ব্রেকিংঃ

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদনিরে পোস্টার লাগানোকে কন্দ্রে করে দুই গ্রুপরের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলার লালমোহন-তজুমদ্দিনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, আ’লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের পক্ষে থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। পোষ্টার লাগানোর সময় হামলাকারী সন্ত্রাসীরা শেখ হাসিনার জন্মদিনের পোষ্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলে দেয়। হামলায় আহতদেরকে রক্তাক্ত ও মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে লালমোহন-তজুমদ্দিন, ভোলা সদর ও বরিশাল মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর লালমোহনের বদরপুর, ধলীগৌরনগর, পশ্চিম চর উমেদ, তজুমদ্দিন বাজার ও চাঁদপুর ইউনিয়নে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের পক্ষে লালমোহন-তজুমদ্দিনের বিভিন্ন জায়গায় পোষ্টার লাগানোতে যায় নেতাকর্মীরা। সময় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পোষ্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলে দেয় এবং আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে কুপিয়ে গুরুতর জখম ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর লালমোহনের বদরপুর ইউনিয়নে শেখ হাসিনার জন্মদিনের পোস্টাল লাগাতে গেলে মহিজল মেলকার, টিটব মেলকার, রাসেল মেলকার, সায়েদুল মেলকার, রাশেদ মেলকার ও কামালের নেতৃত্বে অন্তত ২০জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর মাতাব্বর, আজাহার হাওলাদার, শ্রমিক লীগ নেতা আল-আমিন হাওলাদার ও ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ রোমান মেলকারকে ব্যাপক মারধর ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। রোমান মেলকার বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যান্যরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের মান্নান মৃধা, রিয়াজ পাটওয়ারী, মোঃ হারুন ও মিজানসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নুরুল্লা বাজারে পোস্টার লাগানোর সময় আওয়ামী লীগ কর্মী মোঃ সোহেল রানাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত সোহেল রানাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সজীব পঞ্চায়েতের নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের গজারিয়া বাজারে পোস্টাল লাগানোর সময় পিন্টু সিকদারকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত পিন্টু সিকদারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার ভোলা সদর হাসপাতালে করা হয়।
এদিকে, তজুমদ্দিনের চাঁদপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পাটওয়ারী দোকান এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের পোস্টাল লাগানোর সময় মোঃ শরীফ, মোঃ কামাল, মোঃ ইউনুছ ও মোঃ জসিমের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ জহির পাটওয়ারীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এছাড়াও ২৮ সেপ্টেম্বর তজুমদ্দিন বাজারের দক্ষিন মাথা হাসপাতালের সামনে শেখ হাসিনার জন্মদিনের পোস্টাল লাগানোর সময় মিজান পোদ্দার, নৌকা রিয়াজ, সাদেক রিয়াজ, সবুজ (বেচু দালাল) ও নজরুল (রফিক মুন্সী) এর নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা সামছুদ্দিন দর্জিকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, আমাদের উপর যারা হামলা করেছেন তারা সবাই বর্তমান সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং এদের অধিকাংশই ২০১০ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে। তারা আরও বলেন এই সন্ত্রাসীরা আমাদের ২০০১ সালে নির্যাতন করে এলাকা ছাড়া করেছে, এখন তারাই এমপির সাথে যুক্ত হয়ে আমাদের নির্যাতন করছে। এছাড়াও এই হামলার ঘটনায় লালমোহন-তজুমদ্দিন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তীব্র নিন্দা জানান ও সেই সঙ্গে হামলায় জড়িত চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করেন।
ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মানবতার মা, জননেত্রী শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নিবেদিত নেতাকর্মী লালমোহন-তজুমদ্দিনের বিভিন্ন স্থানে শুভেচ্ছা পোস্টাল লাগানোর জন্য যায়। এসময় স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার জন্মদিনের শুভেচ্ছা পোস্টার লাগাতে বাঁধা সৃষ্টি করে এবং পোস্টারগুলো ছিড়ে ফেলে দেয়। এসময় সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে বেধড়ক মারধর ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে ভোলা সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। তারা আমার সমর্থন করায় তাদের উপর এই হামলা চালানো হয়েছে।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাহবুব-উল-আলম জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর লালমোহনের দেবীরচর এলাকায় দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা তিনি শুনেছেন। তবে এ ঘটনায় এখনো থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।