ব্রেকিংঃ

ভোলায় কর্ণফুলী -৩ লঞ্চের স্টাফ দ্বারা ২ নারী সহ ০৬ যাত্রীর ওপর অতর্কিত হামলা।।

স্টাফ রিপোটার।। ভোলা- ঢাকা নৌ- রুটের লঞ্চ এম ভি কর্ণফুলী -৩ এর লঞ্চ কর্মী দ্বারা সাধারণ যাত্রী হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।গতকাল ১৫ই এপ্রিল ঢাকা টু ভোলা গামী যাত্রী বাহী লঞ্চ কর্ণফুলী -৩ ঢাকা থেকে ভোলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে এসে ইলিশা ঘাটে পৌছলে যাত্রীদের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেন ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা।এদিকে রাত সাড়ে দশটার দিকে কর্ণফুলী -৩ লঞ্চটি ইলিশা ঘাটে পৌছলে লঞ্চের কর্মীদের হাতে বিভিন্ন যাত্রীরা লাঞ্ছিত ও হামলার শিকার হয়।ঢাকা থেকে আসা একাধিক যাত্রীরা বলেন, লঞ্চটি ঘাটে পৌছার নির্দিষ্ট সময়ের সাড়ে তিনঘন্টা অতিক্রম করে। লঞ্চটি ঘাটে পৌছলে যাত্রীরা লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ কথা বলাতে কর্মীরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। যদিও আমরা কটাক্ষ কথা বলিনি।তবে একাধিক যাত্রীদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে লঞ্চ কর্মীদের বিরুদ্ধে।কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল বাবু জানান, লঞ্চের কোনো স্টাফই মামলার বাদী এমনকি কোনো যাত্রীকে মারধর করেনি। এ কথা বলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে উজ্জ্বল মোবাইল ফোনের কল কেটে দেন। এরপর একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।এ বিষয়ে লঞ্চটির মালিক মো. সালাউদ্দিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।বিষয়ে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন যাত্রীদের উপর হামলার ঘটনায় জৈনেক মহিলা যাত্রী সহ আনোয়ার হোসেন ও ফরিদসহ ০৬ জন যাত্রী আহত হয়েছে। তাদের একটি মোবাইল ফোন এবং ৪ লক্ষ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, এ ঘটনায় ফরিদ উদ্দিনের দায়ের করা মামলায় ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার চলমান রেখেছে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।