ভোলা সদরের উত্তর চরনোয়াবাদে পারিবারিক কোন্দলের জের ধরে ৭৫ বছরের বৃদ্ধাকে এলোপাথারি ভাবে মারধর করেছে মেহেদি (২০) এক যুবক । মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর চরনোয়াবাদের নুরশাহ ফকির বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আহত বৃদ্ধাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় , ভোলা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর চরনোয়াবাদ নুরশাহ ফকির বাড়ির বাসিন্দা মৃত তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী ফরিদা বেগমের (৭৫) তিন ছেলে চাকুরির সুত্রে ভোলার বাহিরে থাকেন। বাড়িতে বৃদ্ধা ফরিদা বেগম তার ৪র্থ শ্রেনী পরুয়া নাতনি সামিয়াকে নিয়ে বসবাস করে। কয়েক বছর ধরে একই বাড়ির লোকমান হোসেন গংদের সাথে ফরিদা বেগমের জমি জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছে। লোকমান(৪৫) ও তার পরিবার ফরিদা বেগম কে বাড়ি উৎখাত করার জন্য প্রায় সময়ই বৃদ্ধা ফরিদা বেগমকে বিভিন্ন ভাবে শারিরিক ও মানষিক নির্যাতন করত। প্রায় রাতের বেলা মাদপ্য অবস্থায় লোকমানের ছেলে মেহেদি (২০) বুদ্ধা ফরিদা বেগমের ঘরের চালে ঢিল ছুরত। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গন্যমান্য বেক্তিদের কাছে পুর্বে কয়েকবার অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পায়নি ফরিদা বেগম । মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় নুরু মিয়া নামে এক ব্যেক্তি বাড়িতে আসলে ফরিদা বেগম লোকমান গংদের নামে অভিযোগ করে। এতে লোকমান গং ক্ষিপ্ত হয়। নুরু মিয়া চলে যাওয়ার পর প্রায় দুপুর ১টার দিকে লোকমানের সামনেই ছেলে মেহেদি হাসান (২০) ফরিদা বেগমের গায়ে কয়েকটি ইট ছুড়ে মারে এবং লাঠি দিয়ে এলোপাথারি ভাবে মারধর করে । পরে স্থানীয়রা এসে বৃদ্ধা ফরিদা কে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে ।