ব্রেকিংঃ

ভোলার ডোমপট্রিতে খাল কেটে কুমির আনলো ইয়াছিন।

স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলা পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও ওবায়েদুল হক কলেজের এমএলএসএস এর ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে একদল ভূমিদস্যু। ওই অসহায় পরিবারের জমিতে ভূমিদস্যুরা দলবল নিয়ে জোরপূর্বক বালি ফেলে দখলের পায়তারা করছে দীর্ঘদিন ধরে। জোরপূর্বক জমি দখলের পায়তারা ও জমির মালিক অসহায় পরিবারকে হুমকি-ধামকি ও মামলা দিয়ে হয়রানীর ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে কামাল বাহিনী। যে কোন সময় কামাল ও তার লোকজন দেলোয়ার ও ইয়াছিনের পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে জমি দখলে নিতে পারে এবং কামাল বাহিনীর হুমকি-ধামকির ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ওই অসহায় পরিবার। ভোলা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মুসলিম কলনী এলাকায় এই ঘটনা। লিখিতভাবে জমির প্রকৃত মালিক ভোলা পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মী মোঃ দেলোয়ার হোসেন এই অভিযোগ করেন। তিনি এ ব্যাপারে ভোলা পৌরসভার মেয়রসহ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
লিখিত অভিযোগে মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভোলা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মুসলিম কলীনতে দীর্ঘ ২৫ বছর পূর্বে আমি ও আমার ভায়েরা মোঃ ইয়াছিন স্থানীয় মোঃ আশরাফ আলীর কাছ থেকে ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে চৌহর্দ্দী অনুযায়ী ভোগদখল করে আসছি। দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ সেখানে বসতি স্থাপন করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছি। আমার বাড়ীর পিছনে জমি কিনে রশিদ ড্রাইভারের ছেলে মোঃ কামাল বাড়ি নির্মান করে। কামালের বাড়ি থেকে বের হওয়ার কোন রাস্তা না থাকায় সে আমার বাড়ির ভিতর দিয়ে চলাচলের অনুমতি চায়। আমি মানবিক বিবেচনায় তাকে চলাচলের অনুমতি দেই। কিন্তু এতেই হিতে বিপরীত ঘটে। এ যেনো খাল কেটে কুমির আনার মতো অবস্থা। নিজের বাড়ির জন্য যাতায়াতের রাস্তা বের করার জন্য মোঃ কামাল, মোঃ মাইনুদ্দিন, নুরে আলমসহ একটি ভূমিদস্যু বাহিনীর লোলপদৃষ্টি পড়ে আমাদের ভোগদখলীয় জমির উপর। গত দুই বছর আগে কামাল বাহিনী আমাদের ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় জমিতে জমি পাবে বলে জানায় এবং আমাদের জমি জোরপূর্বক দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিস মিমাংসার চেষ্টা করলে কামাল বাহিনী তা তোয়াক্কা করছে না। উক্ত বিরোধীয় জমি নিয়ে আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে। যার মামলা নং-৪১২/২০২১ইং। আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও কামাল বাহিনী বিভিন্ন সময় লোকজন নিয়ে এসে জোরপূর্বক ঘর উত্তোলন করে জমি দখলের চেষ্টা করে। কামাল বাহিনী গত ২২ মে-২০২৩ ওই জমিতে জোরপূর্বক বালি ফেলে দখলের চেষ্টা করলে আমরা বাঁধা দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোঃ কামাল, মোঃ মাইনুদ্দিন, নুরে আলমসহ ২০/৩০জনের একটি বাহিনী আমাদেরকে অর্কত্য ভাষায় গালিগালাজ, হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখায়। এছাড়াও আমাদেরকে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করবে বলেও হুমকি দেয় কামলা গংরা। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানাই। পরে ভোলা সদর থানায় জোরপূর্বক বালি ফেলে জমি দখলের চেষ্টার বিষয়ে একটি অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করেন এবং দুইপক্ষকে যে যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেয়।
ভূক্তভোগী মোঃ দেলোয়ার বলেন, আমি ভোলা পৌরসভার একজন সামান্য পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং আমার ভায়েরা মোঃ ইয়াছিন ওবায়েদুল হক মহাবিদ্যালয়ের এমএলএসএস পদে চাকুরী করছে। কামাল বাহিনীর হুমকি-ধামকির ভয়ে বর্তমানে আমরা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। যে কোন মুহুর্তে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে জমি দখলে নিতে পারে তারা। আমরা যাতে আমাদের ভোগদখলীয় জমিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারি সে জন্য ভোলা পৌরসভা মেয়র আলহাজ্ব মোঃ মনিরুজ্জামান মনির স্যারসহ পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোঃ কামাল বলেন, ওই জমি আমি ক্রয় সূত্রে মালিক। আমার জমিতে আমি বালি ফেলেছি। আমি দেলোয়ার ও ইয়াছিন গংদের কোন জমি দখল করি নাই এবং তাদেরকে হুমকি ধামকি দেইনি। তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহীন ফকির বলেন, দেলোয়ার হোসেন তার জমি দখলের বিষয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসআই ইমামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টীম পাঠিয়েছি। যেহেতু ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে তাই আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে উভয়পক্ষে যার যার অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।