ব্রেকিংঃ

ভোলায় শিশু হাফেজ আব্দুল্লাহকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম

এম রহমান রুবেল ॥
ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নে দীর্ঘদিনের জমি জমার মামলা তুলে নেওয়াকে কেন্দ্র করে শিশু হাফেজ আব্দুল্লাহ (৮)কে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী অজিদ ও শাজাহান গংরা। হাফেজ আব্দুল্লাহকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চর মনসা গ্রামের বারেক হাওলাদার বাড়ির সামনে এঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভোলা থানা পুলিশের একটি টীম হাসপাতালে গিয়ে আহত হাফেজ আবদুল্লাহর ভাই সোহাগ (১২)কে ইর্মাজেন্সির রুম থেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জমি জমার মামলা প্রত্যাহার না করায় পূর্ব শত্রুতার জেরধরে সন্ত্রাসী শাহাজানের নেতৃত্বে ভিকটিম আব্দুল্লাহকে ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে রশিদ হাওলাদার এর ছেলে অজিত ও শাহাজানের ছেলে রিপন, রুবেল, রশিদের ছেলে হাসেম, আরকাম, দুলাল গংরা।
মৃত রহিমের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছে আসামী পক্ষের লোকজন। ঘটনার দিন সকালে ওই সন্ত্রাসীরা মামলা তুলে না নিলে রহিমের দুই ছেলে আব্দুল্যাহ ও সোহাগকে প্রাননাশের হুমকি দেয়।
হাফেজ আব্দুল্লাহ মাদ্রাসার পড়া শেষ করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলো। বারেক হাওলাদার বাড়ির সামনের কালভার্টের কাছে আসতেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসী অজিত, শাজাহান, রিপন, রুবেল, হাশেম ও আকরাম তাকে ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায়। এসময় তার চিৎকারে আসপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এব্যাপারে ভোলা মডেল থানার এসআই জসিম ও এএসআই বাদল আহত আব্দুল্লাহ’র পাশে থাকা বড় ভাই সোহাগ (১২)কে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে টানা হেচড়া করে গাড়িতে তুলে নেয়। এতে হাসপাতালে থাকা লোকজন প্রতিবাদ করে। এ তথ্য সংগ্রহকালে এশিয়ান টিভির ফটোসাংবাদি হাসনাতকে বাঁধা দেয় এসআই জসিম নেতৃত্বে এএসাই বাদল ও পুলিশের টীম। এসময় এএসআই বাদল ফটোসাংবাদিক হাসনাতকে হেনস্তা করে।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন ফকির বলেন, ঘটনার তদন্ত শেষে মিডিয়াকে বিস্তারিত জানাবেন।
প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য জেলা পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান বিপিএম এর হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগী পরিবার।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।