ব্রেকিংঃ

ভোলায় জনবান্ধব ভূমিসেবা ব্যাবস্থাপনা এবং শুদ্ধাচার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্টিত

এম রহমান রুবেল

ভোলা শিল্প কলা একাডেমিতে স্বচ্ছ, দক্ষ, জবাবদিহি ও জনবান্ধব ভূমিসেবা ব্যাবস্থাপনা এবং শুদ্ধাচার ও উত্তমচর্চা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্টান অনুষ্টিত।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় ভোলা শিল্পকলা একাডেমিতে ভোলা জেলা প্রসাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রনালয়ের ভূমি সচিব জনাব মাকসুদুর রহমান পাটোয়ারি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভূমি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব আনিস মাহমুদ (আইন), বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার (রাস্ব) আব্দুছ সালাম, ভোলা জেলা পরিষের চেয়ারম্যান ও জেলা আঃলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু, জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক মাহামুদুর রহমান প্রমুখ।

মঞ্চে উপস্থিত ভুমি মন্ত্রানালয়ের ভুমি সচিবের প্রশ্নের উত্তের ভূমিহীন ও জন প্রতিনিধিরা ভুমি সচিবকে ভোলার ভূমিহীন জনগন ও ভোলার ভূমি অফিস ও স্যাটেলম্যান্ট অফস দূর্ণীতির আখরায় পরিনত হয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগিরা।
ভুক্তিভোগিদের পক্ষ হয়ে ভুক্তভোগিদের কথা ভুমি সচিবকে তাদের দুঃখের কথাগুলো অবগত করেন,ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আঃলীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন।
মোশারেফ হোসেন ভুমি সচিব কে বলেন, ভোলায় যদি এক জনের জমি এরেকজনে ভুয়া দলিল করে না নিত তাহলে ভোলায় কোন মারা মারি বা হানা হানি এবং মানুষ মারা যেত না। কারন এই ভুয়া দলিলের কারনে ভোলায় অনেক মামলা বছরেরর পর বছর চলমান অবস্থায় এবং এই মামলার কারনে পরিবারগুলো মামলা মোকাম্মদমায় নিশ্ব হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ভুমিহীনদের ভূমি জদি ভুমি দস্যুরা না নিত তাহলে আমাদের মত জনপ্রতিনিধিদের কোন বিচার করা লাগতো না।
তিনি বলেন, ভূমিহীনদের ভুমি নিয়ে বিচার ব্যাবস্থা না থাকলে আমাদের ভোলার মত শান্তির জায়গা কোথায় হত না।
বিশেষ অতিথি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু ভুমি সচিব কে বলেন আপনি আমাদের ভোলায় সরেজমিনে এসেছেন ভালোই ভালো হয়েছে।
, টুলু বলেন, আমরা অধিকাংশরাই যারা জমির মালিক আমাদের জমিগুলোর মধ্যে ভুমিদস্যুরা স্যালেটম্যান অফিসের মাধ্যামে জমিগুলো অন্যের নামে করে নিয়ে আমাদেরকে বিপাকে ফেলে দেয় আমরা স্যালেটম্যান্ট অফিসের কাছে জিম্মি।
উপজেলা আঃলীগের সাধারন সম্পাদক নজুরুর ইসলাম গোলদার ভুমি সচিবকে বলেন, ৬ মাস পর পর ভুমি অফিস, ও স্যালেটমেন্ট অফিস কর্মকর্তাকে বদলি করার অনুরোধ জানান।
সাংবাদিক মোফাশের উল্যাহ ভুমি সচিবকে বলেন, যারা ভুমিহীন তারা জমি পায় না জমি পায় যারা অফিসকে মেনেজকে করতে পারবে তারা।
তিনি বলেন, আশ্রায়হীনদের নামে যে ঘর আসে আসলেই ভুমিহীনেররা সেই ঘরগুলো পায় না সেই ঘরগুলো পায় যাদের মোটা অংকের টাকা আছে তারা।
সেই আশ্রয়হীনগুলো এখনো পরিতেক্ত ঘরগুলোতে থাকার লোক ও নেই।
চরফ্যাশন উপজেলার চেয়াররম্যান ও তজুমদ্দিন উপজেলার চেয়ারম্যানেররা বলেন, আমাদের উপজেলাগুলো দূর্নীর আখরায় পরিনত হয়েছে।
ভুক্তভোগিদের প্রতি উত্তরের ভুমি সচিব মাকসুদুর রহমান ভুক্তভুগিদের উদ্দেশ্য বলেন, দূর্নীতি যেখানে দেখবেন তাৎক্ষণিক আমাদের যে গোপন সেল নাম্বার আছে সেই নাম্বারে অবগত করবেন আমরা তখন দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।
তিনি বলেন,এখন থেকে ভূমিহীনেরাই ভুমির মালিক আর তারাই প্রকৃত মালিক হবে।
বিশেষ অতিথিরা বলেন, স্যালেটমেন্ট অফিস দূর্নীতির আখরায় পরিনত হয়েছে তিনি আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।
ভুমি সচিব অনুষ্টানে প্রবেশের আগ মুহূর্ত ভুমিহীনদের বক্তব্য শুনেন এবং তাদের দাবি অনুযায়ী তাদেরকে কে আশ্বাস দেন আপনিরা যে জমিনে চাষাবাদ করেন, সেই জমিন আপনাদের নামে ই বন্ধবস্ত দেওয়ার আশাস্ত করলাম।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।