহাম্মদ কুরআরী হেকি ও তার স্ত্রীর কাছে কি ঘটেছিল সে সম্পর্কে জানতে চান। হামলার পাঁচ মাস পর, কুরেশি তাকে মসজিদে আয়োজিত ‘সঠিক ইসলাম ও উগ্রবাদ’ শীর্ষক সেমিনারে আমন্ত্রণ জানায়।
হেকি এসে হাজির হলে মুসলিমরা স্বাগত জানালেন। হামলার কথা স্মরণ করে সে অনুতপ্ত হয়, অনুশোচনা জন্ম নেয় হ্যাকির অন্তরে। দুই পক্ষের আন্তরিকতা ছিল বিস্মিত হওয়ার মত।
সকল ধর্মের মানুষ এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে প্রকৃত ইসলাম ও উগ্রবাদ সম্পর্কে আলোচনা হয়। সে তার ভুল বুঝতে পারে এবং সবার কাছে ক্ষমা চায়। সবাই তাকে আন্তরিকভাবে ক্ষমা করে দেয়।
রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ওআইসির মামলা!
রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের ঘটনায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওআইসি। ওআইসির শীর্ষ সম্মেলনে এ বিষয়ে সবুজ সংকেত মিলেছে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্র হিসেবে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ওআইসির পক্ষ থেকে গাম্বিয়ার নেতৃত্বে অ্যাডহক কমিটিকে ওই মামলা করতে বলা হয়েছে।
মক্কায় গত শনিবার শেষ হওয়া চতুর্দশ ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের ‘মক্কা ঘোষণা’য় রোহিঙ্গা শব্দটির সরাসরি উল্লেখ না থাকলেও সম্মেলনের আলোচিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঘোষিত ইশতেহারে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ এসেছে। সম্মেলনের ১০২ দফা ইশতেহারে ৪৫তম দফায় রোহিঙ্গাদের মানবেতর পরিস্থিতির গভীর নিন্দা জানানো হয়েছে।