ব্রেকিংঃ

সরকারের উন্নয়ন বার্তা পৌঁছে দিতে ভোলার লালমোহন শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে ইঞ্জি: আবু নোমান

স্টাফ রিপোর্টার ॥
যতদিন শেখ হাসিনা আছেন ততদিন বাংলাদেশ পথ হারাবে না। আওয়ামী লীগ যতদিন থাকবে ততদিন বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। ১৫ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অগণিত উন্নয়ন হয়েছে। যার সুবিধা আমরা লালমোহন ও তজুমদ্দিনবাসী উপভোগ করছি। ইতিমধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী ট্রানেল, ঢাকা এলিফ্যান্ট এক্সপ্রেসওয়ে, হাইওয়ে পার্ক, রাস্তাঘাটে উন্নয়ন, শিক্ষা প্রসারে বিশেষ ভূমিকা, স্বাস্থ্য সেবাসহ বাংলাদেশের অগণিত উন্নয়ন করেছেন। যার কারণে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ ছাপিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে হাঁটছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে গড়ে ওঠা আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আজকে শেখ হাসিনার জন্যই বাংলাদেশের অর্জন এখন সারা দুনিয়ার নজরকাড়া। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় দিনবদলের রূপকার শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সরকারের ধারাবাহিকতার বিকল্প নেই। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) লালমোহনের মঙ্গলশিকদার ও হরিগঞ্জ বাজারে পৃথক শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের জনসমুদ্রে প্রধান অতিথির বক্তব্যে (ভোলা-৩ আসন) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী, আ’লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য, সাবেক ছাত্রনেতা, বিসিএস ও নাহী গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার (সিআইপি) এসব কথা বলেন। লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে এই শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় তিনি আরোও বলেন, সারাদেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে কিন্তু তুলনামূলক লালমোহন-তজুমদ্দিনে তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। দুর্নীতিবাজদের সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে এই এলাকা উন্নয়ন বঞ্চিত। লালমোহন-তজুমদ্দিনে উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যে আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমার পরিচয় নৌকা। আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে আপনাদের খেদমতে নিয়োজিত করেন তাহলে আমি লালমোহন-তজুমদ্দিনকে উন্নয়নের চূড়ায় নিয়ে যাবো। ভোলায় পর্যাপ্ত গ্যাস ও বিদ্যুৎ রয়েছে। ভোলাকে একটি উন্নয়ন সম্ভাবনা এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভোলায় ৫টি শিল্পকারখানা গড়ে তুলবো। যার মাধ্যমে বেকার শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থান হবে এবং এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হবে। এছাড়াও আমি লালমোহন ও তজুমদ্দিনের শিক্ষার উন্নয়ন, বেকারত্ব দূরীকরণ, রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ সকল ধরনের উন্নয়নে আপনাদের পাশে থাকবো। ইতোমধ্যে আমি লালমোহন ও তজুমদ্দিনের উন্নয়নে মানুষের দুর্দশা লাগাবে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। এরপরও জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকা নিয়ে যাকেই পাঠাবেন আমরা তার পক্ষেই প্রাণপণ কাজ করব এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভোলা-৩ আসন উপহার দিব।
এরআগে তিনি ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে লালমোহন মঙ্গলসিকদার ঘাটে আসলে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী তাকে ফুল দিয়ে সংবর্ধণা জানান।
লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেদায়াতুল ইসলাম মিন্টুর সভাপতিত্বে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উপদেষ্টা ও তজুমদ্দিন উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, তজুমদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফখরুল আলম জাহাঙ্গীর, লালমোহন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও হরিগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন হাওলাদার, তজুমদ্দিন উপজেলা চাচড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নান, আওয়ামীলীগ নেতা আনিসুল ইসলাম লাইজু, লালমোহন উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা একে এম হেদায়েতুল ইসলাম ডিউকসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এ সময় হাজার হাজার দলীয় অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।