ব্রেকিংঃ

ভোলার দক্ষিন দিঘলদীতে ভূমি দস্যুর কবলে জমিতে যেতে পারছেন জমির মালিক ইট ব্যবসায়ী আমির

স্টাপ রিপোটার ঃ
ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিন দিঘদীতে ভূমিদস্যু সাহে আলম গংদের অত্যাচারে অতিষ্ট ইট ব্যবসায়ী আমির হোসেন সহ স্থানীয় জনতা।
ভোলার দক্ষিন দিঘলদীতে ইট ব্যবসায়ী আমির হোসেন তার ২.৭৬ শতাংশ জমিতে জমিতে ওরকাইত জায়গা দেওয়ার পর নিজের ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে প্রবেশ করতে পারছেন না ইট ব্যবসায়ী আমির হোসেন। স্থানীয় একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে জমিতে থাকতে দেওয়া ওরকাইত। ওরকাইতের এহেন কর্মকান্ডে স্থানীয় জনমনে আতংক বিরাজ করছে। যে কোন সময় আইন শৃঙ্খলার বিঘœ ঘটতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। দক্ষিন দীঘলদী ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইট ভাটার ব্যবসায়ী আমির হোসেনকে জমা-জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে একাধিক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে স্থানীয় একটি মামলাবাজ গত কয়েক বছর ধরে হয়রানী করে আসছে। এসব মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ করতে গিয়েও এলাকার বহু সাধারণ মানুষ মামলার আসামি হয়ে জেল খাটতে হয়েছে। ভুক্তভোগী আমির হোসেন বলেন একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রুস্তম আলীর ছেলে সাহে আলম ও কাসেম আলীর ছেলে আকবর হোসেনের সাথে জমি-জমা সংক্রান্ত একটি বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে একাদিক বার দক্ষিন দীঘলদী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, ইউপি সদস্য বিন্দু এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে একাদিকবার শালিস মিমাংসা হলেও সাহে আলম ও আকবর জমির কাগজ পত্র প্রমান করতে পারেনি। স্থানীয় শালিসদারদের সামনে কাগজ পত্র প্রমান করতে না পারায় স্থানীয় চেয়ারম্যান ইফতেকার আহাম্মেদ স্বপন দক্ষিন দীঘলদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোরহুম খোরশেদ আলম, আঃ রব মন্টু মোল্লা, বজলুর রহমান, নাজিম উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন এর উপস্থিতিতে ২৫/০২/২০১৬ইং তারিখে সার্ভেয়ার জনাব মোঃ মোসলেউদ্দিন কবিরকে জায়গা জমি মাপিয়া দেওয়ার নির্দেশ প্রধান করেন ইউপি চেয়ারম্যান। জমি মাপিয়া প্রকৃত জমির মালিক আমির হোসেনকে জমি বুজিয়া দেওয়া হয়।
জমি বুজিয়া দেওয়ার পর স্থানীয় একটি কুচক্রি মহলের ইন্দনে ইট ভাটার ব্যবসায়ী আমির হোসেন এর জমিতে থাকা ওরকাইত জমি দাবি করিয়া আবারও পূনরায় জমিতে ঘর উত্তলন করেন। জমি থেকে ওরকাইতকে উৎখাত করতে গেলে প্রকৃত জমির মালিক ইট ভাটার মালিক আমির হোসেনকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ ও নারী শিশু মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে এই কুচক্রি মহল ও ভূমি দস্যু গংরা। স্থানীয় বিচারকদের রায় সন্তষ্ঠি না হয়ে বিজ্ঞ আদালত একটি মামলা দায়েল করেন সেই মামলায়ও তারা জিততে পারেনি। মামলায় জিততে না পেরে সাহে আলম ও আকবর হোসেন খিপ্ত হয়ে জমির প্রকৃত মালিক ইট ব্যবসায়ী আমির হোসেন এর নামে ধর্ষণ ও চাদাবাজির মামলা সহ বিভিন্ন মামলায় জেলে পাঠিয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় সাহে আলম ও আকবর মামলাবাজি করে এলাকার বহু মানুষকে মামলা দিয়ে জিম্মি করে রেখেছে জেহেতু আমার পক্ষে কোন মানুষ না থাকে। সাহে আলম কোন কিছুতেই তোয়াক্কা না করে তার স্ত্রী ও মেয়েকে দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ধর্ষণ মামলা দিয়ে জেল খাটানোসহ নান ভাবে হয়রানী করছে। গত কয়েক বছরে ব্যবধানে শাহে আলম তার স্ত্রী ও মেয়েকে বাদী সাজিয়ে একাধিক মামলা দিয়েছেন জমির মালিক একাদিক মামলা দিয়েছে আমির হোসেন ও এলাকার নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে। জার মদ্যে ভোলা থানার মামলা নং-জি আর ২১৫/১৬। মামলাটি গত০২/০৩/২০১৭ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় ১১ জন আসামিকে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। ভোলা থানার মামলা নং-জি আর ২২০/২০১৬। গত ১১-২০১৭ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় ওই মামলা থেকে ৬ জন আসামীকে অব্যাহতি দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। ভোলা থানা মামলা নং -৩১৬/২০১৬। গত ২৮/১২/২০১৬ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় ৩০৪ ধারায় ওই মামলাটি খারিজ করে সকল আসামিদেরে ক অব্যাহতি দিয়েছেন। ঘটনা স্থলে গিয়ে যানা যায় স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফারুক, নাজি, স্থানীয় দোকানদার কবির তারা জানান এই জমির প্রকৃত মালি আমির হোসেন।

তারা আরো বলেন আমির হোসেনের জমিতে থাকা ওরকাইত মামলা দিয়ে জমি থেকে দুরে সরানোর জন্য আমির হোসেনের নামে একাদিক মামলা দায়ের করেন। জমির প্রকৃত মালিক ইট ব্যবসায়ী আরো বলেন মিথ্যা মামলা দিয়ে মামলাবাজ সাহে আলম আদালতে হেরে গিয়ে নতুনভাবে তার ছেলে শন্তানদের মেরে এবং রক্তাক্ত করে যেকোন ষড়যন্ত্র করে আসছে। কোন কিছু না ঘটলেও মিথ্যা অযুহাত দাড় করিয়ে তার স্ত্রী ও মেয়েকে দিয়ে আবারও নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্ঠা চালাচ্ছে। অনতিবিলম্বে সাবেক সফল শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রী ভোলা সদর ১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহজ্ব তোফায়েল আহাম্মেদ, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে আমার আকুল আবেদন আমি যেন আমার খরিদ কৃত জমিতে যেতে পারি সেই ব্যবস্থা গ্রহনে আপনাদের একান্ত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।