ব্রেকিংঃ

লালমোহন রমাগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফার বিরুদ্ধে একাধিক জমি দখলের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিবেদক ॥
ভোলার লালমোহনের রমাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে
ক্ষমতার অপব্যবহার করে একাধিক জমি দখল, সরকারী টাকা আত্মসাৎ, বাৎসরিক এরজিএসপি৩,
কাবিখা, কাবিটা, বসয়স্ক-বিধবা ভাতা, ভিজিডি ও জেলেদের তালিকায় অনিয়ম, শালিসের নামে
হয়রানি, ইউপি সদস্যদের সাথে অসভ্য আচারণসহ ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এসকল ঘটনার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগীরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান আইজিপি, দুর্নীতি
দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিকার চেয়ে একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছেন। ধারাবাহিক
রিপোর্টে বিস্তারিত পেতে সাথে থাকুন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মৃত কয়ছর আহম্মেদের ছেলে
দিনমজুর আবুল কালামের রমাগঞ্জ মৌজার আরএস খতিয়ানের ৪৯৯, ও এসএ ৫১১ খতিয়ানের ৮০
শতাংশ জমি তিনি ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়ে র্দীঘ দিন ধরে ভোগ দখল করে আসছিলেন। আবুল
কালামের কোন জনপণ না থাকায় ওই জমির দিকে নজর পরে একই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ
সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান গোলম মোস্তফার।
গত কয়েক বছর আগে চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোন স্বত্ত্ব ছাড়ায়
লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে জোর পূর্বক ওই জমি দখল করে ভোগ দখল করে আবুল কালামকে এলাকা
ছাড়া করেন। বর্তমানে আবুল কালাম পরিবার পরিজন দিনে ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করেন।
এ ছাড়া একই এলাকার মৃত হাজী জেবল হকের ছেলে মো. রফিকুল ইসলামের ক্রয় সূত্রে মালাকিনা
১৩ শতাংশ জমি দখল করে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোলাম মোস্তফা।
ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গত ১৩/৫/১৯৯৯ ইং সালে রমাগঞ্জ মৌজার এসএ
৫২২ খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক মুজাম্মেল হকের ১২ জন ওয়ারিশদের কাছ থেকে ১৩ শতাংশ জমি
ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছিলেন। কয়েক বছর আগে ইউপি চেয়ারম্যান গোলম মোস্তফা
মোজাম্মেল হকের বাকি ৩ ওয়ারিশ থেকে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯ ইং
তারিখে রফিকুল ইসলামের দখলীয় ওই জমি ইউপি চেয়ারম্যান পেশি শক্তির বলে লাঠিয়াল বাহিনী
নিয়ে জোর পূর্বক জমি দখল করেন। জমি দখলের ঘটনায় প্রতিবাদ করলে তাকে জীবননাশের হুমকি
প্রদান করেন। এঘনায় প্রতিকার চেয়েও তিনিও জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের
করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি ও চেয়ারয়্যান নির্বাচিত হওয়ার পর বর্তমান
চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা জমি দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি ওই সকল জমি ক্রয়
সূত্রে মালিক হয়ে ভোগ দখল করছি। কেউ যদি কাগজ পত্র দিয়ে প্রমাণ করতে পারে তা হলে তা
নিয়ে যাবে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।