ভোলায় প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ব্যাতিক্রম আয়োজন
“প্রতিবন্ধী সেবায় এগিয়ে চলো বাংলাদেশ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে কিশোর-কিশোরী কাবের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের (প্রতিবন্ধী) সুরায় ও সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্তকরণের ল্য নিয়ে ভোলায় দুই দিনব্যাপী বিশেষ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণের মধ্যদিয়ে সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোলা জেলা শিল্পকলা একাডেমী হলরুমে এই আয়োজন করা হয়
দুইদিন ব্যাপী এই আয়োজনে ভোলা, লালমোহন ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়ের শতাধিক প্রতিবন্ধী এই আয়োজনে অংশ নেয়। দুই দিনে শিশুরা বিশেষ ক্রীড়া প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এর সহায়তায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ট্রাস্ট এর আয়োজনে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের কারিগরি ও প্রশিণ সহযোগিতা করছে স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশ ভোলা সাব-চ্যাপ্টার। সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মো: আজিম হোসেন।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এর ওয়াটার এন্ড স্যানিটেশন অফিসার মো: ফোরকান আহমেদ, শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা মো: জামিল হোসেন, কোস্ট ট্রাস্ট আইইসিএম প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: মিজানুর রহমান, এপিসি দেবাশীষ মজুমদার, স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি মো: জাহিদ রমজান, স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশ ভোলা সাব-চ্যাপ্টার প্রতিনিধি মো: কবীর হোসেন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, প্রতিবন্ধী বলে আর কাউকে অবহেলা নয়। মনে রাখতে হবে প্রতিবন্ধীরাও মানুষ, তারাও আল্লাহর সৃষ্টি। তাদের সাথে ভালো আচরণ করা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব। তাদেরকে ভালোবাবাস, ভালো ব্যববহার ও একটু যতœবান নিলে তারাও হয়ে উঠতে পারে সমাজের দায়িত্ববান ব্যক্তি। তাই প্রতিবন্ধীদেরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও ভালোবাসা দিয়ে তাদের অবস্থার উন্নতি করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, তাদেরকে খেলাধুলা, বিনোদন, সামাজিক অনুষ্ঠানে সমসুযোগ তৈরি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পিতা-মাতার সহযোগীর ভুমিকা পালন করতে হবে। তাহলেই প্রতিবন্ধীরা সমাজের মূল ধারায় ফিরে আসবে, তারা আর সমাজের বোঝা হবে না। তাহলেই তারা দেশের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তাই আমাদের প্রত্যেকের যায়গা থেকে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।
দুই দিনের এই আয়োজনে দৌড়, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট, ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলার প্রশিক্ষন দেয়া হয়। পরে এই শিশুদের থেকে বছাই করে স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশ বাছাই পর্বে অংশ নেয়ার জন্য নির্বাচন করা হবে বলে জানা যায়।