ব্রেকিংঃ

ভোলার ভেলুমিয়া গাজির চরে রহস্যজনক এক যুবতীর মৃত্যু

এম রহমান রুবেলঃ
ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়ানের ৬ নং ওয়ার্ডের গাজির চর এলাকায় ফারজানা আক্তার নামে এক যুবতীর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টার সময় ফারজানা নামের এক মেয়ের আত্নহত্যার খবর পেয়ে ভেলুমিয়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আরমান হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেন এবং লাশ পোস্টমোটামের জন্য ভোলা সদর থানায় আনা হলে ভোলা থানার ওসি এনায়েত লাশ ময়নাতদন্দের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন।
স্থানীয় জেলে সপ্বনের মেয়ে ফারজানার রহস্যজনক মৃত্যুর সম্পর্কে ফারজানার মা লিলুফা বেগম জানান আমার মেয়েকে বাসায় একা রেখে আমি একটু কারেন্টের বিল দিতে বাহিরে গেলে এক ঘন্টা পর এসে দেখি আমার ঘরের সব দরজা জার্নালা বন্ধ করা। দরজা খোলা মাত্র দেখি আমার মেয়ে ফারজানা আক্তার (১৬) লাশ আড়ার সাথে ঝুলানো। আমি আড়ার সাথে আমার মেয়েকে ওড়না পেচোনো দেখে আমি সাথে সাথে দা দিয়ে ওড়না কেটে মাঠিতে রাখি আমি আর কিছু জানি নারে বাবা কেমনে হলো এই অবস্থা আমার মেয়ে ফারজানার।
ফারজানার এই রসহ্যজনক মৃত্যু সম্পর্কে স্থানীয়দের সাথে আলাপ করলে নাম প্রকাশে অনেকে জানান দুই থেকে তিন মাস আগে স্থানীয় ভূমি দস্যু জামাল বাহিনীর ছেলের সাথে প্রেম ছিল এবং এক পর্যায় প্রেম গাড়ো হওয়ার দরুন জামালের ছেলের সাথে এই মেয়েকে একই ঘরে স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে পারিবারিক ভাবে বিষয়টি সমাধান করে দেন।
স্থানীয়দের সনন্দের তীর ভূমি দস্যু জামাল বাহিনীর ছেলের দিকে যাইতে পারে কারন জামালের ছেলেকে আত্নহত্যার স্বীকার ফারজানা আক্তার অনেক ভালোবাসতো কিন্তু জামাল এই সম্পর্ক গভীর দেখে তার ছেলেকে দুরে সরিয়ে রাখার কারনে হয়তো এই দূর্ঘনা ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারন ।
এদিকে ফারজানার মা লিলুফা বেগম মুখ খুলতে নারাজ তার আত্নীয়ের সাথের বিগত দিনের দূর্ঘটনার কথা।
এ বিষয় জামালের সাথে আলাপকালে জামাল বলেন মেয়ে পাগল তাই কখন কি করে তা সে নিজে ও জানে না জামাল বলেন ভাই আমি এখন অনেক দুরে এখন আপনার সাথে কথা বলতে পারবো না। তবে এতুটু বলতে পাড়ি আমার সাথে কালিমূল্যার সাথে কয়েক দিন আগে মারা মারির ঘটনা ঘটে হয়তো তার জের ধরে আমার ছেলের নামে এই দুর নাম এলাকার লোকজন তুলতে পারে।
জামাল জানান আমার ছেলের সাথে যে দূঘটনা ঘটেছে সেইটা অনা কাংক্ষিত একটা দূর্ঘটনা।
তিনি বলেন এটার সাথে সেইটা তুলনা করা যায় না।
এই বিয়ষ ভেলুমিয়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আরমান এর সাথে মুঠো ফোনে আলাপকালে তিনি জানান, আমি যেতেটুকু জেনেছি ফারজানা আক্তার নিজেই আত্নহত্যা করেছেন অন্য কোন অভিযোগ এখনো পাইনি আমরা লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছি।
তিনি আরো বলেন,এই হত্যা ব্যাপারে কারো কোন অভিযোগ পাইনি তবে যেতুটুকু জেনেছি মেয়ের সাথে নাকি জিনের আচর ছিল এর আগে ও নাকি দুই বার এই মেয়ে ফারজানা ঘর থেকে বের হয়ে গেছে অভিযোগ তার মা লিলুফা বেগমের।
মামলা বিষয় জানতে চাইলে ইনচার্জ আরমান জানান এই মৃত্যু সম্পর্কে তার মার কোন অভিযোগ নেই তাই মামলা হওয়ার কোন ভিত্তি নাই।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।