ব্রেকিংঃ

জনগনের জন্য কিছু করতে পারলে মনে শান্তি লাগে চেয়ারম্যান বশির।।

এম রহমান রুবেল।।

ভোলা আলিনগর ইউনিয়নে দিনের আলোয় কিংবা রাতের আঁধারে অনাহারীর মুখে খাবার তুলে দিতে নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মানবতাপ্রেমী একাদিক পুরুস্কারে ভূষিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বশির আহমেদ।

ভোলা সদর উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আলিনগর ইউনিয়ন আঃলীগের সভাপতি জেলা আঃলীগের নির্বাহি কমিটির সদস্য এবং আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় জনবান্ধব চেয়ারম্যান আলিনগর মানুষের খুব প্রিয় একটি নাম মোঃ বশির আহমেদ

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দিশেহারা জনগোষ্ঠীর পাশে থাকছেন মানবতার চেয়ারম্যান বশির!

খোঁজ করে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন নিজস্ব অর্থায়নের খাদ্যপণ্য।
চেয়ারম্যানকে এই দুঃসময়ে পাশে পেয়ে তার ইউনিয়নের নাগরিকরাও আছেন স্বস্তিতে।

এদিকে বসে না থেকে গরিবের বন্ধু একাদিক পুরুস্কারে ভুষিত বশির আহমেদ করোনা সংকটের প্রথম দিন থেকেই প্রতিটি ওয়ার্ডের গৃহবন্দী কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন চেয়ারম্যান।

দিন রাত নিত্যপণ্য সাথে নিয়ে ঘুরে বেরিয়েছেন প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগলিতে।

মাননীয় সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপির নির্দেশে খাদ্যার অভাবে কেউ যেন অনাহারী না থাকে সেদিকে দৃষ্টি রেখে কাজ করেছেন তিনি।

প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি করে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে খাদ্যপণ্য বণ্টনের নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।
সরকারি সহায়তার পাশাপাশি নিজস্ব তহবিল থেকে তার ইউনিয়ন সহ অবস্থানরত ভোটার ও ভোটারবিহীন মানুষদেরও সহযোগিতা করছেন এই মানবতাপ্রেমী।

পরিবার পরিজন বাসায় রেখে করোনা মোকাবেলায় অসহায় মানুষদের মুখে হাসি ফুটাতে দিনের কাজ শেষে রাতে বেরিয়ে পড়ছেন অনাহারী মানুষের খোঁজে।
রাতের আঁধারে ভবঘুরে, নিম্নআয়ের মানুষের খোঁজ করছেন, দিচ্ছেন খাদ্যপণ্য।

আলিনগর ২ নং ওয়াডের হেলাল উদ্দিন, মহিলা গলিনুর বেগম, ইয়ানুর বেগম ৪নং ওয়াডের মমতাজ বেগম জানান, করোনার শুরু থেকে চেয়ারম্যান বশির আহমেদ আমাদের মত অসহায় গরিব মানুষের খোজ খবর নিচ্ছেন, আমাদের সংসারে অভাব অটন ও দুশ্চিন্তার সময় মানবতাপ্রেমী খাদ্য নিয়ে রাতের আধারে বাসায় এসে হাজির হয়েছেন।
সাথে এনেছেন খাদ্যপণ্যের প্যাকেট।
এর আগে আমরা কখনো অন্য চেয়ারম্যানের সময় কোন সহায়তা পাইনি।
ভেবেছিলাম সরকারি সহায়তা তো আমাদের কপালে নেই। কিন্তু অবশেষে পরিবারের চলার জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন চেয়ারম্যান বশির আহমেদ।

পরবর্তীতে আমার পরিবার চলে চেয়ারম্যানের দেয়া খাদ্য সহায়তায়।

আলিনগর মাদ্রাসা বাজার এলাকার রিক্সাচালক ইদ্রিস জানালেন, করোনা সংক্টকালিন সময় চলছে তাই ঘর থেকে বের হয়ে যাত্রী পাচ্ছিলাম না।
রিক্সার জমার টাকা দিবো না, পরিবারের জন্য বাজার নিয়ে যাবো কি দিয়ে ভেবে পাচ্ছিলাম না।
কষ্টে মনটা ছোট হয়ে আসছিল।

ঘরে রয়েছে দুটি সন্তান তাদের মুখে একটু খাবার না তুলে দিতে পারলে সন্তানের প্রতি পিতার যে দায়ীত্ব তা কিভাবে এড়িয়ে যাবো!
আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম আমাদের গরীবের জন্য কেউ কি নেই? এমনটা ভাবতে আর রিক্সা নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে রাত হয়ে গেল।

পেলাম না কাঙ্খিত ভাড়া। একেকটি টাকাই যেন আমার কাছে সোনার হরিণেরর মত।

তিনি বলেন, রাস্তার পাশে রিক্সাটা দাঁড় করিয়ে বসে ভাবছি বাসায় কি নিয়ে ফিরব।

সন্তান দুটি তো আমার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। বাড়ি গেলেই হাতের দিকে তাকিয়ে দেখবে কিছু এনেছি কি না।
এমন সময় হঠাৎ গাড়ি থেকে কেউ একজন নেমে আসলেন। হাতে কি যেন একটি বস্তার মত। সামনে যখন এলেন, দেখলাম সে আর কেউ না।
আমাদের প্রিয়জন চেয়ারম্যান মানবতাপ্রেমী বশির ভাই।

এসে জড়িয়ে ধরলেন কুশল বিনিময় শেষে হাতে তুলে দেন অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী আবেগে আপ্লুত হয়ে গেলাম আমি।

৪ নং ওয়াডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কালাম, ৯ নং ওয়াড ইউপি সদস্য ইউনিয়ন আঃলীগের যুগ্ন সাধারন , হারুন অর রশিদ খোকন ব্যাপারি, এবং ৪,৫,৬ নং ওয়াডের সংরক্ষতি মহিলা ইউপি সদস্য খুকু মনি জানান, আমাদের চেয়ারম্যান বশির আহমেদ সার্বক্ষণিকভাবে আমাদের কাছে জানতে চান কেউ অনাহারী আছে কি না। এ ছাড়াও নিজে এলাকায় এসে জনগণের সাথে কথা বলেন এবং তাদের খোজ খবর নিজেই রাখেন।

তাদের কাছে জানতে চান তারা কেমন আছেন, কোন সমস্যা আছে কি না।
এ ছাড়াও চেয়ারম্যান দিনে এবং রাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পুরো ইউনিয়নটিতে।

কোন সময় কোন এলাকায় বা ওয়াডে তিনি যাচ্ছেন, তা কেউ বলতে পারে না।
কোন ওয়ার্ডে ঢোকার পর কিছু স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলার পর ফোন দেন স্থানীয় এবং ইউপি সদস্যদেরকে।

জানতে চান আপনার ওয়ার্ডের জনগণ কেমন আছেন। সবার খোঁজখবর নিতে পারছেন তো।

ইউপি সদস্যরা জানান আমরা এমন মানবতাপ্রেমী চেয়ারম্যান পেয়ে খুবই গর্বিত।

চেয়ারম্যান বশির আহমেদ জানান, জনগণের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছি।
জনগন আমার প্রতি আস্থা রেখেই আমাকে ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছে।
বিপদ আপদে যদি তাদের পাশে না দাঁড়াই তবে কিসের জনপ্রতিনিধি হলাম।
জনগনকে বাইরে রেখে আমি কোনভাবেই ঘরে থাকতে পারি না।
ইতি পূর্বে খাদ্যপণ্য বিতরন করেছি। এখনও বিতরণ ধারাবাহিকভাবে চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যের বিষয় বিবেচনার কথা চিন্তা করে আমি নিজস্ব ব্যক্তিগত উদ্যেগে মসজিদ এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে ব্লিসিং পাউডার, পথচারিদের মাঝে মাক্স, স্যানিটাইজার, সাবান সহ সাস্থ্য বিধির বিভিন্ন সরজামি বিতরন করেছি।

মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে মনে অনেক শান্তি পাই। যতদিন বেঁচে আছি জনগণের জন্য কাজ করে যাব।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক সার্বক্ষণিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি পরিস্থিতি হতে উত্তরণের। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ চায় তো খুব শ্রীঘ্রই আমরা এ পরিস্থিতী থেকে পরিত্রান পাবো।

চেয়ারম্যান আরো বলেন, মাননীয় নেতা সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব আমার অভিভাবক জননেতা ভোলা সদর আসনের এমপি তোফায়েল আহমেদ এর নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছি ভবিষৎতে ও সুযোগ পেলে ও কাজ করে যাব।

তিনি প্রতিবেদক কে জানান, আমার ইউনিয়নি কে শহর মত করে সাজিয়েছি প্রতিটি মোড়ে মোড়ে স্লোর প্যানেল লাইট দিয়ে রাতের বেলা এলাকাবাসির জন্য আলোকিত করেছি।
তিনি বলেন, আগে এই এলাকাটি দিয়ে রাতে জনগন হাটতে অনেক ভয় পেত এবং খুন ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপীরিতিকর ঘটনা ঘটতো আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে এধরনের কোন সমস্যার সম্মুখহীন হয় নাই আমার এলাকার জনগন।
তিনি জানান, আমি চেয়ারম্যান হওয়ায় আমার এলাকার অসহায় দরিদ্র নিপীরিত জনগুস্টি খাবারের অভাবে মরতে বা কস্ট পেতে হয় নাই কারন আমি প্রতিদিন প্রতিটি ওয়াডের জনগনের খোজ খবর রাখি এবং কার ঘরে খাবার নেই সেই ঘরে গুজাবে আমার পক্ষ থেকে প্রতিনিধির মাধ্যমে খাবার পৌছে দিচ্ছি।
আমার এলাকার জনগন পাই নাই এমন কোন সুযোগ সুবিদা নাই। আমি তাদের জন্য পরিষদে সকাল ১০ টায় আসি বিকাল ৫ টার সময় বাসায় যাই।
নাগরিকদের সকল সুযোগ সুবিদার জন্য আমি প্রস্তুত।
অসহয় দরিদ্র জনগুস্টির জন্য বিজিডি, বিজিএফ,রেশন কাড, মাতৃ দুগ্ধ ভাতা, ১০ টাকা কেজি দরে চাল, বয়স্ক, বিধবা, পঙ্গু ভাতা, বাড়ি বাড়ি গভির নলকুপ টিউবয়েল পৌছে দিয়ে আর্সেনিক মুক্ত পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
এবং জমি সংক্রানের বিরোধ মিটানোর জন্য আমার পরিষদে জমির বিচার করে সঠিক রায়ের মাধ্যমে ভুক্তভোগিরা যেন আইনের কাট গোড়ায় গিয়ে টাকা খরচ করতে না হয় সে ব্যাপারে আমি আমার পক্ষ থেকে একজন নিরোপেক্ষ লোক নিয়োগ করে দিয়েছি।
ইত্যি মধ্যে ভুক্তভোগি জনধারন তাদের বিচারের সুফল পেয়ে অনেক আনন্দ এবং স্বস্তিতে আছেন।
আমার এলাকার জনগন কোটের বারান্দায় গিয়ে ঘুরবে আর আমি চেয়ারম্যান দেখবো তা হয় না।
সবাই আমাকে মানে এবং আমার কথায় চলার কারনে তারা ও উপকৃত আমি ও তাদের কথায় মুগ্ধ।
আলিনগর ইউনিয়নটি এখন শান্তি প্রিয় ইউনিয়ন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।