শিবপুরে সন্তানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার।
ভোলার শীবপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে তিন বছরের শিশু সন্তানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে প্রেম অতঃপর এক সন্তানের জননীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই ওয়ার্ডের মিলন মিয়ার ছেলে মোঃ শিশিরের বিরুদ্ধে।
শনিবার ১১ই মার্চ সন্ধ্যায় শিবপুর ৪নং ওয়ার্ডের বশির মাষ্টার বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে এই ঘটনাকে নাটক দাবী করে সমাধান করার তদবির চালাচ্ছেন প্রভাবশালী একটি মহল। ঘটনার দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ উল্টা পুলিশের এস আই জশিম উদ্দিন শিশিরের পক্ষ নিয়ে মোবাইলে এ প্রতিবেদক কে বলেন মেয়ে খারাপ। এটা ফেক, আপনি কি ভাবে বুঝলেন এটা ফেক এর কোন উত্তর দিতে পারেনি এসআই জশিম।
ভুক্তভোগী এক সন্তানের জননী বলেন,আমার সাথে স্বামীর বিচ্ছেদ এর পর থেকেই শিশির তার সাথে সম্পর্ক না করলে আমার ছেলেকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছে। শিশিরের হুমকিতে প্রথম কর্ণপাত না করলেও পরবর্তীতে গত ৫ মাস ধরে তার সাথে আমার প্রেম ভালোবাসা এবং শারিরীক সম্পর্ক হয়। আমাকে বিয়ে করার প্রলোভন দিয়ে গত ১১ই মার্চ সন্ধ্যায় এসে ও আমাদের বাড়ীতে শারিরীক সম্পর্ক করার চেষ্টা করে শিশির। এ সময় আমার চাচী এসে দেখে হাতেনাতে আটক করে বশার চকিদারের হাতে আমাদের জমা দিয়েছে। ভুক্তভোগী মহিলা আরো জানান, বশার চকিদারের উপস্থিতিতে আমাদের বাড়ীতে এসে শিশিরের মামা এরশাদের নেতৃত্বে তার আত্মীয় স্বজনরা এসে তাকে নিয়ে যায়। এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গ্রাম পুলিশ আবুল বশার বলেন, আমার সামনেই শিশিরের আত্মীয় স্বজনরা মেয়ের চাচীকে থাপ্পড় দিয়েছে।
অভিযুক্ত শিশিরের সাথে যোগাযোগ করতে তার বাসায় গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি তবে তার মা বলেন, সড়ক দূর্ঘটনায় শিশিরের একটি পা ভেঙ্গে গেছে। পূর্ব শক্রতা উদ্ধারের জন্য আমার ছেলেকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এই নাটক করেছে মেয়ের পক্ষ। মেয়ের এমন একাদিক অভিযোগ রয়েছে বলেও দাবী করেন শিশিরের মা।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে স্থানীয় কয়েকজন মুরুব্বী বলেন, শিশিরের সাথে সম্পর্ক এটা সঠিক হতে পারে যেহেতু দুইজনই পাশাপাশি বাড়ীর বাসিন্দা তবে শিশিরের পরিবার প্রভাবশালী এবং সম্মানিত মানুষ দেখে সবাই এটাকে ধামাচাপা অথবা স্থানীয় ভাবে সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে।
শিবপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান রাজিব হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমরা শুনেছি তবে শিশির ছেলেটা ঠিকমত হাটাচলা করতে পারে না, তার একটি পা ভাঙ্গা এবং ছেলেটা অনেক ভদ্র এমন কাজ করতে পারে না তবুও বিষয়টি দেখতেছি।
ভোলা সদর থানার ওসি শাহীন ফকির বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।