ব্রেকিংঃ

ভোলায় ছাত্রী উত্যক্ত করা ইস্যু পুত্রের পক্ষে আ’লীগ নেতার সাফাই

ভোলার রাজাপুর শান্তিরহাট এলাকায় স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক এক কলেজ ছাত্রকে বছরের কারাদন্ড দেয়ার নেপথ্যে লোকাল পলিটিক্স ছিল বলে দাবি করেন ওই এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন। এলাকার এক ব্যক্তির ইন্দনে চা বিক্রির দোকানদার ( সম্প্রতি অটোরিকসা চালক) আব্দুল জলিল তার ষষ্ঠ শ্রেনিতে পড়–য়া মেয়েকে উত্যক্ত করার অভিযোগ তোলেন প্রশাসনের কাছে। ছাত্রী উত্যক্ত করার কোন ঘটনা ছিলনা বলে দাবি করেন কলেজ ছাত্র মোঃ সুজনের পিতা আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ কামাল হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে তার ছেলে নির্দোষ বলে দাবি করেন। তাকে হেয় করতে ছাত্রী উত্যক্ত করার বিষয় সাজানো হয় বলেও দাবি করেন তিনি। সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন লিখিত অভিযোগে জানান, শান্তিরহাট মাধ্যমিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেনির এক ছাত্রীর পিতা আব্দুল জলিল, তুলাতুলি বাজার সংলগ্ন প্রাইমারী স্কুলের পাশে চায়ের দোকান করতেন। ওই দোকানে উচ্চ ভলিয়মে সিডি প্লেয়ারে গান বাজানোর পাশপাশি সিনেমা চালানো হতো। এতে কমলমতি শিশুরা স্কুল রেখে ওই দোকানে বসে সিনেমা দেখত। কয়েকদফা নিষেধের পর কয়েকজন অভিভাবকসহ কামাল হোসেন ওই দোকান থেকে সিডি প্লেয়ার খুলে ফেলে দেন। এ ছাড়া ওই দোকানের পাশ থেকে একটি বাম্পমেশিন কে বা কারা নিয়ে গেছে। এর জন্যও কামাল হোসেনের পুত্রকে দায়ি করে ইউপি মেম্বারের কাছে বিচার দেন আব্দুল জলিল। এসব ঘটনার জের ধরেই দোকানদার সম্প্রতি অটো রিকসা চালক আব্দুল জলিল তার মেয়েকে উত্যক্ত করার অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এমন কি আটক ছেলেকে দেখতে কামাল হোসেন রোববার দুপুরে যখন থানায় এবং বিকালে জেলখানার গেইটে অবস্থান করছিলেন, ওই সময় আব্দুল জলিল ফের তার বাড়িতে হামলা করার অভিযোগ দেন জেলা প্রশাসকের কাছে। পুরো ঘটনাই ছিল আব্দুল জলিলের সাজানো বলে দাবি করেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা। এদিকে শান্তিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফায়েল আহমেদ যুগান্তরকে জানান, ষষ্ঠ শ্রেনির ছাত্রী সানজিদা রোববার স্কুলে আসে। আটক সুজনও ওই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করে এবার নাজিউর রহমান কলেজে একাদশ শ্রেনিতে ভর্তি হয়েছে। উত্যক্ত করার বিষয়ে ছাত্রী বা ছাত্রীর অভিভাবক কেউ কোন অভিযোগ দেন নি। অভিযোগ পেলে তারাই ব্যবস্থা নিতেন বলেও জানান। এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান খান জানান, তিনিও ওই এলাকায় ছুটে যান। উভয় পক্ষকে সর্তক করেন। এদিকে রিকসা চালক আব্দুল জলিল, দোকানে কিছুদিন সিডি প্লেয়ার চালানোর বিষয় স্বীকার করেন। ছাত্রী উত্যক্ত করার বিষয় সম্প্রতি বলে তিনি দাবি করেন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।